ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দিনাজপুরে একাধিক যাত্রীর কাছে একই রেল টিকেট

প্রকাশিত: ০৫:১২, ৪ জুলাই ২০১৭

দিনাজপুরে একাধিক যাত্রীর কাছে একই রেল টিকেট

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ রেলওয়ের টিকেট নিয়ে চলছে তুঘলকি কারবার। বাংলাদেশ রেলওয়ের দিনাজপুর স্টেশনের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে টিকেট। তাও আবার একই সিট বিক্রি করা হচ্ছে একাধিক যাত্রীর কাছে। কালোবাজারে টিকেট বিক্রির পাশাপাশি কম্পিউটারাইজ্ড টিকেটে হাতে লেখার নিয়ম না থাকলেও দিনাজপুর রেলস্টেশনের কর্মকর্তারা নির্বিঘেœ ইচ্ছামতো টিকেটে হাতে লিখে সিট নম্বর বসিয়ে দিচ্ছেন। দ্বিগুণ বা তারও বেশি দামে টিকেট সংগ্রহ করার পর ট্রেনে উঠে সিট না পেয়ে দূরপালার যাত্রীরা প্রতারণার শিকার হয়ে পড়ছেন চরম দুর্ভোগে। আর রেলওয়ে কর্মকর্তাদের এসব কর্মকা-ের কারণে সরকার বাংলাদেশ রেলওয়ের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে যে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তা বিফলেই যাচ্ছে। জানা যায়, বিরল উপজেলার আশরাফুল ঈদ শেষে ১ জুলাই ঢাকা ফেরার জন্য দিনাজপুর রেলস্টেশন থেকে একতা এক্সপ্রেসের টিকেট (ডিজিপি-০০৩৮০৬৬৬) কেনেন। টিকেটের দাম ৪৬৫ টাকা হলেও জরুরী প্রয়োজনে তিনি বাধ্য হয়েই এক হাজার টাকা দিয়ে এই টিকেটটি সংগ্রহ করেন। টিকেটের সময় ও তারিখ অনুযায়ী গত শনিবার রাতে দিনাজপুর রেলস্টেশনে সে একতা এক্সপ্রেসে তার নির্ধারিত শোভন চেয়ার কোচের ৩৪ নম্বর সিটে বসলে কিছুদূর গিয়ে তাকে সিট থেকে তুলে দেয় ট্রেনে দায়িত্বরতরা। ওই সিটে বসিয়ে দেয়া অন্য এক যাত্রীকে। ওই যাত্রীর কাছেও ছিল একই কোচের ৩৪ নম্বর সিটের টিকেট। একই তারিখে সিট নম্বর একই থাকলেও তার টিকেট নম্বর (ডিজিপি-০০৩৮০৯৭৯) আলাদা। আশরাফুলের ভাই আনসার আলী জানান, তিনি ওই টিকেট কালোবাজারে দিনাজপুর রেলস্টেশনের পয়েন্টস ম্যান (পি-ম্যান) মিজানের কাছ থেকে এক হাজার দিয়ে কিনেছেন। এ ব্যাপারে মিজানের সঙ্গে এ প্রতিনিধি যোগযোগ করলে তিনি জানান, তিনি এ টিকেট রেলওয়ের দিনাজপুর স্টেশন মাস্টার সুনীল কুমারের কাছ থেকে কিনেছেন। আর এ জন্য এক হাজার টাকা স্টেশন মাস্টার সুনীল কুমারই নিয়েছেন বলে সুনীল কুমার জানান, এ টিকেট তিনি তার এক আত্মীয়ের জন্য নিয়েছিলেন। তার ওই আত্মীয় না যাওয়ায় তিনি টিকেটটি মিজানকে দিয়েছিলেন বিক্রি করার জন্য। কিন্তু ৪৬৫ টাকার টিকেট এক হাজার টাকা নেয়া হলো কেন এ বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি স্টেশন মাস্টার সুনীল কুমার। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে সেদিন শুধু আশরাফুলই নন, অসংখ্য যাত্রীকে এরকম শিকার হতে হয়। একই সিট বিক্রি করা হয় একাধিক যাত্রীর কাছে। আর এ নিয়ে ট্রেনে রেলওয়ের দায়িত্বরতদের সঙ্গে বাগবিত-া হলেও আশরাফুলের মতো সিট নম্বর যুক্ত টিকেট কেটেও শতাধিক যাত্রীকে দুর্ভোগের মধ্যে দাঁড়িয়ে অমানবিকভাবে ভ্রমণ করতে হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় জোনের লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) নাজমুল হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, একই ট্রেনের একই সিট একাধিক যাত্রীর কাছে (ডাবলিং) বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই। তাছাড়া কম্পিউটারাইজ্ড টিকেটে হাতে লিখে সিট নম্বর বসানোর কোন নিয়ম নেই। এ ধরনের কাজের সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। যশোর পৌর এলাকার ড্রেন ও সড়কের কাজ উদ্বোধন স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর পৌরসভার ঘোপ নওয়াপাড়া ও পিলু খান রোড ও ড্রেন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু এ কাজের উদ্বোধন করেন। প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হবে। এতে অর্থ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার, এডিবি ও ওএফআইডি। উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেনÑ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মকসিমুল বারী অপু, প্রেসক্লাব সম্পাদক এস এম তৌহিদুর রহমান, যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান বাবলু, আজহার উদ্দিন স্বপন, শেখ মাসুদ প্রমুখ।
×