ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাউফলে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৩২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা-পাল্টা মামলা

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ৩ জুলাই ২০১৭

বাউফলে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৩২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা-পাল্টা মামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ২ জুলাই ॥ বাউফল উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৩২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগে শনিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২১ জুন বিকেলে উপজেলা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদ লিংকনকে বাউফল পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা লিংকন বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান হাসান, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ রাহাদ জামসেদসহ ৩২ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিরা সবাই পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল গ্রুপের নেতাকর্মী। একই দিন সকালে উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয় ভাংচুর ও নওমালা ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাদা হাওলাদারকে মারধরের ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান বাদী হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নাজিরপুর ইউপির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম ফারুক, পৌর যুবলীগের সভাপতি মামুন খান ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ সিকদারকে আসামি করে থানায় অপর একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার সকল আসামিরা চীফ হুইপ ও বাউফলের এমপি আসম ফিরোজ গ্রুপের নেতা। এছাড়াও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও কৃষি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী ও বাউফল উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী এবং জেলা পরিষদের সদস্য রুনিয়া বেগমের ছেলে সাইদুর রহমান সুমনকে মারধর ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের অভিযোগে উপজেলা শ্রমীক লীগের (মেয়র গ্রুপ) সভাপতি শফিজ সিকদারসহ ৫-৬ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় শফিজ সিকদার বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। প্রেমিকের প্ররোচনায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ২ জুলাই ॥ সদরপুরে সাবেক প্রেমিকের প্ররোচনায় এক কলেজপড়ুয়া ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। ওই কলেজ ছাত্রীর নাম বিথী আক্তার (১৯)। সে সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পূর্ব শৌলডুবী গ্রামের আঃ কুদ্দুস মাতুব্বরের মেজ কন্যা। সে সদরপুর সরকারী কলেজে বিএ অধ্যায়নরত ছিল। শনিবার রাতে নিজঘরের আড়ার সঙ্গে গলাস ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সদরপুর থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনার পর থেকেই প্রেমিক মিঠুন পলাতক রয়েছে। জানা গেছে, প্রতিবেশী মিঠুন মাতুব্বরের প্রেমের সম্পর্কে হয় বিথীর। মিঠুন একই এলাকার চাঁন মিয়া মাতুব্বরের পুত্র। সে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে পড়াশোনা করে। কয়েক মাস আগে পারিবারিকভাবে নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের দাঁতপুর গ্রামের এক সৌদি প্রবাসীর সঙ্গে বিবাহ হয় বিথীর। মিঠুন বিথীকে পাওয়ার জন্য বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই বিথীর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করে মিঠুন বিথী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করে। যার কারণে বিথীকে ডিভোর্স দেয় তার স্বামী। ডিভোর্সের পর সাবেক প্রেমিক তাকে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা ও তার কথামতো চলতে বাধ্য করেন। প্রেমিকের দাবি পূরণ না করায় তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায়। এছাড়াও পারিবারিকভাবে তাদের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে অপারগতা জানায় দুই পরিবার। এতে গত শনিবার রাতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় কলেজ ছাত্রী বিথী।
×