ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গী নির্মূলে সমন্বিত উদ্যোগ চাই ॥ রিজভী

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২ জুলাই ২০১৭

জঙ্গী নির্মূলে সমন্বিত উদ্যোগ চাই ॥ রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জঙ্গী নির্মূলে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, দেশে উগ্রবাদের অন্ধকার ছোবল যাতে না হয়, উগ্রবাদীরা যাতে বিষাক্ত ছোবল দিতে না পারে; সেজন্য যথাযথভাবে সেটি চিহ্নিত করা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শনিবার দুপুরে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় জঙ্গী হামলায় নিহতের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। জঙ্গীবাদ দমনে সরকারের কার্যক্রমের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির মুখপাত্র রিজভী বলেন, যতবারই শুনেছি যে ক্ষমতাসীনরা জঙ্গী নির্মূল করেছেন, তারপরও দেখা গেছে যে কোথাও না কোথাও উগ্রবাদ তার হিংস্র থাবা মেরেছে, তার হিংস্র কামড় দিয়েছে। জঙ্গী নির্মূল কার্যক্রমকে জাতির সামগ্রিক পদক্ষেপ অভিহিত করে এজন্য সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া জঙ্গী নির্মূল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নাও হতে পারে। রিজভী বলেন, এই দেশ ও জাতির জন্য আজকের দিনটি একটি কালো অধ্যায়। দেশ-বিদেশের এত মানুষ উগ্রবাদী জঙ্গীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়া নিঃসন্দেহে আমাদের আবহমান বাংলার যে সংস্কৃতি, সাম্প্রদায়িক স¤প্রীতি এবং দেশের যে এগিয়ে চলা ও প্রগতি ও অগ্রগতির পথে কলঙ্ক তিলক এঁকে দেয়ার শামিল। রিজভী বলেন, আমরা আশা করেছিলাম জঙ্গী দমনে একটা সামগ্রিক ও সমন্বিত পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে দেশের মধ্যে বিভিন্নভাবে যে উগ্রবাদী নেটওয়ার্ক চেপে বসেছে সেটিকে উৎখাত করতে হবে। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের দিক থেকে এই ধরনের কোন সমন্বিত উদ্যোগ আমরা দেখিনি। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে জঙ্গী দমনে বার বার জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানানো হয়েছে। রিজভী বলেন, জঙ্গী দমন কোন একক ব্যক্তি বা সংগঠনের কাজ নয়। এটি হচ্ছে জাতির সামগ্রিক পদক্ষেপের একটি বিষয়। আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্ট সকলের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। হলি আর্টিজানের ঘটনার তদন্ত ও অভিযোগপত্রের প্রতি ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, এই ঘটনার এখনও অভিযোগপত্র দেয়া হয়নি, কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বা প্রশাসন এখানে কী ধরনের কাজ করছে, আমরা বলতে পারছি না। আমরা আগে বলেছি, এ ব্যাপারে যদি সমন্বিত উদ্যোগে নেয়া হতো, বিষয়টি বিশ্লেষণ করে তদন্ত করা যেত, জঙ্গীদের গুহাগুলো কোথায়, এদের নেটওয়ার্ক কোথায় এটি যদি অনুসন্ধান করে চিহ্নিত করা যেত তাহলে আর এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতো না। রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা চাই, জঙ্গী নিয়ে যেন কোন ধরনের রহস্য তৈরি না হয়। বাইরের বিভিন্ন সংগঠন বলছে এটা আইএস করছে আর সরকার বলছে আইএস করছে না। তাই এর মধ্য দিয়ে যে রহস্য দানা বেