ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবির বিশেষ সমাবর্তনে ভাষণ ॥ আইএইএ ডিজিকে ডক্টর অব লজ ডিগ্রী প্রদান

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা দিন ॥ রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৫ জুলাই ২০১৭

রূপপুর পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা দিন ॥ রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের সফল বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে এক বিশেষ সমাবর্তনে বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুত উৎপাদন বাড়াতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন ও পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে আইএইএর সহায়তা অরিহার্য। আইএইএর মহাপরিচালক ইয়ুকিয়া আমানোকে ডক্টর অব লজ ডিগ্রী প্রদান উপলক্ষে এ সমাবর্তনের আয়োজন করা হয়। খবর বাসসর। রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ হলেও এখানে শিল্পায়ন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বেড়ে চলছে। এতে বিদ্যুতের চাহিদাও বাড়ছে। কিন্তু বিদ্যুত ও জ্বালানির অত্যাধিক চাহিদার কারণে তেল ও গ্যাসের উৎস কমে আসছে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হয়েছে। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৭৯ মেগাওয়াট এবং ২০২১ সালে তা ২৪০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হবে। তিনি বলেন, ২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশেও পারমাণবিক শক্তি সম্পর্কে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আবদুল হামিদ আইএইএর মহাপরিচালককে ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদানকালে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ও অস্ত্রবিস্তার রোধের কূটনীতির পাশাপাশি পারমাণবিক জ্বালানি ইস্যুতে তার ব্যাপক অভিজ্ঞতার উল্লেখ করে বলেন, আমার বিশ্বাস এটি আইএইএ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সেতুবন্ধন হবে। বাংলাদেশের মানুষ এ দেশের পারমণবিক কর্মসূচীতে আইএইএর ভূমিকায় খুবই কৃতজ্ঞ। ভাষণের শুরুতে রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ, ভাষা আন্দোলনের বীর সেনানী এবং বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সাহসী ভূমিকা পালনকারীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে উচ্চশিক্ষার পবিত্র স্থান হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের কারিকুলামে যুগোপযোগী পরিবর্তন আনতে হবে। আইএইএর মহাপরিচালক আমানো সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন। ঢাবি ভাইস চ্যান্সেলর আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, সংসদ সদস্যবৃন্দ, কূটনীতিক, প্রো- ভাইস চ্যান্সেলর, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
×