ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নাজনীন ফেরদৌস ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

প্রকাশিত: ০৬:০১, ৫ জুলাই ২০১৭

নাজনীন ফেরদৌস ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক নাজনীন ফেরদৌস। তিনিই বিদায়ী অধ্যক্ষ সুফিয়া খাতুনের স্থলাভিষিক্ত হলেন। নাজনীন ফেরদৌস ১৯৯০ সাল থেকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল এ্যান্ড কলেজে সুনামের সঙ্গে শিক্ষকতা করছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটির পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান। পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি গোলাম আশরাফ তালুকদার জানিয়েছেন, আমরা বিধান মেনে অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করতে চাই। শিক্ষকরাও আমাদের কাজে সহযোগিতা করছেন। আমরা এমন কিছু করতে চাই না যা আইনের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ হোক। নতুন অধ্যক্ষকে অভিনন্দন জানিয়ে সভাপতি বলেন, তিনি সবচেয়ে সিনিয়র শিক্ষক। এদিকে নতুন অধ্যক্ষ মঙ্গলবারই কাজে যোগ দিয়েছেন। অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, তিনি সকলের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে চান। বলেন, এটা আমাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে আমি এখানে শিক্ষকতা করছি। সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পরিচালনা পর্ষদের সভাপতিসহ সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে কাজের ক্ষেত্রে সহযোগিতা কামনা করেন নতুন অধ্যক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ সদস্যরা জানিয়েছেন, গত সোমবার অধ্যক্ষ সুফিয়া খাতুনের চাকরির বয়স শেষ হলে তিনি অবসরে চলে যান। এরপরই পরিচালনা পর্ষদ অধ্যক্ষ নিয়োগ বিধিমালা অনুসারে প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব অর্পণ করেছে। চাকরির বয়স চলে গেলেও গেল বছর প্রতিষ্ঠানটির এডহক কমিটির কাছে চাকরির বয়স আরও দুবছর বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন সুফিয়া খাতুন। যদিও কোন বিধান না থাকায় তাতে শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে কোন অনুমোদন ছিল না। বিধান অনুসারে এডহক কমিটি কারও চাকরির মেয়াদ বাড়াতে পারে না। তারপরও বিষয়টি নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিলেন অনেকে। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, যেহেতু চাকরির বয়স বাড়ানোর কোন বিধান নেই সেহেতু বিদায়ী অধ্যক্ষের চাকরির মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব হয়নি। আইন অনুসারে এখন সবচেয়ে প্রবীণ শিক্ষক অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেয়ায় পরিচালনা পর্ষদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন শিক্ষকরা। বিভিন্ন সময় অধ্যক্ষ নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে অভিযোগ করে সাধারণ শিক্ষকরা ইতোমধ্যেই নতুন নিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
×