ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হত্যার অভিযোগ প্রতিপক্ষের

সিলেটে চেয়ারম্যান মেম্বারের ঝগড়া মেটাতে গিয়ে অপর মেম্বারের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৮:০৬, ৪ জুলাই ২০১৭

সিলেটে চেয়ারম্যান মেম্বারের ঝগড়া মেটাতে গিয়ে অপর মেম্বারের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ সিলেটে এক চেয়ারম্যান- মেম্বারের ঝগড়া মেটাতে গিয়ে অপর মেম্বারের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বিশ্বনাথ উপজেলার রাপমাশা ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীরের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন একই পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের পাঁচবারের নির্বাচিত মেম্বার ইমাম উদ্দিন। এ সময় ঘটনার ‘মধ্যস্থতা করতে গিয়ে’ ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার তাজ উল্লাহ মারা যান। সোমবার বিকেলে রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। ইউপি সদস্য তাজ উল্লাহর মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানা জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। পাওয়া যাচ্ছে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য। তাজ উল্লাহর আত্মীয়-স্বজনের দাবি, তাজ উল্লাহকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে থাকা পরিষদের একাধিক সদস্য জানান, চেয়ারম্যান আলমগীর ও সদস্য ইমাম উদ্দিনের মধ্যকার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আসার কিছু সময় পর ‘হৃদরোগে (হার্ট এ্যাটাক) আক্রান্ত হয়ে’ তাজ উল্লাহ মৃত্যুবরণ করেছেন। সোমবার রাত আটটার দিকে তাজ উল্লাহর লাশ ময়নাতদেন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বন্যার্তদের মধ্যে মঙ্গলবার চাল বিতরণ করা নিয়ে সোমবার বিকেলে রামপাশা ইউপি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়ে। এ সময় ইউপি সদস্য ইমাম উদ্দিনের কাছে চেয়ারম্যান-মেম্বারদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা অভিযোগ’ ও মামলা করার ‘পাঁয়তারা’র কারণ জানতে চান চেয়ারম্যান আলমগীর। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাগবিত-া হয়ে। একপর্যায়ে ইমাম উদ্দিন গালিগালাজ শুরু করেন চেয়ারম্যান আলমগীরকে। এ সময় আলমগীর পায়ের জুতা খুলে ইমাম উদ্দিনের দিকে ছুড়ে মারেন। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মধ্যস্থতা শুরু করেন ঘটনাস্থলে থাকা একই পরিষদের মেম্বার তাজ উল্লাহ, ইছাক আলী, আবুল কাশেমসহ অন্যরা। ইউপি সদস্য ইমাম উদ্দিন বলেন, চেয়ারম্যান পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমার ওপর হামলা করেছে। তার পক্ষের আবুল কাশেম মেম্বারের চেয়ারের আঘাতে আমার হাত ভেঙ্গেছে।
×