ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হাম্বানটোটা স্টেডিয়ামে বন্যহাতির ভয়!

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ৪ জুলাই ২০১৭

হাম্বানটোটা স্টেডিয়ামে বন্যহাতির ভয়!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সুরিয়াভেভা বনজঙ্গলে ঘেরা একটি গ্রাম্য অঞ্চল। শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ প্রাদেশিক জেলা হাম্বানটোটারা এ অঞ্চলেই মাহিন্দা রাজাপাকসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ২০০৯ সালে এই স্টেডিয়াম প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু হয়। সেটা ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ভেন্যুর পুরোপুরি নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘেরাও করা নেই। আর এর পাশের জংলা এলাকাটি হাতির অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিত। সফরকারী জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে এ মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের বাকি তিনটি ওয়ানডে। এ কারণে ভেন্যুর নিরাপত্তায় কড়া প্রহরার ব্যবস্থা করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডে হয়েছে গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। এখন ১-১ সমতা বিরাজ করছে সিরিজের ফলাফলে। বাকি তিন ওয়ানডেতেই ফয়সালা হবে সিরিজের। সফরকারী জিম্বাবুইয়ে ইতোমধ্যেই হাম্বানটোটায়। কারণ এখানেই মাহিন্দা রাজাপাকসে স্টেডিয়ামে হবে বাকি তিন ওয়ানডে। ভেন্যুর আশপাশেই আছে বিস্তৃত বনাঞ্চল। এ স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা ৩৫ হাজার হলেও সবদিকে গ্যালারি করা হয়নি এবং সবদিকে সীমানা প্রাচীরও নেই। অথচ শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম এটি। ভেন্যুর ১০০ মিটার পরই বনাঞ্চল। এর আগে এ কারণেই ম্যাচ চলার সময় মৌমাছি ও বোলতার আক্রমণে ক্রিকেটার ও আম্পায়ারদের মাঠে শুয়ে পড়তে হয়েছিল আত্মরক্ষার্থে। বনাঞ্চলে হাতির আছে অবাধ বিচরণ। মাঝে মাঝেই বন্যহাতিরা চলে আসে ভেন্যুর দিকে। আশপাশের অঞ্চলে অফিসিয়াল হিসেব মতে আছে অন্তত ২৫টি বন্যহাতি। কিন্তু ম্যাচের আগে মাঠে ঢুকে সব ল-ভ- করলে ম্যাচই প- হয়ে যাবে। এ কারণেই প্রহরার ব্যবস্থা নিয়েছে এসএলসি। সোমবার শ্রীলঙ্কার বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ৩৫ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এই স্টেডিয়ামে তিনটি ওয়ানডে আয়োজন করা হয়েছে, যার আশেপাশের এলাকাকে বন্যহাতিদের অভয়স্থল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হাম্বানটোটার এই স্টেডিয়ামটি ২০০৯ সালে স্থাপন করা হলেও হাতেগোনা কয়েকটি ম্যাচ হয়েছে এখানে। এই স্টেডিয়ামের রক্ষণাবেক্ষণে প্রচুর অর্থ খরচ হয়। যার ফলে অনেকটা পরিত্যক্ত অবস্থায়ই পড়ে থাকে স্টেডিয়ামটি। আর রক্ষণাবেক্ষণে কি কারণে অনেক খরচা হয় সেটা এবার আরও পরিষ্কার হয়ে গেল। বন্যহাতির আক্রমণ থেকে বাঁচাতে বাড়তি লোকবল নিয়োগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এমন কয়েকটি ঘটনা আছে যখন রাতের আঁধারে হাতি ঢুকে উইকেট নষ্ট করে দিয়েছে। কারণ স্টেডিয়ামের ১০০ মিটার পরই বনের সীমানা শুরু হয়েছে। তাই আমরা ১০ জন প্রহরী রেখেছি এই উইকেটের নিরাপত্তায়, যেন হাতির আক্রমণ থেকে উইকেট নিরাপদ রাখা যায়।’ উল্লেখ্য, দুই বছর আগেও একবার এই মাঠে ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত উইকেট সংস্কার করতে না পারার কারণে সেই ম্যাচ আর হয়নি। সবমিলিয়ে মাত্র ৩ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হয়েছে এখানে।
×