ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী

উন্নত রাষ্ট্র গঠনে দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্ব

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৩ জুলাই ২০১৭

উন্নত রাষ্ট্র গঠনে দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্ব

একটি রাজনৈতিক ধারণা থেকে রাষ্ট্রের উৎপত্তি হয়। তবে রাষ্ট্র গঠনের পর সেই রাজনৈতিক ধারণার বিভিন্ন ধরনের বিবর্তন ঘটে। যদি সে বিবর্তন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটায় তবে তা উন্নত রাষ্ট্র গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়টি যদি নেতিবাচক হয় তবে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতায় বিঘ্ন ঘটে। কাজেই এ ক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। ১৯১৭ সালে জাতীয়তাবাদের ওপর বক্তৃতায় রবীন্দ্রনাথ রাষ্ট্রের কাজকে ডিমের খোসার সাথে তুলনা করেছেন। এই ডিম ও খোসার দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়টি একেক জনের কাছে একেক রকম। যখন ডিমের খোসাটি ডিমের ভেতরে থাকা ছানাটিকে নিরাপত্তা দেয় তখন তা ব্যক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। আর যখন রাষ্ট্রের মাধ্যমে ব্যক্তির নিরাপত্তা সুরক্ষিত হয় তখন ব্যক্তির মাধ্যমে সমাজ এবং সমাজের মাধ্যমে রাষ্ট্রের উন্নয়ন ঘটে। আবার এই ডিমের খোসাটি যখন সকালের প্রাতরাশকারীর কাছে অবাঞ্ছিত হয়ে ডিমের ছানাটি তার খাদ্যে পরিণত হয় তখন ব্যক্তির মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র বিপন্ন হয়। তবে এখানে প্রশ্ন হতে পারে রাষ্ট্র কিভাবে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে? কেননা অনেক ক্ষেত্রেই যখন আমরা রাষ্ট্রকে জড় পদার্থের সাথে তুলনা করি তখন রাষ্ট্রের প্রকৃত স্বরূপ বোঝার ক্ষেত্রে এক ধরনের হীনম্মন্যতা কাজ করে। ভৌগোলিক অবস্থান, জনসমষ্টি, সরকার ও সার্বভৌম ক্ষমতা; এ চারটি মৌলিক উপাদানে রাষ্ট্র গঠিত হয়। রাষ্ট্রের প্রধান পরিবর্তনশীল উপাদান হিসেবে সরকারকে চিহ্নিত করা যায়। রাষ্ট্রকে মানুষের সাথে তুলনা করলে সরকারকে তার আত্মা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে কোনভাবেই সরকার ও রাষ্ট্রকে এক করে দেখার সুযোগ নেই। যদি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কথা চিন্তা করা হয় তবে এখানে যেমন প্রচুর পরিমাণে খনিজ সম্পদ রয়েছে তেমনি কৃষি ও শিল্পে অগ্রগতির ক্ষেত্রে যে পরিবেশ থাকা দরকার তা বিদ্যমান। জনশক্তিকে জনসম্পদে রূপান্তর করার সুযোগ বাংলাদেশের মতো আর কোথাও নেই। এখানে সমুদ্র সম্পদের বিষয়টিও উল্লেখ করা যেতে পারে। আর যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, রাষ্ট্রের আবহমান ও সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ধারা এ দেশের মানুষকে প্রতিভাবান, পরিশ্রমী ও মেধাবী হিসেবে গড়ে তুলেছে। ফলে রাষ্ট্র তার নিজস্বতার মাধ্যমে স্বতন্ত্র উন্নয়নের বলয় তৈরি করে রেখেছে। তবে পরিকল্পনার মাধ্যমে কিভাবে এই উন্নয়নের বলয়কে ব্যবহার করা যেতে পারে সে বিষয়টি গভীরভাবে ভেবে দেখা যেতে পারে। আর এখানেই সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়টি বিবেচনার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে। যেহেতু ব্যক্তির সম্বনয়ে সরকার গঠিত হয় তখন একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে তা হলোÑ ব্যক্তি রাষ্ট্রকে প্রভাবিত করে নাকি রাষ্ট্র ব্যক্তিকে প্রভাবিত করে। অথবা ব্যক্তি ও রাষ্ট্র একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। এখানে ব্যক্তি বলতে যেমন সরকারকে বোঝানো হয়েছে আবার অন্যভাবে রাষ্ট্রের নাগরিকদেরও চিন্তা করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে অমর্ত্য সেনের ধারণাকে ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে ভাবা যেতে পারে। তিনি মানুষের জীবনযাত্রার অগ্রগতির সাথে একটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে সম্পর্কিত করেছেন। কেননা মানবিক অগ্রগতির বিষয়টি বিবেচনায় না নিলে অর্থনৈতিক অগ্রগতি থেমে যেতে পারে। আর বর্তমান সময়ের উন্নত রাষ্ট্র গঠনের ধারণা যতটা না রাজনৈতিক ধারণার ওপর নির্ভরশীল তার চেয়ে বেশি নির্ভরশীল হচ্ছে অর্থনৈতিক ধারণাকে কেন্দ্র করে। তবে এটি বাস্তবায়নের