ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘তাদেরকে চিনি না তবে কথাবার্তায় এমন মনে হয়েছে’- জবানবন্দীতে ফরহাদ মজহার

‘সরকারকে হেয় করতে চায় এমন গোষ্ঠী আমাকে অপহরণ করে’

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৫ জুলাই ২০১৭

‘সরকারকে হেয় করতে চায় এমন গোষ্ঠী আমাকে অপহরণ করে’

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ‘আমাকে কারা অপহরণ করেছে তাদের আমি চিনতে পারিনি। তবে তাদের কথাবার্তায় বুঝতে পারি এ সরকারকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে হেয় করতে চায় এমন একটি গোষ্ঠী আমাকে অপহরণ করেছিল।’ নাটকীয়ভাবে যশোর থেকে উদ্ধার হওয়ার পর ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দীতে এ ধরনের কথা বলেছেন কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার। পুলিশ ও ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে দেয়া জবানবন্দী ছাড়াও ঢাকার আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন তিনি। জবানবন্দী দেয়ার পর তাকে বাসায় ফেরার অনুমতি দেয় আদালত। ঢাকার শ্যামলীর বাসার সামনে থেকে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় থানায় অপহরণের মামলা দায়েরের পর নাটকীয়ভাবে যশোর থেকে উদ্ধার হওয়ার পর ঢাকার আদালতে জবানবন্দী দেন ফরহাদ মজহার। মঙ্গলবার বিকেলে তার খাস কামরায় ১৬৪ ধারায় ফরহাদ মজহারের বিচারিক জবানবন্দী রেকর্ড করেন ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবীব। দীর্ঘ জবানবন্দীর একেবারে শেষে ফরহাদ মজহার বলেন, কারা আমাকে অপহরণ করেছিল তা আমি জানি না। তাদের আমি চিনি না। তবে কথাবার্তা শুনে মনে হয়েছে, যারা এই সরকারকে পছন্দ করে না, তারা দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই সরকারকে বিব্রত করতেই আমাকে তুলে নিয়েছিল। এছাড়া বাকি জবানবন্দীতে পুলিশের কাছে যে বক্তব্য দিয়েছেন, আদালতেও প্রায় হুবহু একই বক্তব্য দিয়েছেন বলে একজন উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন। ঁজবানবন্দীর পর ফরহাদ মজহারকে ১০ হাজার টাকার মুচলেকায় স্বাক্ষর নিয়ে নিজের জিম্মায় বাড়ি ফেরার অনুমতি দেন বিচারক। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পক্ষের মামলাগুলো পরিচালনাকারী আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ছিলেন ফরহাদ মজহারের আইনজীবী। পুলিশ দুপুরে ফরহাদ মজহারকে আদালতে হাজির করার পর তাকে নিজের জিম্মায় যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার, মেয়ে শমতলী হক, ভাগ্নে মেজর ফেরদৌসসহ কয়েকজন পারিবারিক বন্ধু। আদালতের শুনানিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘ফরহাদ মজহারের মামলার বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। জবানবন্দীতে কী বলেছেন তাও জানি না। আপনি কি দয়া করে আমাদের জানাবেন?’ বিচারক উত্তরে বলেন, ‘এটা ৩৮৫ এবং ৩৬৫ ধারার মামলা। অর্থাৎ অপহরণ ও চাঁদাবাজিসংক্রান্ত অপরাধ। ফরহাদ মজহার জবানবন্দীতে আমার কাছে কী বলেছেন তা আপনাকে আমি বলতে পারি না। সে বিষয়ে পুলিশ ব্রিফ করবে।’ বিচারক আদালতে উপস্থিত ফরহাদ মজহারকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি নিজের জিম্মায় যেতে ইচ্ছুক?’ ফরহাদ মজহার উত্তরে বলেন, ‘জি, আমি ইচ্ছুক, অবশ্য যেতে চাই।’ পাঁচ মিনিটের শুনানি শেষে মুচলেকায় সই করে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হন ডানপন্থী অধিকারকর্মী হিসেবে পরিচিত এই কবি, প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার। মঙ্গলবার বিকেল তিনটা থেকে পাঁচটা ৪০ মিনিট পর্যন্ত তিনি জবানবন্দী দেন। বিকেল পাঁচটা ৫২ মিনিটে একটি মাইক্রোবাসে করে আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন ফরহাদ মজহার। এ সময় সাংবাদিকরা তার সঙ্গে কথা বলতে চান। তবে তিনি কথা বলতে চাননি। জানতে চাইলে ফোনে ফরিদা আখতার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্বামীকে ফিরে পেয়েছি। এতেই খুশি।’ এর আগে মঙ্গলবার দুপুর সোয়া একটার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, সকালে তিনি ওষুধ কিনতে নিচে নেমেছিলেন। কয়েকজন চোখ বেঁধে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গিয়েছিল ফরহাদ মজহারকে। আগের দিন সোমবার ভোরে নিজের বাড়ি থেকে ওষুধ কিনতে বের হয়েছিলেন তিনি। এ ঘটনা ঘটে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর রাস্তায়। সোমবার রাতে যশোর থেকে উদ্ধারের পর মঙ্গলবার সকাল নয়টার কিছু আগে ফরহাদ মজহারকে প্রথমে রাজধানীর আদাবর থানায় নেয়া হয়। সেখান থেকে বেলা ১১টার দিকে মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। দুই ঘণ্টার বেশি সময় সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য নিম্ন আদালতে পাঠানো হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার আব্দুল বাতেন ডিবি কার্যালয়ে বলেছেন, ফরহাদ মজহার চোখ বেঁধে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন জিজ্ঞাসাবাদে। এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ফরহাদ মজহারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি তাদের জানান, মাইক্রোবাসে তোলার পর তিনি আর কিছু জানেন না। তিনি আরও বলেন, তুলে নেয়ার পর ফরহাদ মজহারের ব্যবহৃত নম্বর থেকেই তার স্ত্রীকে ফোন করা হয়। ফোনে তিনি জানান, যারা তাকে নিয়ে গেছে তারা ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের অভয়নগরে খুলনা থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে উদ্ধার করা হয় ফরহাদ মজহারকে। স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, সোমবার ভোরে কে বা কারা রাজধানীর শ্যামলীর হক গার্ডেনের বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় ফরহাদ মজহারকে। ঢাকা মহানগর পুলিশ জানায়, আদাবর থানায় ফরহাদ মজহারের পরিবারের করা অপহরণের অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেয়া হয়েছে। আদালতে জবানবন্দী রেকর্ডের পর তার ভিত্তিতেই তদন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের ব্রিফিংয়ে। ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করার পর সোমবার রাত ১টা ২০ মিনিটে খুলনার ফুলতলা থানায় সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, ফরহাদ মজহারের ব্যাগে মোবাইল ফোনের চার্জার, শার্টসহ বেড়াতে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া গেছে। ব্যাগ দেখে বোঝা যায় যে, তিনি স্বেচ্ছায় ভ্রমণে এসেছেন। তিনি সুস্থ আছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, মনে হয় অপহরণ নাটক সাজানো হয়েছিল। ঢাকার আদাবর থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা জানান, ঢাকার শ্যামলী রিং রোডের বাসা থেকে সোমবার ভোরে বের হয়ে অপহৃত হন বলে তার স্ত্রীর করা মামলায় অভিযোগ করা হয়। ফরহাদ মজহারের স্ত্রীর অভিযোগেই তার নিখোঁজের বিষয়ে অপহরণ মামলা হয় থানায়। বাসা থেকে বের হওয়ার পর মাইক্রোবাসে তুলে নেয়া হয়েছিল বলে ফরহাদ মজহারের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ফরহাদ মজহারের কাছে একটি বিশেষ মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ছাড়াও বেশকিছু কাপড়চোপড়সহ একটি ব্যাগ পাওয়া গেছে। তবে কারা কী উদ্দেশ্যে তাকে অপহরণ করেছিল, আদৌ অপহৃত হয়েছিলেন কি-না বা বিষয়টি পুরোটাই বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে সাজানো ছিল কি-না তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করে দেখছে। প্রসঙ্গত, গত ৩ জুলাই ভোরে রাজধানীর আদাবার থানার শ্যামলী ১ নম্বর রিং রোডের হক গার্ডেনের ৪-এ-বি নম্বর ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন ফরহাদ মজহার। এ বিষয়ে স্ত্রী ফরিদা আখতার থানায় একটি জিডি করেন। জিডিটি সোমবার রাতে অপহরণ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে। মামলার আর্জিতে বলা হয়েছে, নিখোঁজের পর ভোর ৫টা ২৯ মিনিটে তাকে ফোন করেন ফরহাদ মজহার। ফোনে বলেন, ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে, মেরে ফেলবে। এরপর ফোন কেটে যায়। এরপর সারাদিনে চারবার ফোনকল আসে। একটি কলে অপহরণকারীরা তার কাছে ৩৫ লাখ টাকা দাবি করেন। ডিবির এক কর্মকর্তা জানান, ডিবি কার্যালয়ে ফরহাদ মজহারের জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। রেকর্ডকারীদের মধ্যে একজন উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফরহাদ মজহারের জবানবন্দীর বরাত দিয়ে জনকণ্ঠকে