অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বছর গড়িয়ে অবিশ্বাস্য এ ঘটনার ক্ষত খানিকটা মলিন হয়ত হয়েছে, তবে তা মুছে যায়নি। যে ক্ষত দাগ কেটে গেছে গোটা দেশের ভাবমূর্তি ও ব্যবসা বাণিজ্যে। তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনায় তৈরি পোশাকের অনেক ক্রেতাই মুখ ফিরিয়ে নেন বাংলাদেশ থেকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে থেকে ব্যবসা পরিচালনায় এখনও সবুজ সংকেত মেলেনি জার্মানি, জাপান ও ইতালির মতো বড় ক্রেতাদেশগুলোর। সরকার তৎপর হলেও বিদেশী ক্রেতাদের কাছে এদেশ এখনও সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত নয়। যদিও বিজিএমই এর দাবি এর প্রভাব কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।
মুহূর্তের মুহুর্মুহু গুলিতে সে রাতে প্রাণ যায় ১৭ বিদেশী নাগরিকসহ ২২ জনের। হলি আর্টিজানের সন্ধ্যাকালীন আড্ডার এক মুহূর্ত হঠাৎই যেন গোটা বিশ্বের কাছে হয়ে ওঠে নজিরবিহীন এক ধ্বংসযজ্ঞ। বছর গড়িয়ে অবিশ্বাস্য এ ঘটনার ক্ষত খানিকটা মলিন হয়ত হয়েছে, তবে তা মুছে যায়নি। যে ক্ষত দাগ কেটে গেছে গোটা দেশের ভাবমূর্তি ও ব্যবসা বাণিজ্যের শাখা প্রশাখায়।
যার বড় প্রভাব পড়ে দেশের শীর্ষ রফতানিমুখী শিল্প তৈরি পোশাক খাতের ওপর। ভয় আতঙ্ক আর শঙ্কায় ফিরে যান অনেক বিদেশী ক্রেতা। কেউ আবার খুঁজে নেয় নতুন বাজার। নানা প্রতিকূলতায় গত এক বছরে এ খাতের রফতানি প্রবৃদ্ধিতে যোগ হয়েছে কেবল হতাশার গল্প। অর্থবছরের ১১ মাস শেষে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২ ভাগ (২.১৬ শতাংশ)।
তবে এ নিয়ে বিজিএমইএ বলছে, হলি আর্টিজান ঘটনা পোশাক খাতের জন্য সাময়িকভাবে বড় ধাক্কা বয়ে আনলেও, তার প্রভাব এখন কেটে গেছে। ক্রেতাদের কাছেও সমস্যাটি বৈশ্বিক। তবে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম হোসেন বলছেন, এখনও স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে থেকে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত নেই জার্মানি, জাপান, ইতালির মতো বড় ক্রেতা দেশগুলোর। তার মতে, বৈশ্বিক এ সমস্যা মোকাবেলায় সরকার তৎপর হলেও বাংলাদেশকে ঝুঁকিমুক্ত মনে করছেন না বিদেশী ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে বিজিএমইএ সভাপতির সিদ্দিকুর রহমান বলছেন, নিরাপত্তার জন্য এমন অনেক দেশেই প্রশাসনিক নির্দেশনা থাকে, তা সত্ত্বেও সবাই আসছেন এবং ব্যবসায়িক কাজ সারছেন।
সব বন্দর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের সব স্থল ও নৌবন্দর দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে সচিবদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। ওই বৈঠকে ৭১ জন সচিব অংশ নেন। নানা বিষয়ে সচিবদের মতামত জানার পর কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সঠিক পদ্ধতিতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সে অনুযায়ী এগিয়ে যেতে কর্মকর্তাদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্রুত অগ্রগতির জন্য দেশের কিছু প্রকল্পকে ফাস্ট ট্র্যাক বা অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। সেগুলো বাস্তবায়নে তৎপর হতে হবে। অগ্রাধিকার পাওয়া প্রকল্পগুলো যথাসময়ে শেষ করতে হবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: