ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দ্বিরুক্ত শব্দ

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ৪ জুলাই ২০১৭

দ্বিরুক্ত শব্দ

(পূর্ব প্রকাশের পর) পদাত্মক দ্বিরুক্তি নিম্নোক্তভাবে গঠিত হতে পারে- ১. একই পদ অবিকৃতভাবে পরপর দুইবার ব্যবহৃত হয়ে। যেমন- ঘরে ঘরে লেখাপড়া হচ্ছে। দেশে দেশে ধন্য ধন্য পড়ে গেলো। মনে মনে আমিও এ কথাই ভাবছিলাম। ২. দ্বিতীয় পদ কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে। তবে এক্ষেত্রেও পদ-বিভক্তি অপরিবর্তিত থাকে। অর্থাৎ, মূল শব্দ কিছুটা পরিবর্তিত হয়, কিন্তু বিভক্তি অপরিবর্তিত থাকে। যেমন- আমরা হাতে-নাতে চোরটাকে ধরেছি। ৩. সহচর, সমার্থক বা বিপরীতার্থক শব্দ একই বিভক্তি যুক্ত হয়ে পরপর ব্যবহৃত হয়ে দ্বিরুক্ত শব্দ গঠন করতে পারে। যেমন- আমার সমত্মান যেন থাকে দুধে-ভাতে। দেশে বিদেশে বইটি লিখেছেন সৈয়দ মুজতবা আলী, আর পথে-প্রবাসে লিখেছেন মুহম্মদ এনামুল হক। পদাত্মক দ্বিরুক্তির প্রয়োগ বিশেষ্য পদের দ্বিরুক্তি (উল্লেখ্য, বিশেষ্য পদের দ্বিরুক্তি হলে সেগুলো বিশেষণ পদের মত কাজ/ আচরণ করে। অর্থাৎ, বিশেষ্য পদের দ্বিরুক্তি হলে সেগুলো বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।) ১. আধিক্য বোঝাতে : রাশি রাশি ধন, ধামা ধামা ধান ২. সামান্য বোঝাতে : আমার জ্বর জ্বর লাগছে। কবি কবি ভাব। ৩. পরস্পরতা বা ধারাবাহিকতা বোঝাতে : তুমি দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছ। ওরা বাড়ি বাড়ি হেঁটে চাঁদা তুলছে। ৪. ক্রিয়া বিশেষণ : ধীরে ধীরে যায়, ফিরে ফিরে চায়। ৫. অনুরূপ কিছু বোঝাতে : তার সঙ্গী সাথী কেউ নেই। ৬. আগ্রহ বোঝাতে : ও দাদা দাদা বলে ডাকছে।
×