ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মংলা বন্দরের জমি অবৈধ দখলে

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ৪ জুলাই ২০১৭

মংলা বন্দরের জমি অবৈধ দখলে

নিজস্ব সংবাদদাতা, মংলা, ৩ জুলাই ॥ মংলাবন্দর কর্তৃপক্ষের অস্থায়ী ভূমি বরাদ্দ নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রভাবশালী এক ব্যবসায়ী এক একরেরও কম জমি বরাদ্দ নিয়ে পাঁচ একরেরও বেশি ভূমি অবৈধ ভোগদখল করলেও কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে এ বিষয়ে নীরবে রয়েছে এতে বন্দরের ভূমি বরাদ্দের লাখ লাখ টাকা ফাঁকি দেয়া হচ্ছে। অপরদিকে এক বছর মেয়াদি ওই ভূমি বরাদ্দের মেয়াদকাল শেষ হলেও অতিরিক্ত ভূমি দখলমুক্ত হয়নি। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আর এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজশ রয়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। বন্দর সূত্র ও অভিযোগে জানা গেছে, কর্তৃপক্ষের স্থায়ী বন্দর এলাকার সিভিল ও হাইড্রলিক বিভাগের উত্তর পাশে নদী সংলগ্ন পরিত্যক্ত ভূমির মধ্যে সাইফুল ইসলাম টুটুল ২৭ শ’ বর্গমিটার জমি বরাদ্দ নেয়। গত বছরের ১ জুন ‘স্বচ্ছ ট্রেডাসর্’ নামের তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বন্দর কর্তৃপক্ষ অস্থায়ী ভিত্তিতে বরাদ্দ প্রদান করে। ওই ব্যবসায়ী নানা কৌশলে বন্দরের দেয়া বরাদ্দের চেয়েও পাঁচ একর ভূমি অবৈধভাবে দখলে নেয়। এদিকে ওই ব্যবসায়ীর অস্থায়ী ভূমি বরাদ্দের মেয়াদ গত ৩১ মে শেষ হলেও কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে তার চুক্তি এখন পর্যন্ত বাতিল করেনি। মেয়াদ শেষ হলেও এখনও বন্দরের বিপুল পরিমাণ জমি ওই ব্যবসায়ীর দখলে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সম্পত্তি শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে বন্দরের সিনিয়র উপ-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। কলাপাড়ায় লাখো মানুষ পানিবন্দী নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৩ জুলাই ॥ উপকূলজুড়ে রবিবার ভোর থেকে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। প্রবল বর্ষণে খাল-বিল ডুবে গেছে। আবাদি জমি পানিতে থৈ থৈ করছে। লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। প্রবল বর্ষণে পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস এলাকার প্রায় দুইশ’ ফুট বাউন্ডারি দেয়াল ধসে পড়েছে। অফিস মহল্লা এলাকায় গাছ উপড়ে পড়েছে। গ্রামের পর গ্রাম মানুষ পানিবন্দী হয়ে থাকলেও পানি নামার স্লুইসগেট, কালভার্ট সংলগ্ন মুখ বাঁধ দিয়ে আটকে মাছ ধরতে প্রভাবশালী মহল পানি প্রবাহের পথ আটকে রেখেছে। ফলে মানুষের চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। মেলাপাড়া গ্রামের একাধিক মানুষ জানান, ময়ুর এবং আবগঞ্জের খালের সঙ্গে কালভার্ট দিয়ে পানি নামার পথ এবং সংলগ্ন খালটি বাঁধ দিয়ে জনৈক ব্যক্তি মাছের ঘের করেছে। এখন আজিমদ্দি, তেগাছিয়ার আংশিক এবং মেলাপাড়া গ্রামের মানুষের চাষের জমিসহ বিল পানিতে থৈ থৈ করছে। পানি নামতে পারছে না। এলাকার লোকজন ওই বাঁধটি কাটতে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে কিন্তু কোন কাজে আসেনি। বালিয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের পূর্বদিকের খালটিতে একাধিক বাঁধ দিয়ে নূর হোসেন মৃধাসহ একটি চক্র মাছের ঘের করায় খালের স্লুইস দিয়ে পানি নামতে পারছে না। এভাবে ১২টি ইউনিয়নসহ কলাপাড়া এবং কুয়াকাটা পৌরসভার একই দশা। খালবিল আটকে বাড়িঘরসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে। বাদুরতলী খালের সিকদার বাড়ি এলাকায় কালভার্টের নিচে মাটি দিয়ে পানি চলাচলের পথ আটকে দেয়া হয়েছে। প্রবল বর্ষণে জীবন-যাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাট অনেকটা ফাঁকা রয়েছে, যানবাহন চলছে খুব কম।
×