ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জাফর ওয়াজেদ

ইফতার পার্টি শেষ ঈদ পুনর্মিলনী শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৩ জুলাই ২০১৭

ইফতার পার্টি শেষ ঈদ পুনর্মিলনী শুরু

এই এক পার্টি, যার হদিস মেলে বছরের একটি মাসে। প্রায় সব রাজনৈতিক দল বা পার্টি এই পার্টির আবরণে রাজনৈতিক প্রচার-প্রচারণা, গণসংযোগ, প্রতিপক্ষের প্রতি বিষোদগারের চর্চা করে বেশ জোরেশোরেই বলা যায়। এই একটি মাসজুড়ে সাধারণ-অসাধারণের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সংযোগ সাধন ঘটে আসছে। রাজনীতিতে এর একটি প্রভাব অবশ্যই থেকে যায়। ইফতার পার্টি কোন রাজনৈতিক পার্টি না হলেও এর রাজনৈতিক মাজেজা রয়েছে। আগেকার দিনের ইফতার মাহফিল ছিল ধর্মীয় আবরণে আদৃত। ধর্মীয় বক্তব্য শেষে ইফতারে অংশগ্রহণ ছিল মুখ্য। এখনকার ইফতার পার্টিতে ধর্মীয় আবরণ শুধুু ইফতারপূর্ব মোনাজাতেই সীমাবদ্ধ। আর নেতা-নেত্রীদের ইফতারপূর্ব ভাষণে রাজনীতিই থাকে মুখ্য বিষয়। পবিত্র রমজান মাসে চিত্তশুদ্ধির যে শিক্ষা এবং সংযম সাধনার যে ব্রত পালন হয়ে আসছে, তার সঙ্গে রাজনীতি সংযোজিত হয়ে একটি ধর্মীয় রাজনীতির বিস্তার ঘটেছে বলা যায়। মাসব্যাপী ইফতার পার্টি শেষে রাজনৈতিক দলগুলোর ঈদের শুভেচ্ছা নামক সংস্কৃতির বিকাশ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। ঈদের উৎসবকে দলীয় রাজনীতিতে ব্যবহারের চলও কয়েক দশক ধরেই। আর ঈদ শেষ হবার পরও তার রেশ থামে না। শুরু হয় ঈদ পুনর্মিলনী নামক অন্যতর আয়োজন। যেখানে রাজনীতিই মুখ্য। শুধু রাজনৈতিক দলই নয়, পেশাজীবীদের নানা সংগঠনকেও ইফতার পার্টি আর ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজনে ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠতে দেখা যায়। গণসংযোগ আর প্রচারণার এই আয়োজন ধর্মকে কেন্দ্র করে নয়, বলা যায় ধর্মের আবরণে আত্মপ্রচারের এক মোক্ষম আয়োজন। যা ক্রমান্বয়ে সারাদেশেই ব্যাপ্তি লাভ করেছে। ইফতার পার্টি এদেশে চালু হয়েছে পঁচাত্তর পরবর্তী সামরিক জান্তা শাসকদের সুকৌশল রাজনৈতিক ঘেরাটোপের ভেতর থেকে। রাজনীতিতে ধর্মের প্রবেশ ঘটানো কিংবা ধর্মের আড়ালে রাজনীতিকে ছড়িয়ে দেয়া- যাই হোক না কেন, তাদের মস্তিষ্কপ্রসূত এই পার্টি ও পুনর্মিলনী ক্রমশ বিকশিত হয়েছে। পঁচাত্তর পরবর্তী সামরিক জান্তা শাসক দলীয় রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধ করেছিল। এক পর্যায়ে নিজেদের ক্ষমতাকে ধরে রাখা এবং রাজনীতিতে নিজেদের আত্মপ্রকাশ ঘটাতে চালু করেছিল ঘরোয়া রাজনীতি। তার আগে রাজনৈতিক দলগুলোকে সামরিক শাসনের অধীনে নিবন্ধন করতে হয়েছিল। কিন্তু নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রকাশ্যে রাজনীতির চর্চা এবং গণসংযোগ ও সমাবেশ করার অধিকার দেয়া হয়নি। কেবল শাসক জান্তারা নিজেদের রাজনৈতিক দল গঠনের জন্য নানারকম প্রকাশ্য তৎপরতা অব্যাহত রেখেছিল। রাজাকার পুনর্বাসনকারী জান্তা শাসক জিয়াউর রহমান তখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঘরোয়া রাজনীতির অন্তরালে ভাঙ্গন ধরায়। অর্থ, অস্ত্র, লোভ, টোপকে কাজে লাগিয়ে দল ভেঙ্গে দল গঠন করার মাধ্যমে যে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র (!) চালু করেছিল। তাতে দেশে শতাধিক রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। তাদের ঘরের ভেতর বসে সভা করার অধিকার দেয়া হয়েছিল এই ঘরোয়া রাজনীতির অংশ হিসেবেই ইফতার পার্টি আবির্ভূত হয়েছিল। জান্তা শাসক নিজেই চালু করে ইফতার পার্টির। বঙ্গভবনে প্রতিদিনই বিভিন্ন দল ও পেশার লোকজনকে আমন্ত্রণ জানানো হতো ইফতার পার্টিতে। সেখানে কোন ধর্মীয় আলোচনা হতো না। বরং বঙ্গবন্ধু, বাকশাল ও আওয়ামীবিরোধী বক্তব্যই প্রাধান্য পেত। ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দটির প্রতি জান্তা শাসকের উষ্মা ছিল প্রকট। তাই আওয়ামী লীগের দল হিসেবে নিবন্ধনকালে দলের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে শেখ মুজিবের নামোল্লেখে বঙ্গবন্ধু শব্দটি ব্যবহার করতে দেয়া হয়নি। শাসকগোষ্ঠীর ইফতার পার্টির বিপরীতে রাজনৈতিক দলগুলোও স্বল্প পরিসরে হলেও ইফতার পার্টির আয়োজন করে। এতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিরা নয়, বরং দলীয় লোকজনের প্রাধান্য ছিল বেশি। খাবারের আয়োজন বিশাল না হলেও মুড়ি, ছোলা, পেঁয়াজুই ছিল প্রধান। খাবারে বাহুল্য ছিল না বলা যায়। অবশ্য তখন আর্থিক সীমাবদ্ধতাও ছিল প্রকট। ঘরোয়া রাজনীতির কবলে পড়ে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের তৎপরতা নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে বাধ্য ছিল। জনদাবির মুখে সামরিক জান্তা শাসক ঘরোয়া রাজনীতির মধ্যে সংশোধন এনে সমাবেশ করার সুযোগ দেয় শর্তসাপেক্ষে। সমাবেশের স্থান হিসেবে বাছাই করা হয় জিপিও’র পশ্চিম পাশের একচিলতে স্থানটিকে। লন্ডনের হাইড পার্কের সঙ্গে তুলনা করে নির্দিষ্ট এ স্থানটির নামকরণ করা হয় ‘মুক্তাঙ্গন’। এর বাইরে সমাবেশ করার সুযোগ ছিল না। মুক্তাঙ্গনে একটি বেদি বা মঞ্চও বানানো হয় শাসকদের পক্ষ থেকে। খুব বেশি লোক ধারণ করার স্থান ছিল না বলে ফুটপাথেও মানুষের সমাগম হতো। গণদাবির মুখে ক্রমশ প্রকাশ্য রাজনীতির সুযোগ দেয়া হলেও সমাবেশের স্থান নির্ধারিত ছিল। স্টেডিয়ামের সামনে টিকেটঘরের ছাদ হয়ে উঠেছিল জনসমাবেশের মঞ্চ। সমাবেশের চারপাশে কড়া পুলিশ পাহারা থাকত। রাজনীতি প্রকাশ্য হয়ে ওঠার পর ইফতার পার্টির পরিধিও প্রকাশ্য হতে থাকে। বিভিন্ন হোটেল-রেস্তরাঁয় রাজনৈতিক দলগুলো ইফতারের আয়োজন করতে থাকে। জান্তা শাসকের ইফতার পার্টির প্রসার ঘটতে থাকে। শাসক নিজে যেমন আয়োজন করত, তেমনি তার সৃষ্ট রাজনৈতিক দলও বিভিন্ন স্থানে ইফতার পার্টির আয়োজন করে দলীয় প্রচার চালাত। জান্তা শাসকের একটি ইফতার পার্টিতে অংশ নিতে হয়েছিল ১৯৭৯ সালে। ওই বছরের এপ্রিল মাসে ডাকসু নির্বাচন হয়। নির্বাচনের পর ডাকসুর নির্বাচিত সদস্যদের জন্য ইফতার পার্টির আয়োজন করে জান্তা শাসক জিয়াউর রহমান বঙ্গভবনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘চ্যান্সেলর’ হিসেবে তার এ আমন্ত্রণ। এ ইফতার পার্টিতে কোন ধর্মীয় আলোচনা বা মোনাজাতের ব্যবস্থা ছিল না। পুরোটাই ছিল রাজনৈতিক ও ছাত্রসমাজের দাবি-দাওয়া সংক্রান্ত। কিন্তু পরের বছর নির্বাচিত ডাকসুকে আর আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কারণ ওই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ অধিক সংখ্যায় নির্বাচিত হওয়ার কারণে জান্তা শাসক তাদের মুখোমুখি হওয়ার সাহস সম্ভবত হারিয়ে ফেলেছিল। জান্তা শাসকের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের প্রথম ইফতার পার্টি হয় ১৯৮০ সালে। স্পীকার ছিলেন এর আয়োজক। বলা যায়, জান্তা শাসক জিয়ার রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে আবির্ভূত ইফতার পার্টির বিস্তার ঘটায় অপর জান্তা শাসক এরশাদ। তার সময় পেশাজীবী, রাজনৈতিক দল ইফতার পার্টিতে আসক্ত হয়ে পড়ে। তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলোও এ পথ ও পন্থা অনুসরণ করে। বিদেশী কূটনীতিকদের এ পার্টিতে আমন্ত্রণ জানানোর চল তখনই শুরু। দাতা দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা, তা সে যে ধর্মেরই হোক, ইফতার পার্টিতে মধ্যমণি হয়ে থাকতেন। রমজান শেষে ঈদের দিনটিরও রাজনীতিকীকরণ চালু করা হয়। বঙ্গভবনে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য বিদেশী কূটনীতিক, পেশাজীবী, রাজনীতিকরা আমন্ত্রিত হওয়ার দৃশ্য বেশ প্রচার পেত শাসক নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমের কারণে। ঈদের দিন নামাজ শেষে ঘরে ফেরা হতো না তাদের, ছুটে যেতে হতো বঙ্গভবনে জান্তা শাসককে শুভেচ্ছা এবং সালাম জানাতে। সে এক মহাআয়োজন। সেই ট্র্যাডিশন এখনও চলছে। ক্রমশ বিষয়টি রাজনৈতিক দলের মধ্যেও প্রভাব ফেলে। তারাও ঈদ শুভেচ্ছা কর্মসূচী পালন শুরু করে। এখানেও বিদেশী কূটনীতিকরা সাদরে আমন্ত্রিত হতেন। জান্তা শাসকদের চালু করা ইফতার পার্টি রাজনৈতিক দলগুলোর গণসংযোগের মাত্রাকে প্রসারিত করেছে বলা যায়। তাই দেখা যায়, পুরো রমজান মাসজুড়ে উপজেলা, ইউনিয়ন, এমনকি গ্রাম পর্যায়েও ইফতার পার্টির সমারোহ। এ বছর তো এর প্রসার যথেষ্ট বেড়েছে। বিশেষত আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে। মন্ত্রী, এমপি, এমনকি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান এমন নেতারাও আয়োজন করেন ইফতার পার্টির। কোথাও অনুসারীরা আয়োজক। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের চেয়েও নির্বাচনী প্রচার, গণসংযোগ ইত্যাদিই ছিল মুখ্য। আগামী নির্বাচনের আগে আরও তিনটি ঈদ পালন করা হবে। এর মধ্যে একটি রমজানের ঈদ। এই ঈদে ইফতার পার্টির পরিধি স্বাভাবিক কারণেই বেড়ে যাবে। নির্বাচনকেন্দ্রিক এ পার্টিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনীতিই পাবে প্রাধান্য। আর ঈদকে সামনে রেখে ব্যক্তি ও দলীয় প্রচারের মাত্রা এবারের চেয়ে বেশি হওয়ারই সম্ভাবনা। পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ডের যে আধিক্য এবার পরিলক্ষিত হয়েছে, আগামীতে তা দ্বিগুণ হবেই। এর মাধ্যমে জনগণকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে পাতি নেতা, হাফ নেতারাও কম যায় না। নিজের ছবি ব্যবহার করে এমন আত্মপ্রচারে সমাজবিরোধী ও দাগী খুনীরাও কম যায়নি। এ দৃশ্য শুধু রাজধানীতে নয়, গ্রামাঞ্চলেও দেখা মেলে। সম্ভবত এতে ব্যক্তির ও দলের প্রচার বেশ ভালভাবেই সম্পন্ন হয়। ইফতার পার্টি এবার গ্রাম পর্যায়ে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। কর্মী এবং