ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গত অর্থবছরে ব্যাংকের শেয়ারে লেনদেন বেড়েছে ৭৪ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৫:০৪, ৪ জুলাই ২০১৭

গত অর্থবছরে ব্যাংকের শেয়ারে লেনদেন বেড়েছে ৭৪ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) খাতভিত্তিক লেনদেনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। আলোচ্য বছরে ব্যাংক খাতে লেনদেন বেড়েছে ৭৪.৪২ শতাংশ এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার লেনদেন বেড়েছে ৯০.৫৪ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ডিএসইর তথ্যে দেখা গেছে, আলোচ্য বছরে আর্থিক খাতে ১৭ হাজার ৯৩ কোটি ৮৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা মোট লেনদেনের ৯.৪৭ শতাংশ। লেনদেনকৃত শেয়ারের সংখ্যা ৫৫১ কোটি ৫৪ লাখ ৬৬ হাজার ১৩৮টি। এর আগের অর্থবছরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ৫ হাজার ৩২৫ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল, যা ছিল মোট লেনদেনের ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ সময়ে শেয়ার ভলিয়ম হয়েছিল ২০৬ কোটি ৮৩ লাখ ৯৯ হাজার ৫২২টি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ব্যাংকিং খাতে ২৪ হাজার ৭৪৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। আলোচ্য বছরে শেয়ারের ভলিয়ম হয়েছে ১ হাজার ২১১ কোটি ৯২ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৫টি। গত অর্থবছরে ব্যাংক খাতে মোট লেনদেন হয়েছিল ৮ হাজার ৪২৭ কোটি ১০ লাখ টাকার, যা ছিল মোট লেনদেনের ৭.৮৬ শতাংশ। এ সময়ে শেয়ার ভলিয়ম ছিল ৪৭৩ কোটি ২৫ লাখ ৫৭২টি। আলোচ্য বছরে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে প্রকৌশল খাতে। এ খাতে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৪২৬ কোটি ২৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৫.১৯ শতাংশ। তবে প্রকৌশল খাতের লেনদেন গত অর্থবছরের তুলনায় কমেছে। গত অর্থবছরে এ খাতে লেনদেন ছিল ১৬.৬১ শতাংশ। মোট লেনদেন হয়েছিল ১৭ হাজার ৮১৮ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জ্বালানি ও বিদ্যুত এবং ওষুধ খাতে মোট লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। আলোচ্য বছরে জ্বালানি ও বিদ্যুত খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ২০ হাজার ৮০৪ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ১১.৫২ শতাংশ। গত অর্থবছরে এ পরিমাণ ছিল ১৪.৭৩ শতাংশ। আর ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ২২ হাজার ৯০১ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ১২.৬৯ শতাংশ। গত অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ১৬.২৭ শতাংশ। এছাড়া আলোচ্য বছরে অন্যান্য খাতের মধ্যেÑ ডিএসইর মোট লেনদেনে মিউচুয়াল ফান্ডে ১.৬৭ শতাংশ, খাদ্য খাতে ৩.৫৭ শতাংশ, পাট খাতে দশমিক ১৯ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ১২.১৬ শতাংশ, কাগজ ও মুদ্রণ খাতে দশমিক ১৫ শতাংশ, সেবা ও আবাসনে ২.১১ শতাংশ, সিমেন্টে ২.৯০ শতাংশ, তথ্যপ্রযুক্তিতে ২.২১ শতাংশ, ট্যানারিতে ১.২২ শতাংশ, সিরামিকে ১.০১ শতাংশ, বীমাতে ১.৯৩ শতাংশ, পর্যটন খাতে ১.৩০ শতাংশ, টেলিকম খাতে ১.৪৯ শতাংশ এবং বিবিধ খাতে ১.৩০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
×