ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঝিনাইগাতীতে সেতুর অভাবে ৬ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ৪ জুলাই ২০১৭

ঝিনাইগাতীতে সেতুর অভাবে ৬ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ৩ জুলাই ॥ ঝিনাইগাতী সীমান্তে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরে একটি সেতুর অভাবে ৬ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। উপজেলার মালিঝি নদীর হাতিবান্দা অংশে ওই সেতুর অভাবে জরাজীর্ণ বাঁশ-কাঠের সাঁকোয় প্রতিদিন এলাকার শত শত মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। এতে মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা। অন্যদিকে ওই দুর্ভোগ নিরসনে এখনও এগিয়ে আসেনি কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, ১৯৮৬ সালের দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝি নদীর ওপর হাতীবান্ধা অংশে একটি স্লুইচ গেট নির্মাণ করা হয়। স্লুইচ গেটের ওপর চাপ কমাতে এবং এলাকার জনযাতায়াতের সুবিধার্থে তার পাশ দিয়ে নির্মাণ করা হয় একটি কাঠের সংযোগ সেতু। গ্রামের লোকজন বছর খানেক সময় ওই কাঠের সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার হলেও পরবর্তীতে পাহাড়ী ঢলে স্লুইচ গেট ও সংযোগ সেতুটি বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। পরে গ্রামবাসী ওই সংযোগ সেতুটিতে জোড়াতালি দিয়ে কোন রকমে যাতায়াত ব্যবস্থা চালু রাখেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সরকারীভাবে সাঁকোটির কোন সংস্কার না হওয়ায় সেটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ কারণে স্থানীয় মিরপাড়া, ধারারপাড়, হাতিবান্দা চকপাড়া, প্রধানপাড়া গ্রামের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ ওই ভাঙ্গা ও নড়বড়ে সাঁকোর ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এছাড়া ওই সেতুর ওপর দিয়ে কৃষকদের কৃষিপণ্য পরিবহনসহ, গবাদিপশু ও রিক্সা, ভ্যান বা মোটরসাইকেল যাতায়াত করতে পারছে না। যে কোন সময় সাঁকোটি ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রকৌশলী ফজলুল হক বলেন, মালিঝি নদীর ওপর পাকা সেতু নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। রাজশাহীতে হোটেলের প্রবেশ পথে ময়লা ফেলে প্রতিবাদ স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ নগরীর এক আবাসিক হোটেলে নিয়মিত অসামাজিক কার্যকলাপের অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। মধ্য নগরীর ওই হোটেলের আশপাশের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীরা আবাসিক হোটেলটির প্রবেশপথে ময়লা-আবর্জনা ফেলে অভিনব প্রতিবাদ জানান। রবিবার রাত ৯টার দিকে তারা আশপাশের এলাকা থেকে ভ্যানে করে ময়লা এনে সেখানে স্তূপাকারে ফেলতে শুরু করে। আস্তে আস্তে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এ খবর। খবর পৌঁছে থানাতেও। ব্যবসায়ীদের এমন প্রতিবাদে টনক নড়ে পুলিশের। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহাদত হোসেন খানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল হোটেলটিতে অভিযান চালাতে যায়। কিন্তু ততক্ষণে হোটেলের প্রধান ফটকসহ সব ক’টি দরজায় লেগে যায় তালা। পুলিশ গিয়ে কয়েকটি তালা ভেঙ্গে হোটেলটির ভেতরে ঢোকে। কিন্তু ‘হতাশ’ হয়ে ফিরতে হয় তাদের। ভেতরে পাওয়া যায়নি কাউকেই। সব ক’টি কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায়নি হোটেলের মালিক, ম্যানেজার কিংবা কোন কর্মচারীকে। পুলিশের ভাষ্যমতে, হোটেলে মিলেনি দেহব্যবসার কোন আলামত।
×