জন্য রাজনীতির মনস্তাত্ত্বিক ও সমাজতাত্ত্বিক ইতিবাচক ধারণাকে কোনভাবেই উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ তার ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে যদি সম্পদের ভা-ার হিসেবে চিহ্নিত হয় তবে সরকার ও নাগরিকের মনোভাবের ওপর ভিত্তি করে এই সম্পদের উৎকর্ষতা সাধন করা সম্ভব। এখানে সরকারের উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। যদি সরকারের উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়টি ইতিবাচক মনস্তাত্ত্বিক ও সমাজতাত্ত্বিক ধারণার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে তবে রাষ্ট্রের সম্পদকে সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে একটি উন্নত রাষ্ট্র গঠনের কথা চিন্তা করা অবান্তর কিছু নয়। তবে এক্ষেত্রে পূর্বশর্ত হিসেবে সুশাসন ও সুনীতি পরিকল্পনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা দরকার। আবার রাষ্ট্রের মূলনীতি ও দর্শনকেও কোনভাবে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। বাঙালী জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠিত হলেও সময়ের আবর্তনে এই মূলনীতিগুলো পরিবর্তিত হয়েছে; যা অনেক ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রের উন্নয়নে নেতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। ফলে রাষ্ট্রে যেমন সম্পদের সুষম বণ্টন করা সম্ভব হয়নি তেমনি শ্রেণীবৈষম্যের বিষয়টিও সমাজ ও রাষ্ট্রের মধ্যে এক ধরনের ভারসাম্যহীন অবস্থা তৈরি করেছে। শিক্ষা সর্বজনীন না হয়ে অনেকক্ষেত্রে রাজনৈতিক দর কষাকষির কারণে তার কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। এর সাথে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের মতো বিষয়গুলো উন্নত রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে। তবে আশার কথা হলো, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রের নিজস্বতাকে ধারণ করে ভিশন-২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নত রাষ্ট্র গঠনের চিন্তা করছে। এটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিরই প্রতিফলন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ধারণার মূল ভিত্তি হচ্ছে কিভাবে কৃষি, শিল্প, প্রযুক্তি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদকে কাজে লাগিয়ে উন্নত রাষ্ট্র গঠন করা যায়। আর এক্ষেত্রে প্রকৃত সাফল্য পেতে হলে বর্তমানে রাষ্ট্রে যে নেতিবাচক ধারণাগুলো তৈরি হয়েছে তা দূর করে মানুষের মধ্যে প্রকৃত দেশপ্রেম ও মনোবল তৈরি করা। এক্ষেত্রে রক্ষণশীল চিন্তাধারাকে কীভাবে উন্নত ও উদার চিন্তাধারায় পরিবর্তিত করা যায় তা ভেবে দেখা দরকার। কারণ পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন তখনই সম্ভব যখন মানুষের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ, প্রকৃত শিক্ষা, দর্শন, সততা, নৈতিকতা ও সর্বজনীন চিন্তার ক্ষেত্র প্রস্তুত করা সম্ভবপর হয়। আরেকটি বিষয় এখানে উল্লেখ করার মতো তা হলো সংস্কৃতিকে ধর্মের সাথে মিলিয়ে ফেলা অথবা ধর্মীয় বিভাজন তৈরির মাধ্যমে যে অপরাজনীতির সংস্কৃতি তৈরি করার প্রচেষ্টা চলছে তা থেকে উত্তরণের জন্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার। এছাড়া অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ যাতে রাষ্ট্রের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। কেননা স্বাধীনতা অর্জন করা যত কঠিন তার চেয়েও কঠিন স্বাধীনতা রক্ষা করা। আবার রাষ্ট্র যেমন সরকারকে প্রভাবিত করে তেমনি সরকারও রাষ্ট্রকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে সরকার যেহেতু বিভিন্ন ব্যক্তির সমন্বয়ে গড়ে ওঠে, কাজেই প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব ভাবনাকে যদি একটি প্রকৃত আদর্শ ও দর্শনের ভাবনায় একীভূত করা না যায় তাহলে ঐক্যের মাধ্যমে উন্নয়নের ধারণা উপেক্ষিত হয়। আবার প্রত্যেক ব্যক্তি একেকটি স্বতন্ত্র সত্তা হওয়ায় তা একীভূত করা খুব জটিল একটি বিষয়। তবে এক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থ ও গোষ্ঠীগত স্বার্থের চেয়ে সামগ্রিক স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়ার মতো নেতৃত্ব গড়ে উঠলে তা উন্নত রাষ্ট্র গঠনের জন্য ফলপ্রসূ হতে পারে। এখানে শুদ্ধাচার ও জবাবদিহিতার বিষয়টি কোনভাবেই সহজ করে দেখার সুযোগ নেই। দৃষ্টান্ত হিসেবে মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মুহাম্মদের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। তার হাত ধরেই একটি রাষ্ট্রের ইতিহাস বদলে গেছে। এক্ষেত্রে তার সুযোগ্য, দূরদর্শী ও সাহসী ভূমিকা কাজ করেছে। তার উন্নত রাষ্ট্র গঠনের চিন্তাধারা গতানুগতিক ধারণার ক্ষেত্রে পরিবর্তন ঘটিয়েছিল। তিনি তার দেশে শিল্পায়নের মাধ্যমে ছোট ও মাঝারি শিল্প কারখানা স্থাপন করেন। এক্ষেত্রে তিনি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাকে তার উন্নয়নের মূল বিষয় হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। আবার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শুদ্ধাচার ও জবাবদিহিতার বিষয়টি তিনি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করেছিলেন। কেবল পরিকল্পনা নয়, পরিকল্পনা অনুযায়ী তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন সমানভাবে হচ্ছে কিনা, আবার সমানভাবে বাস্তবায়ন হলেও তা উন্নত রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখছে কিনা, এ বিষয়গুলো তিনি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। আশির দশকে তিনি ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট পলিসির মাধ্যমে কৃষি ও শিল্পক্ষেত্রে অগ্রগতির মাধ্যমে উন্নত রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেন। এরই ফলশ্রুতিতে ১৯৯২ সালে মালয়েশিয়া নিজের শ্রমিকদের কর্মসংস্থান করেও প্রায় ৮ লাখ বিদেশী শ্রমিক নিয়োগ করে। এ বছরই যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে ৬৫০ কোটি ডলার মূল্যের মালয়েশিয়ান পণ্যসামগ্রী রফতানি করা হয়। এতে যে বিষয়টি প্রমাণিত তা হলো, আশির দশকে তিনি যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন তার সফল বাস্তবায়ন ঘটে নব্বইয়ের দশকে। ১৯৮২সালে মালয়েশিয়ার জিডিপির পরিমাণ ছিল ২৭.৩ মিলিয়ন ইউএস ডলার। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে ২০০২ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৯৫.২ বিলিয়ন ইউএস ডলারে। তিনি নিজে যেমন সততা ও পরিশ্রমে বিশ্বাস করতেন তেমনি নাগকিরদেরও এ ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন। তিনি সময়ানুবর্তিতাকে উন্নত রাষ্ট্র গঠনের প্রধান উপাদান হিসেবে বিবেচনা করে দেশের সকল সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে অফিসে সঠিক সময়ে উপস্থিতির জন্য পাঞ্চকার্ডের প্রচলন করেন। আমাদের দেশের সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই ধারণাটি গ্রহণ করা যেতে পারে। একইভাবে ক্ষুদ্র একটি দ্বীপ সিঙ্গাপুরকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করেন দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউ। মাত্র ৭১৬ বর্গকিলোমিটার ভৌগোলিক অবস্থান নিয়ে একটি রাষ্ট্র যে একজন ব্যক্তির প্রভাবে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে তার প্রকৃত দৃষ্টান্ত সিঙ্গাপুর। ৫৫ লাখ অধ্যুষ্যিত জনগোষ্ঠীর দেশটি আজ অর্থনৈতিক পরাশক্তি এবং বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ মাথাপিছুর দেশে পরিণত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রধানন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তার ‘উন্নত বাংলাদেশ গঠনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার’ প্রবন্ধে বলেছেন ‘উন্নয়নের সাফল্যধারায় বাংলাদেশ মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরকে অনুসরণ করছে। এ দুটো দেশ দীর্ঘদিন একটা শক্তিশালী এবং দূরদর্শী উন্নয়ন কাঠামোর ভেতর দিয়ে গেছে। সরকারের দূরদর্শিতা ও দক্ষ নেতৃত্বে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ এখন সত্যিকার অর্থেই উন্নয়নের একটি পরিষ্কার ও স্থিতিশীল পথে আছে।’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গঠনের মাধ্যমে উন্নত রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু তা সফল হয়ে উঠেনি অপশক্তি ষড়যন্ত্রে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছবে এ প্রত্যাশা সকলের। লেখক : অধ্যাপক, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর
×