ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাত

কক্সবাজারে চলাচল অযোগ্য একাধিক সড়ক ॥ জনদুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৫:১০, ৪ জুলাই ২০১৭

কক্সবাজারে চলাচল অযোগ্য একাধিক সড়ক ॥ জনদুর্ভোগ

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ কক্সবাজার সদর ঈদগাঁও পোকখালীর গোমাতলী সহ জেলার কুতুবদিয়া, টেকনাফ, উখিয়া এবং পেকুয়া উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে কিছু কিছু সড়ক ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বেশির ভাগ এলাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বললে চলে। এতে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, মোরায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট সময়ের দরকার। ভাঙ্গা বেড়িবাধের কাজ দ্রুত চললেও ক্ষতিগ্রস্ত ওসব সড়ক সংস্কার করা হচ্ছে না। মোরার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ওসব সড়কে হালকা যান চলাচল ব্যতিত ভারি যানবাহন চলাচল করতে পারে না। সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পশ্চিম গোমাতলী-গাইট্যাখালী রাজঘাট সড়ক ১মাসেও চালু করা সম্ভব হয়নি। পূর্ব গোমাতলী থেকে সড়কে হালকা যান চলাচল করলেও মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে রাজঘাট সড়কটি। কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, মোরায় গোমাতলী সড়কসহ জেলার বিভিন্ন সড়ক ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সত্য। মূল সড়কে বিধ্বস্ত হয়েছে অন্তত ১৫ স্থান ও স্পটে। পোকখালীর চেয়ারম্যান রফিক আহমদ জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। উখিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় ২৫ হাজার মানুষের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম উখিয়া-ডিগলিয়া সড়ক। প্রতিনিয়ত ৫হাজার মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। পূর্বাঞ্চলীয় মানুষের তরি-তরকারী, শাক-সবজি বাজারে আনতে হয় এ সড়ক দিয়ে। ২০০২সালে তৎকালীন সরকারের আমলে উখিয়ার ডিগলিয়া হতে ডেইলপাড়া করইবনিয়া পর্যন্ত সড়কে ব্রিক সলিনের কাজ করা হয়। পরবর্তী সড়কটি কার্পেটিং করার হবে বলে জনপ্রতিনিধি অনেকে ওয়াদা দিলেও দীর্ঘ এক যুগ পরও ওই সড়কের একই অবস্থা। খানা-খন্দক ও গর্ত সৃষ্টি হয়ে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী কামাল হোসন বলেন, এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত কয়েক লাখ টাকার কাঁচা মালামাল উখিয়া বাজারে নিয়ে আসা হয়। সরকার ওই সব কাচা মাল থেকে বিপূল পরিমাণ রাজস্ব পেলেও সড়কটি ব্যাপারে কোন মাথা ব্যথা কারও নেই। স্থানীয় ইউপি সদস্য মীর সাহেদুল ইসলাম রুমান চৌধুরী বলেন, গত ১২ বছরে এ সড়কে কোন প্রকার উন্নয়ন হয়নি। এমনকি সড়কের মাঝে মাঝে যে সমস্ত খানা খন্দক সৃষ্টি হয়েছে, তাতেও এক গাড়ি-কংক্রিট পর্যন্ত দেয়া হয়নি। ডিগলিয়াপালং এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান বলেন, সড়কটি কার্পেটিং করা হলে পূর্বাঞ্চলীয় জনপদের ২৫হাজার মানুষের দু:খ দুর্দশা দুর হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করে সহস্রাধিক পরিবার উপকৃত হবে। উখিয়া এলজিইডি উপ-সহকারী প্রকৌশলী বলেন, সড়কটি কার্পেটিং করার ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা হয়েছে। অপরদিকে টেকনাফের হ্নীলা দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেহাল দশা হয়ে গাড়িয়েছে। একটু বৃষ্টি হলে হাটু পানির চলাচলে ভোগান্তির যেন শেষ নেই। হ্নীলা বাস স্টেশনের জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বাস স্টেশন চৌরাস্তার মোড় হতে পশ্চিমে দুই কিলোমিটার পানখালী সড়ক জনচলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
×