ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাগর উত্তাল- বহির্নোঙ্গরে পণ্য খালাস বিঘ্নিত

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ৫ জুলাই ২০১৭

সাগর উত্তাল- বহির্নোঙ্গরে পণ্য খালাস বিঘ্নিত

হাসান নাসির, চট্টগ্রাম অফিস ॥ অব্যাহত ভারি বর্ষণ এবং সাগর উত্তাল হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙ্গরে পণ্য লাইটারিং মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। জেটিতে কন্টেনার হ্যান্ডলিং স্বাভাবিক থাকলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত দুদিন ধরে বহির্নোঙ্গরে মাদার ভেসেল থেকে লাইটারিং কার্যত বন্ধ। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি কমে যাওয়ায় বড় কন্টেনার জট। এদিকে, পণ্য হ্যান্ডলিং এবং ডেলিভারিতে বিঘœ ঘটার প্রভাব পড়েছে কাস্টম হাউসে। কমে গেছে আমদানি পণ্যের শুল্কায়ন, যার ফলে কমেছে রাজস্ব আদায়ও। চট্টগ্রামে বিগত প্রায় একমাস ধরেই আবহাওয়া প্রতিকূল। মাঝেমধ্যেই হচ্ছে প্রবল বর্ষণ। থেমে থেমে এবং একটানা বর্ষণে তলিয়ে যাচ্ছে নগরীর নিচু এলাকা এবং যানবাহন চলাচলের সড়ক। এতে জনজীবন যেমন বিপর্যস্ত হচ্ছে তেমনিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অর্থনৈতিক কর্মকা-। বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রিক কর্মকা- মাঝেমধ্যেই একেবারে স্থবির হয়ে পড়ছে। ঈদের ছুটিতে আমদানিকারকরা পণ্য ডেলিভারি না নেয়ায় ইয়ার্ডে কন্টেনার জমেছে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। ছুটির আমেজ কাটার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিকতার দিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। এতে করে কার্যত বন্দর পুরোপুরি সচল করা যাচ্ছে না। এর মধ্যেই একটি জাহাজের থাক্কায় দুটি গ্যান্টিক্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কন্টেনার ওঠানামার গতিও কমেছে। ফলে জাহাজ জটের আশঙ্কাও সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানায়, মঙ্গলবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আরও অন্তত দুদিন এ অবস্থা বিরাজ করতে পারে। ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে সাগরে এ মুহূর্তে কোন নিম্নচাপ বা লঘুচাপ নেই। সমুদ্র বন্দরসমূহের জন্যও কোন সঙ্কেত নেই। লাইটার জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল (ডব্লিউটিসি) সূত্রে জানা যায়, সোমবার বহির্নোঙ্গরে পণ্য লাইটারিং সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার কাজ চললেও তা সীমিত পরিসরে। আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকায় স্বাভাবিকের এক-চতুর্থাংশ কাজও হয়নি। বহির্নোঙ্গরে মঙ্গলবার অপেক্ষমাণ ছিল ৩৫টি মাদার ভেসেল। এসব জাহাজে রয়েছে গম, চিনি, ভুট্টা, সিমেন্ট ক্লিংকারসহ বিভিন্ন ধরনের আমদানি পণ্য। এর মধ্যে শুধু কয়েকটি জাহাজে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে।
×