ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্যারিসে তিন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক

অভিবাসী সঙ্কট ॥ সব বন্দর বন্ধের হুমকি ইতালির

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৩ জুলাই ২০১৭

অভিবাসী সঙ্কট ॥ সব বন্দর বন্ধের হুমকি ইতালির

যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে আসা অভিবাসী ও শরণার্থী স্রোত অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে বলে সতর্কতা জারি করেছে ইতালি। এমনকি তাদের সকল বন্দর বন্ধ করে দিয়ে লিবিয়া থেকে শরণার্থী বহন করে নিয়ে আসা দাতব্য সংস্থার জাহাজগুলো জব্দেরও হুমকি দিয়েছে দেশটি। জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা রবিবার এ সঙ্কট নিয়ে প্যারিসে বৈঠকে বসেছেন। খবর বিবিসি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট অনলাইনের। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, আফ্রিকা থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়া ব্যাপক সংখ্যক মানুষকে রক্ষায় আরও বেশি সহায়তা প্রয়োজন। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ অভিবাসী ইতালীয় বন্দর দিয়ে পার হয়েছে। গেল সপ্তাহের শেষ দুইদিনে বারো হাজার শরণার্থী আসার পর এ স্রোত বন্ধে ইউরোপীয় দেশগুলোকে জোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে রোম। জাতিসংঘে ইতালীয় শরণার্থীবিষয়ক রাষ্ট্রদূত ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, ‘ইতালিতে আমাদের চোখের সামনে যা ঘটতে দেখছি, তাতে নতুন করে আরও সঙ্কট বাড়বে। এটা কেবল আমাদের একার সমস্যা হতে পারে না।’ রোমের কোস্টগার্ড বর্তমানে উদ্ধারাভিযানে সমন্বয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ইতালির সরকার বলছে, আফ্রিকা থেকে আসা এসব অভিবাসীদের একটা অংশের দায়ভার ইউরোপীয় দেশগুলোর নেয়া উচিত। বৃহস্পতিবার ইতালিকে অর্থনৈতিক সহায়তার আশ্বাস দেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিবাসনবিষয়ক দূত দিমিট্রিস আভরামোপোলাস। তিনি ইইউ দেশগুলোকে ইতালির প্রতি বড় ধরনের সংহতি ও সহযোগিতায় এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান। গ্রান্ডি বলেন, ‘কেবল গত সপ্তাহের শেষদিনে সাড়ে বারো হাজারেরও বেশি অভিবাসী ও শরণার্থী ইতালিতে প্রবেশ করেছে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৮৩,৬৫০ জন মানুষ ইতালিতে আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৬ সালে যেটা ২০ শতাংশ বেড়েছে।’ তিনি বলেন, চলতি বছরে দুই হাজার ত্রিশ ব্যক্তি ভূমধ্যসাগরে প্রাণ হারিয়েছে। অভিবাসীদের বড় একটা অংশ লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে প্রবেশ করে। পুরো সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে ইউরোপের প্রবেশ দ্বার হচ্ছে লিবিয়া। এছাড়া আরব উপদ্বীপ, মিসর, সিরিয়া ও বাংলাদেশ থেকেও এই পথ হয়ে তারা ইউরোপে প্রবেশ করে। বিশেষভাবে দরিদ্রপীড়িত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে লোকজন উন্নত জীবনের প্রত্যাশায় নিজ দেশ থেকে পালিয়ে ইউরোপে আসে।
×