ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আরও ৫.২ বিলিয়ন ডলার রফতানি করতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৩ জুলাই ২০১৭

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আরও ৫.২ বিলিয়ন ডলার রফতানি করতে হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে বাকি ১ মাসে রফতানি করতে হবে ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। অথচ ১১ মাস গড় রফতানি হার ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ব্যবসায়ী এবং বিশ্লেষকরা বলছেন, যা প্রায় অসম্ভব। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক পিছিয়ে তৈরি পোশাক খাত। তবে চামড়া, চা, পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি প্রবৃদ্ধি বেশ ভাল। চলতি বছর অর্থনীতির জন্য অন্যতম বড় সঙ্কট রফতানি খাত। গেল ১১ মাস ধরেই যা থেকে আয় ছিল প্রত্যাশার চেয়ে কম। সবচেয়ে বড় খাত তৈরি পোশাকও এ সময় ছুঁতে পারেনি লক্ষ্যমাত্রা। যার কারণ হিসেবে বারবারই সামনে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবির তথ্য বলছে, গত বছরের জুলাই থেকে এ বছরের মে মাস পর্যন্ত আয় হয়েছে ৩১৭৯ কোটি ডলার। বিপরীতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল সোয়া তিন হাজার কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রত্যাশার চেয়ে কমেছে সাড়ে চার শতাংশ। ফলে অর্থবছরের জন্য দেয়া ৩৭০০ কোটি ডলারের লক্ষ্য পূরণে শেষ মাসে আয় করতে হবে সোয়া পাঁচশ’ কোটি ডলার। যা প্রায় অসম্ভব। এই সময়ে তৈরি পোশাকের রফতানি বেড়েছে মাত্র ২ শতাংশ। এর মধ্যে নিট পোশাকের রফতানি কিছুটা বাড়লেও কমেছে ওভেন থেকে আয়। আর বাজার ভিত্তিক তথ্য বলছে, বছর ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আয় কমেছে ৫ শতাংশ। যদিও পৌনে ছয় শতাংশ রফতানি বেড়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারগুলোতে। সার্বিক রফতানিতে কিছুটা ভাল খবর দিয়েছে চামড়া খাত। বছর ব্যবধানে যেখান থেকে আয় বেড়েছে নয় শতাংশের বেশি। এর মধ্যে চামড়াজাত পণ্যের রফতানি বেড়েছে পাঁচ ভাগের একভাগ। যদিও কিছুটা আয় কমেছে কাঁচা চামড়া রফতানি করে। এছাড়াও প্রায় দশ শতাংশ বেশি আয় করেছে পাট ও পাটজাতপণ্য। ৮৬ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এসেছে ৯০ কোটি ডলারের বেশি।
×