ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৩:৪৬, ৪ জুলাই ২০১৭

ঢাকার দিনরাত

আমাদের এই রাজধানী শহরটি বছরে দু’বার খানিকটা বিশ্রাম নেবার সুযোগ পায়। খানিকটা ঘুমিয়েও নেয় কি? না ঘুমোলেও তার নিশ্চয়ই তন্দ্রা ভাব আসে। যদি বলি ঢাকা হলো নকল রাজাধিরাজ, অনেকটা সৎ পিতার মতো। তার বেশিরভাগ সন্তানেরা ফেরে আপন মাতৃক্রোড়ে, বছরে দুইবার নিয়ম করে দুই ঈদে। তাহলে কি খুব ভুল বলা হবে? ঈদের ঠিক আগে কয়েকটা দিন ঢাকা থাকে অন্যরকম। ঈদের অব্যবহিত পরেও থাকে অন্যরকম। চিরচেনা ঢাকাকে চেনা যায় না, যানজটের ধকল সয়ে তিন ঘণ্টার পথ সেই সময় পেরুনো যায় মাত্র পঁয়তাল্লিশ মিনিটে। ঢাকার বাতাসে তখন শ্বাস নিতে কষ্ট হয় না। এসবই হয়ে থাকে ঢাকা জনচাপমুক্ত হওয়ায়, আর ছুটিতে কলকারখানা বন্ধ থাকায়, রাস্তায় গাড়ির পরিমাণ লক্ষ্যযোগ্যভাবে কমে আসায়। তবে ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকায় বসত গড়ে তোলা প্রায় কোটি মানুষ ঢাকা ছেড়ে গেলে নগরীর প্রাণভোমরাটি কি কেঁদে ওঠে না! তাতে কি ছন্দপতন আসে না? ঢাকা তাই প্রতীক্ষায় থাকে ঈদের ছুটি ফুরানোর। শহর থেকে সাময়িকভাবে অনুপস্থিত মানুষগুলোকে স্বাগত জানানোর জন্য তার ব্যাকুলতা ক্রমশ বাড়ে। ঈদের সময়, ঈদের আগে এবং পরে রাজধানীর চিত্র অন্যান্য বছরের মতো এবারও একইরকম ছিল- এমনটা বলা যেতে পারে। ঈদের আগে ঢাকা ফাঁকা করে বিপুলসংখ্যক মানুষের ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায়- শহর ও গ্রামের উদ্দেশে ছুটে যাওয়া সাধারণ নিয়মে পরিণত। যারা ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও যেতে ব্যর্থ হন তাদের হৃদয়ের ভেতর চেপে রাখা দীর্ঘশ্বাস, যারা যান না বলে আগে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাখেন তারা এবং তাদের সঙ্গে ঢাকার অন্যান্য নাগরিকরা ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নেন। রাস্তাঘাটে যানবাহন ও মানুষের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে আসায় ঢাকার চিরচেনা বা বলা ভাল স্থায়ী হয়ে যাওয়া রূপ বদলে যায় সাময়িকভাবে। বহু প্রতীক্ষিত ঈদের দিন পার করেই পরের দিনটা পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করার ইচ্ছা থেকে চিড়িয়াখানা, শিশুপার্ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পার্ক, দর্শনীয় স্থান ও বিনোদনকেন্দ্রে ভিড় করার একটা প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায় বরাবরই। অনেকে আবার পদ্মা বা যমুনা পাড়ে চলে যান সময় কাটাতে। সব মিলিয়ে ঈদে অবধারিতভাবে পাওয়া তিন-তিনটে ছুটির দিন ঢাকার দিন ও রাত কী ব্যস্ততার ভেতর দিয়েই না চলে যায়। এখানেও দু’রকমের অনুভূতি কাজ করে। একদল আছেন যাদের কাছে তিনটে দিন যেন মোটে একটা দিনের সময় দৈর্ঘ্য নিয়ে উপস্থিত হয়। ঈদের ছুটি শেষে মনে হয়- ইশ এত তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে গেল! আরেক দলের ছুটি যেন ফুরোতেই চায় না। তিন তিনটে দিন তাদের কাছে অলস সুদীর্ঘ এক বিরক্তি। আসলে ঈদের আনন্দ আর চাঞ্চল্য সব যেন অল্পবয়সীদেরই, বড়রা স্রেফ নিয়ম রক্ষা করে