ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে ব্লাটারের বোধোদয়

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ৩ জুলাই ২০১৭

অবশেষে ব্লাটারের বোধোদয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এক সময় ফুটবল বিশ্বের অধিপতি ছিলেন। টানা ১৭ বছর তিনি বিশ্বফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার সভাপতির আসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন। কিন্তু ২০১৫ সালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাকে পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়। ৮১ বছর বয়সী ব্লাটারকে নিষিদ্ধ করা হয় সবধরনের ফুটবল থেকে। সে সময় বেশ হম্বিতম্বি করলেও এখন বোধোদয় হয়েছে এ ফুটবল নেতার। এতদিন পর তিনি উপলব্ধি করছেন আরও আগেই সভাপতির পদ থেকে স্বেচ্ছাবসরে যাওয়া উচিত ছিল তার। ব্লাটারের অন্যতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন মিশেল প্লাতিনি। তার সঙ্গেই ২ মিলিয়ন সুইস ফ্র্যাঙ্ক লেনদেন করেছিলেন ব্যাংক ট্রান্সফারে। আর সেটাই অবৈধ প্রমাণিত হয়। যদিও ফুটবল উন্নয়নের স্বার্থেই ওই অর্থ প্লাতিনিকে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন ব্লাটার এবং প্লাতিনিও সুর মেলান। কিন্তু তদন্তে তেমন কোন কাজে ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলশ্রুতিতে দু’জনকেই সবধরনের ফুটবল কর্মকা- থেকে ভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ করা হয়। সেই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আইনী লড়াই অনেক চালিয়েছেন ব্লাটার ও প্লাতিনি। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমলেও নির্দোষিতা প্রমাণ হয়নি। তবে কোন সময়ই নিজেদের দোষ স্বীকার করেননি এ দুই ফুটবল ব্যক্তিত্ব। কিন্তু এতদিন পর ব্লাটারের মনে হচ্ছে আরও আগেই সরে যাওয়া উচিত ছিল প্রেসিডেন্ট পদ থেকে। এ বিষয়ে তিনি সুইজারল্যান্ডের এক পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাতকারে বলেন, ‘এটা থেকে আমার নিজেই থেমে যাওয়া উচিত ছিল আগেভাগে। ফিফা প্রধানের পদ থেকে বিতাড়িত হয়ে এখন বরং স্বস্তিবোধ করছি।’ ২০১৫ সালে ফিফা সভাপতি নির্বাচনে টানা পঞ্চমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছিলেন ব্লাটার। এরপর দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরই পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা নিয়ে দীর্ঘসূত্রতা এবং নিজের অতি কাছের প্লাতিনিকে সভাপতি বানানোর পাঁয়তারা করতে গিয়েই ফেঁসে যান। ফিফার নৈতিক কমিটি তাকে বরখাস্ত করে। এক সুইস ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক তাকে আগেই বলেছিলেন সরে যেতে। এ বিষয়ে ব্লাটার বলেন, ‘২০১৪ সালে এই জায়গায় বসে তিনি আমাকে বলেছিলেন সরে যেতে।
×