জানান, সোমবার রাত তিনটার দিকে ফরহাদ মজহার ঘুম থেকে জাগেন। এরপর তিনি হাত-মুখ ধুয়ে কম্পিউটারে লিখতে বসেন। প্রায় দুই ঘণ্টা লেখার পর তিনি চোখে ঝাপসা দেখতে থাকেন। এ সময় তিনি চোখের ড্রপ কেনার জন্য বাসা থেকে বের হন। সামনেই একটি হাসপাতাল থেকে তিনি চোখের ড্রপ কিনবেন বলে হাঁটতে থাকেন। বাসা থেকে বের হওয়ার পরপরই একটি মাইক্রোবাস তার সামনে এসে দাঁড়ায়। মাইক্রোবাস থেকে তিনজন নামে। তারা ফরহাদ মজহারকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। মাইক্রোবাসের ভেতরে তোলার পর তার চোখ বেঁধে দেয়। এ সময় মোবাইল ফোনে ফরহাদ মজহার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অপহরণকারীরা ফরহাদ মজহারকে হালকা চড়-থাপ্পড় দেয়। ফরহাদ মজহার মাইক্রোবাসে থাকা লোকজনদের কেন তাকে এভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা জানতে চান। ফরহাদ মজহার নিজ থেকেই তাদের টাকার কথা বলেন। টাকার কথা শুনে অপহরণকারীরা তার কাছে প্রথমে দুই কোটি টাকা দাবি করে। এত টাকা নেই বলে জানান। শেষ পর্যন্ত টাকার পরিমাণ ৩৫ লাখে গিয়ে ঠেকে। সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গে কথা হয় ফরহাদ মজহারের। এরপর মোবাইল ফোনের চার্জ ফুরিয়ে যায়। চোখ বাঁধা অবস্থায়ই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় খুলনায়। সেখানে তার চোখ খুলে হাতে হানিফ পরিবহনের ঢাকা যাওয়ার একটি টিকেট ধরিয়ে দেয়া হয়। তখন সন্ধ্যা সাতটার মতো বাজে। তিনি নামার পর ঘণ্টা দেড়েক ঘুরে বেড়ান। এরপর একটি রেস্তরাঁয় খাওয়া-দাওয়া সারেন। এরপর তিনি যান হানিফ পরিবহনের একটি বাস কাউন্টারে। তিনি সেখানে মোবাইল ফোন চার্জে বসিয়ে দেন। তবে আর যোগাযোগ করেননি। তিনি যেহেতু মুক্তি পেয়েছেন এজন্য আর যোগাযোগ করার প্রয়োজন মনে করেননি। হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার হাফিজুর রহমান জানান, ফরহাদ মজহার খুলনার শিববাড়ি মোড় কাউন্টার থেকে আই ২ নম্বর সিটে ওঠেন। যশোরের নওয়াপাড়া এলাকা পার হওয়ার সময় তার কাছে ফোন আসে র‌্যাব পরিচয় দিয়ে। র‌্যাব গাড়িটি নোয়াপাড়ায় থামাতে বলে। ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর নওয়াপাড়া থানার ওসিসহ সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ফরহাদ মজহারকে নামিয়ে নেন। বাস থেকে নামানোর পর ফরহাদ মজহারকে কার হেফাজতে নেয়া হবে এ নিয়ে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যদের মধ্যে হালকা বিত-া হয়। পরে র‌্যাবের দলটি ফরহাদ মজহারকে তাদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে র‌্যাব ফরহাদ মজহারকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারকালে তার কাছে একটি সাদা কবি ব্যাগ পাওয়া গেছে। ঝোলা টাইপের ব্যাগে একটি শার্ট, কালো পাঞ্জাবি, একটি নতুন মোবাইল ফোন (এ মোবাইল ফোনটিতে তিনি সাধারণত স্ত্রী, সন্তানসহ সবচেয়ে কাছের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকেন), মোবাইল ফোনের চার্জার ও নগদ সাড়ে ১২ হাজার টাকা ছিল। তবে ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আখতার ও মেয়ে সমতলী হক বলছেন, ভোরে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তার কাছে কোন ব্যাগ ছিল কি-না তা তারা নিশ্চিত নন। সঙ্গে ব্যাগ ছিল কি-না তাও তাদের জানা নেই। তবে ফরহাদ মজহার সব সময়ই একটি ব্যাগ সঙ্গে রাখেন। ব্যাগে বই ও ওষুধ থাকে। তবে তার কাছ থেকে যেমন ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে, তেমন ব্যাগ তিনি ব্যবহার করেন না। বারডেমে ভর্তি নাটকীয়ভাবে উদ্ধার কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহারকে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার আদালতে জবানবন্দী দেয়া শেষে নিজ জিম্মায় যাওয়ার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি হাসপাতালের একটি কেবিনে রয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে ফরহাদ মজহারের পরিবারের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে তাকে হাসপাতালে ভর্তির কথা জানানো হয়। এদিকে বারডেম হাসপাতালের কর্তব্যরত এক চিকিৎসক জানান, ডায়াবেটিসসহ নানাবিধ সমস্যা নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছেন। আছেন কেবিন ব্লকে।
×