চলেন। তবু তাদের প্রাণেও যে ঈদ এসে বাঁশি বাজায় না- এ কথাও আমরা জোরের সঙ্গে বলতে পারি না। ঢাকার মানুষ ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরে আসতে শুরু করে ঈদের একদিন পর থেকেই। প্রায় সপ্তাহব্যাপী চলে এই কর্মস্থলে ফিরে আসার প্রক্রিয়া। ‘কর্মস্থল’ শব্দটি ইচ্ছা করেই ব্যবহার করা হয়েছে বাসাবাড়ির পরিবর্তে। একমাত্র ঈদ এলেই তো বোঝা যায় ঢাকার সিংহভাগ মানুষই ঢাকার বাইরে থেকে আসা। ঢাকায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে ঢাকাতেই আপাতত স্থায়ীভাবে তাদের থেকে যাওয়া। যদিও শিকড় তাদের ঢাকার বাইরে, মফস্বল শহরে কিংবা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে। বছরে অন্তত একটিবারের জন্য হলেও নাড়ির টানে সেখানেই ছুটে যাওয়া। ঢাকার মানুষগুলো ঢাকার বাইরে নিজ নিজ ঠিকানায় অল্প ক’দিনের জন্য গিয়ে সেই পুরনো দিনের মানুষটাতেই কি পরিণত হয় না? যিনি খুবই কঠোর বা রাশভারি, তিনিও স্বল্প সময়ের জন্য হলেও প্রথম ঢাকায় আসার আগের মন আর মেজাজ যেন ফিরে পান। যদি বলি অবয়বের ওপর সেঁটে বসা মুখোশখানি ক্ষণিকের জন্য হলেও খুলে পড়েÑ তাহলে ভুল বলা হবে না। আবার ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতে ফিরতে সেই ঢাকার মানুষটির খোলসের মধ্যেই আবার একটু একটু করে তার প্রত্যাবর্তন ঘটতে থাকে। ইট-কাঠ-সিমেন্ট আর ধুলো-ধোঁয়া-যানজট এবং শব্দদূষণের এই শহরে ওই মানুষগুলোর পরিচয় সব পোশাকী বটে। পেশাগত কারণে যেমন তাদের ঢাকায় থাকা, তেমনি পেশাগত পরিচয়টাই সব পরিচয় ছাপিয়ে প্রধান হয়ে ওঠে। যাক, তবু তো কোটি মানুষের একটা উপলক্ষ আছে আপন দর্পণের সামনে দাঁড়ানোর। সেই দর্পণ তার আদি ও অকৃত্রিম ভেতরের মানুষটিকে এক লহমায় সামনে টেনে বের করে আনে। মানুষ আবার পরিপূর্ণ মানবিক হয়ে ওঠে। অশ্রু ও ফুল গত বছর ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারির নৃশংস হত্যাকাণ্ডে বেদনাহত, স্তম্ভিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছিল বাংলাদেশ। জঙ্গী হামলায় দেশী-বিদেশী ২২ নাগরিক নিহত হন। তাদের স্মরণ করেছে মানুষ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে। ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় হলি আর্টিজান প্রাঙ্গণের শ্রদ্ধাতর্পণের বেদী। সবার হৃদয় ছিল রোদনভরা। বহুজন অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি। তাদের চোখ মুছতে দেখা যায়। নিজ দেশের নিহত নাগরিকদের শ্রদ্ধা জানাতে আসেন জাপান ও ইতালির প্রতিনিধি দল। সংস্কৃতিকর্মীরা জাতীয় শহীদ মিনারে সমবেত হন। পয়লা জুলাই এখন আমাদের আরও একটি শোকচিহ্নিত দিবস। শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হলে আমাদের জঙ্গীবাদ উপড়ে ফেলার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। সেটাই বরং জরুরী। গুলশান ট্র্যাজেডি অনেক হিসাব ওলটপালট করে দিয়েছে। গণজাগরণ মঞ্চের ঐতিহাসিক সূচনার পর ব্লগার হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে নবপর্যায়ে জঙ্গী-সন্ত্রাসের শুরু। পরে হেফাজতি সন্ত্রাস বিস্তৃত হলে আমরা ধরে নিয়েছিলাম মাদ্রাসার ছাত্ররাই জঙ্গী হচ্ছে। তারাই টার্গেট কিলিং করছে। কিন্তু হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গী হামলাকারীদের পরিচয় জানার পর সমাজ নড়েচড়ে বসে। মাদ্রাসার জঙ্গীরা যদি হয় ছিঁচকে চোর-হাইজ্যাকার, ইংরেজী মাধ্যমে পড়ুয়া সন্ত্রাসীরা তবে আধুনিক ডাকাত। অভিন্ন ধ্বংসযজ্ঞের দুই পর্যায়ের কর্মী এরা। দ্বিতীয় দলটি ধ্বংসের ব্যাপকতা দেখিয়েছে। পশ্চিমা বিশ্বের বিরাট প্রচার পেয়েছে। এটাকে শুধু মানবহত্যা হিসেবে দেখা চলে না। এটি একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রকে নানাভাবে কোপানোরই নামান্তর। জঙ্গী দমন তৎপরতার সমান্তরালে আমাদের মনে এই ভাবনাও ভর করছে যে, জঙ্গী হওয়ার সব পথ কীভাবে বন্ধ করা যায়। এই পথরেখা সন্বন্ধে আমাদের ধারণা কি এখন পর্যন্ত ভাসাভাসা নয়! স্বাধীনতা অর্জনের পর সাড়ে চার দশকের সমাজ নিরীক্ষণের ফলগুলো আমাদের জানা চাই। প্রয়োজনে চাই নতুন নিরীক্ষণ। নির্মোহ নির্দলীয় বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক নিরীক্ষণ। শিশুকে কি প্রথম শ্রেণী থেকে একটু একটু করে সচেতন করে তোলা দরকার। মাদ্রাসার যে ছাত্রটির সামনে ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে তাকে সঠিক ধর্মশিক্ষা দেয়ার উপায় কী? অভিভাবকদের কাছে আমরা কী বার্তা দেব, কিভাবে দেব? সেই বার্তাটি তারা অনুসরণ করবেন, তার নিশ্চয়তা কিভাবে পাব। তরুণদের আমরা কিভাবে চোখেচোখে রাখব। মসজিদে, ঈদগাহে, ওয়াজ মাহফিলে ধর্মবাণী বয়ানের ক্ষেত্রে নেতিবাচক সূত্রগুলোকে আমরা কিভাবে পরিহার করাব। মোটকথা আমাদের সন্তান যেন জঙ্গীবাদের পথে না হাঁটে সেজন্য আমাদের কী কী করণীয়। একজন সমাজতাত্ত্বিক, একজন মনোস্তাত্ত্বিক, একজন শিক্ষাবিদ, একজন ধর্মবিশেষজ্ঞ, এমনি করে বহুজনের বহুমতের সমন্বয় আমরা কিভাবে করব। করণীয় দিকগুলো নির্ধারণের পর কিভাবে এগুবো। এসব বিষয় নিয়ে গভীর ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন রয়েছে। তা না হলে কেবল দিবস পালনের মধ্যে আবদ্ধ থেকে সমাজকে রাহুমুক্ত করা সম্ভব হবে না। জীবন্ত দগ্ধ পশুর জন্য... রাজধানীর গাবতলী পশুহাটে বৃহস্পতিবার সকালে যে অগ্নিকাণ্ড ঘটে সেটিকে রহস্যময় ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগেও একই হাটে একাধিকবার আগুন লেগেছে। এবারের অগ্নিকা-ে কমবেশি ১৯টি অবলা পশুর বীভৎস মৃত্যু অনেক পশুপ্রেমীকে দুঃখ দিয়েছে। অনেকেরই শরৎচন্দ্রের মহেশ গল্পের কথা মনে পড়ে যাবে। গাবতলী হাটে কোন দগ্ধ পশুর মালিকই হয়ত গফুর মিঞার মতো হতদরিদ্র নন, তারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তবু তাদের অন্তরেও যে গফুর মিঞার মতোই মানবতাবোধ ও পশুপ্রেম রয়েছে সে বাস্তবতা মানুষ উপলব্ধি করেছেন। আমরা জানি, হাটে বা বাজারে অগ্নিকাণ্ডে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি এমনকি প্রাণহানিও নতুন নয়। কিন্তু খুঁটিতে বাঁধা থাকা অবস্থায় আগুনে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে গৃহপালিত পশু ছটফট করতে করতে প্রাণত্যাগ করছেÑ এই দৃশ্য সত্যিই হৃদয়বিদারক। