ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মালিকপক্ষের গাফিলতি ও অবহেলাকেই দায়ী করেছে দমকল বাহিনী

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৫ জুলাই ২০১৭

মালিকপক্ষের গাফিলতি ও অবহেলাকেই দায়ী করেছে দমকল বাহিনী

আজাদ সুলায়মান ॥ দমকল বাহিনীর আগাম সতর্ক বার্তা আমলে নেয়নি উত্তরার সি-শেল হোটেলের মালিক পক্ষ। এ কারণেই সোমবার ভোরে এ হোটেলের আগুন পাশের অপর দুটো ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ এ অগ্নি দুর্ঘটনার জন্য হোটেলের মালিকপক্ষের গাফিলতি ও অবহেলাকেই দায়ী করছে দমকল বাহিনী। হোটেলের নিচ তলার একটি কক্ষের গ্যাসলাইনের লিক থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। অগ্নিকা-ে দুইজন নিহতের ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে রাসেল মিয়ার বাবা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ভয়াবহ এ অগ্নিকা-ে নিহত এক নারীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। পুলিশ ও হোটেল মালিকপক্ষ ওই নারীর লাশের কোন পরিচয় শনাক্ত করতে পারছে না। একই রুম থেকে উদ্ধার হওয়া অগ্নিদগ্ধ ওই নারীকে সঙ্গে নিয়েই রাসেল হোটেলে আসেন। এ সম্পর্কে হোটেল ভবনের মালিক হানিফ জনকণ্ঠকে বলেন, নিহত নারীর পরিচয় নিয়ে অনেকেই খোঁজ খবর নিচ্ছেন। কিন্তু কোন উপায় নেই। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ওই নিহত নারীর লাশ মর্গে পড়ে আছে। তার পরিচয় জানতে কিংবা খোঁজ খবর নিতে কেউ যায়নি সেখানে। এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশও কিছু বলতে পারছে না। থানায় ওই নারীর সন্ধানে কেউ যোগাযোগ করেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রশ্ন ওঠেছে-কে এই নারী। কেনই বা নিহত রাসেলের সঙ্গে একই রুমে ছিলেন তিনি। এ নিয়ে সি-শেল হোটেল কর্তৃপক্ষও কিছু জানাতে পারেনি। প্রশ্ন করা হলে হোটেল মালিক আমান জনকণ্ঠকে বলেন, সি-শেল হোটেলের রেজিস্ট্রার খাতাও পুড়ে গেছে। সেই খাতা পাওয়া গেলে বলা যেত- ওই নারীর কি নাম, আর কি পরিচয়েই তিনি রাসেলের সঙ্গে হোটেলে কে এসে ছিলেন। তিনি বলেন, নিহত রাসেল প্রাণ গ্রুপের কর্মকর্তা। প্রাণ গ্রুপের কর্মকর্তা কর্মচারী সীশেলের কর্পোরেট ক্লায়েন্ট। ওই গ্রুপের যে কোন স্টাফ এখানে এসে থাকতে পারেন। রাসেল সেই রকমই কর্পোরেট ক্লায়েন্ট হিসেবে ওই রুমে ওঠেছেন। এখন তিনি তারা স্বামী স্ত্রী নাকি অন্য কিছু সেটা বলা যেত রেজিস্ট্রার খাতা পাওয়া গেলে।
×