আমন্ত্রিত গণ্যমান্যরা নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি মোসাহেবিতে পারদর্শিতার পরীক্ষাও দিতে পারেন এ পার্টিতে। অনেকে এ পার্টিতে যোগ দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করেন। এ দেশে আগে হতো ইফতার মাহফিল মসজিদকেন্দ্রিক অথবা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক। তাতে ধর্মীয় বিষয়াদিই ছিল মুখ্য। সামরিক জান্তা ধর্মীয় আবহের মধ্যে নিজেদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করাই হোক বা অন্য কৌশলজনিত কারণেই হোক ধর্মের সঙ্গে রাজনীতি ও ক্ষমতার সংযোজন ঘটিয়ে অন্যতর আবহ তৈরি করেছেন, যার বিস্তার এখন সর্বব্যাপী। ইফতার মাহফিল ইফতার পার্টিতে পরিণত হওয়ায় এটি সর্বজনীন রূপলাভ করেছে। সকল ধর্ম, বর্ণ ও মতের মানুষই এতে অংশ নিচ্ছেন। ধর্ম-মতের উর্ধে উঠে একটি সমন্বিত মিলনের আবাহন হয়ত এতে মেলে। তবে ইদানীং রাজনৈতিক দলের ইফতার পার্টি নিয়ে মারামারি, হাঙ্গামার ঘটনাও ঘটে এবং দলীয় গ্রুপিংই এর মুখ্য কারণ। এবার ইফতার পার্টিতে রাজনীতির কথাই বেশি উচ্চারিত হয়েছে। বিশেষত বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়া আয়োজিত পার্টিগুলোতে তিনি প্রতিপক্ষের প্রতি বিষোদ্গার, নিন্দামন্দ সবই উচ্চারণ করেছেন। ধর্ম সম্পর্কিত কিংবা রমজান মাসে সংযম বা সিয়াম সাধনা বিষয়ে একটি বাক্যও উচ্চারণ করেননি। বক্তৃতায় সংযমের কোন নিদর্শন মেলেনি। ধর্মকে বর্ম করে রাজনীতি করা জামায়াতে ইসলামীরও নেত্রী তিনি। তাই ধর্মীয় আসরকে তিনি অপরাজনীতির আসরে পরিণত করতে কুণ্ঠিত হননি। তার ভাষণ মার্জিত নয় এবং অশোভনীয় বলে আওয়ামী লীগ নেতা ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদও উল্লেখ করেছেন। নির্বাচনের আগে নানা মেরুকরণের ক্ষেত্রে ইফতার পার্টি ভূমিকা রেখেছে অতীতে। সামনেও হয়ত রাখবে। রমজান শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়েছে ইফতার পার্টি। সেই সঙ্গে ঈদের দিনে শুভেচ্ছা বিনিময়ও সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুরু হতে যাচ্ছে ঈদ পুনর্মিলনী। রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন এক্ষেত্রে অগ্রগণ্য অবস্থানে রয়েছে। এ পুনর্মিলনী রাজনৈতিক অভীপ্সাকে সামনে রেখে ব্যক্তি ও দলের প্রচারকে প্রসারিত করার ক্ষেত্রে মোক্ষম ভূমিকা রাখে। এবার তো নির্বাচনকে সামনে রেখে পুনর্মিলনীর আয়োজন ব্যাপকতর হতে বাধ্য। এখানেও কূটনীতিকদের উজ্জ্বল উপস্থিতি দেখা যাবে। এই যে ইফতার পার্টি, ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে পুনর্মিলনীর আয়োজনে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়, সেসব হিসাব কেউ করে না। হিসাব দেয়ারও কেউ নেই। গৌরী সেন যে দেশে যাক, সে দেশে অর্থ কোন সমস্যা নয়। দেশে হতদরিদ্র, দরিদ্র মানুষের সংখ্যা যাই থাক, তাদের জন্য যাকাতের বস্ত্র রয়েছে। রাজনীতিকরা তাদের যেন সে প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত না করেন, এমনটাই তাদের কাম্য। ঈদ পুনর্মিলনীর এ সময়টা নির্বাচনের জন্য সহায়ক হয়ে উঠুক, রাজনীতিকরা তাই চাইবেন। জনগণ হয়ত এসব নিয়ে ভাবেন না। আর সেখানেই রাজনীতিকরা নির্ভার এবং নিশ্চিন্ত থাকেন।
×