ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত মহাসাগরে চীনা যুদ্ধজাহাজের টহল

প্রকাশিত: ০৬:২২, ৫ জুলাই ২০১৭

ভারত মহাসাগরে চীনা যুদ্ধজাহাজের টহল

ভারতের সামরিক প্রস্তুতি ও অবস্থান ১৯৬২ সালের পর্যায়ে নেই বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি যে মন্তব্য করেছেন এবং তার জবাবে চীন যা বলেছে তাতে মনে হচ্ছে, বিষয়টি কেবলমাত্র বাগযুদ্ধের পর্যায়ে থেমে থাকবে না, বরং তা অনেক দূর পর্যন্ত গড়াতে পারে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। অরুণ জেটলির কথার জবাবে চীনের একজন মুখপাত্র গত সোমবার বলেন, চীনও আর আগের মতো নেই সে তার ভূখ- গত সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় সবকিছুই করবে। উভয়পক্ষের মধ্যে এ বাদানুবাদের সূত্রপাত হয়েছিল সিকিম-ভুটান ও তিব্বত সীমান্তের কাছে রাস্তা তৈরি এবং দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষের প্রস্তুতি হিসেবে তাঁবু নির্মাণকে কেন্দ্র করে। ভুটান তার সীমান্তের এত কাছে অবকাঠামো নির্মাণের জন্য চীনের কাছে কূটনৈতিক সূত্রে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং ভারত সিকিম সীমান্তে কয়েক ব্যাটালিয়ন সৈন্য মোতায়েন করেছে। উভয় দেশের স্থল সীমান্তে যখন এ মুখোমুখি অবস্থা তখন সাগরে দুটি দেশ তাদের নৌশক্তির প্রদর্শনী শুরু করেছে। ইদানীং ভারত মহাসাগরে চীনা যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনের অস্বাভাবিক উপস্থিতি দৃষ্টিগোচর হচ্ছে। বিগত দু’মাস যাবত ভারতীয় নৌবাহিনীর স্যাটেলাইট ‘রুক্ষিনী’ এবং দূরপাল্লার টহল বিমান পসিভন-৮১ এবং যুদ্ধজাহাজগুলো কমপক্ষে ১৩টি চীনা যুদ্ধজাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেছে। এসব জাহাজের মধ্যে দূর নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্রসজ্জিত ডেস্ট্রয়ার থেকে শুরু করে পানি গবেষণা কাজে নিয়োজিত গবেষণাধর্মী জাহাজও রয়েছে। আরেক খবরে জানা গেছে, গত এপ্রিল থেকে চীনের ইউয়ান শ্রেণীভুক্ত সাবমেরিন করাচী বন্দর থেকে স্বদেশে না গিয়ে ভারত মহাসাগরেই ঘোরাফেরা করছে। এটি চীনা যুদ্ধজাহাজ চংমিংজাও এর আশপাশে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। এটি এ অঞ্চলে অবস্থানরত সপ্তম চীনা সাবমেরিন বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যেই আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁসি হয়েছে যে, গত সপ্তাহে হাইউইংজিং নামের চীনের একটি গোয়েন্দা জাহাজ ভারত মহাসাগরের জলসীমায় প্রবেশ করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান মিলিতভাবে বঙ্গোপসাগরে যে নৌমহড়া দিতে যাচ্ছে। তার ওপর নজরদারি করবে এই চীনা গোয়েন্দা জাহাজ। ভারত মহাসাগরের জলসীমায় নিজের দাপট ও শক্তিশালী উপস্থিতি বজায় রাখার জন্য চীন জিবুতিতে তার নৌঘাঁটি নির্মাণের প্রাথমিক পর্ব শেষ করেছে। প্রকাশিত এক সূত্রে বলা হয়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের (সিকিম সীমান্তে) স্পর্শকাতর এলাকায় তার শক্তি প্রদর্শনের পরিপূরক ব্যবস্থা হিসেবে চীন মহাসাগরীয় এলাকায় তার নৌশক্তি বৃদ্ধি করে চলেছে।
×