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ওই অগ্নিকাণ্ডের স্থির ও সচল চিত্র ও ভাষ্য নাগরিকদের বেদনাহত করেছে সন্দেহ নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এর প্রকাশ দেখা গেছে। মানুষ হিসেবে আমরা আত্মশ্লাঘা অনুভব করতে পারবো তখনই, যখন অগ্নিকা-ের মতো কোনো দুর্ঘটনায় পশুদের অপমৃত্যু রোধে সচেতন ও সতর্ক থাকবো। তাছাড়া হাট-বাজারে দুর্ঘটনা-বীমা প্রচলনের বিষয়টিও ভেবে দেখা চাই। ঈদের দিন পঙ্গু হাসপাতালে অনেক রোগীরই ঈদের দিন কাটে স্বজনদের মুখ দেখার আশায়। অথচ তাদের সেই আশা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পূরণ হয় না। সাধারণত অবস্থাসম্পন্ন রোগীরা প্রাইভেট ক্লিনিক বা হাসপাতালেই চিকিৎসা করান। পঙ্গু হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নেন তাদের ভেতর যেমন হতদরিদ্র রোগী আছেন, তেমনি আছেন নিম্নবিত্ত বা স্বল্পবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। পঙ্গু হাসপাতালের দুস্থ রোগীদের ওয়ার্ডে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটালেও একবারের জন্যেও মনে হবে না যে আজ ঈদের দিন। কোথাও কোন খুশি নেই, নেই নতুন পোশাক পরে রোগীর কোন নিকটজনের আগমন। ব্যতিক্রম শুধু দুপুরের খাবার পরিবেশনে। পোলাউ-মুরগির মাংস ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। এখানেও কিছুটা ‘কৃচ্ছ্রতা’ চোখে পড়ে। পাতলা ডালের মতো লালচে ঝোলের নিচে ডুবে থাকে মাংসের ছোট ছোট পিস। বিতরণকৃত রসগোল্লাও বাজারের সবচাইতে ক্ষুদ্রাকৃতির। তবু তো রোগীরা এদিন ‘উন্নত মানের’ খাবার খেতে পারছেন। এখানে একজন রোগীর সঙ্গে তার নিকটজনও থাকেন। তাদের সংখ্যা অনেক সময় একাধিকও হয়ে থাকে। তারা অবশ্য ওই খাবার পান না। শুধু রোগীর জন্যই বরাদ্দ হাসপাতালের খাবার। অন্তত ঈদের দিন প্রতিটি রোগীর পাশাপাশি অন্তত বাড়তি একজনের খাবার সরবরাহ করার ব্যবস্থা নেয়া কি বিরাট কিছু? এটি স্রেফ সদিচ্ছার প্রশ্ন। ঈদের দিন মেহমানদের জন্য বাসাবাড়িতে বাড়তি খাবার রাখা আমাদের সংস্কৃতিরই অংশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনুরূপ বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন। হাসপাতালে পেয়িং বেডের সংখ্যা প্রায় ত্রিশ থেকে চল্লিশ শতাংশ। সাধারণ ওয়ার্ডের এই পেয়িং বেডের প্রতিদিনের ফি ২৭৫ টাকা। চালের বস্তা মাথায় তুলে টানতে গিয়ে কিশোরগঞ্জের এক প্রত্যন্ত গ্রামের যুবক হাবীব দুর্ঘটনায় পড়েন। দুই হাত-দুই পা অবশ হয়ে আছে তার। অসুস্থ বৃদ্ধ মা সন্তানের সঙ্গে আছেন। মেঝেতেই শুতে হয় তাকে। রোগীর বড় ভাই দু’জনেরই দেখাশোনা করছেন। ঈদের দিন দুপুরে খাওয়ার জন্য পাউরুটি কিনে এনেছেন তিনি এক ফাঁকে। এরা বেডের ভাড়া দেবেন কিভাবে! হাবীবের মতো দুস্থ এবং মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত আছেন অনেকেই। এ ধরনের রোগীর জন্য ৪৫ দিন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কেউ কেউ মারা যান। মৃত ব্যক্তির পরিবারের কাছ থেকে পেয়িং বেডের বকেয়া ভাড়া আদায় করা কিছুটা অমানবিকই মনে হয়। একজন সেবিকার কণ্ঠে কষ্ট ঝরে পড়ল, সরকার কি এসব ক্ষেত্রে ফি মওকুফ করতে পারে না? ০২ জুলাই ২০১৭ [email protected]
×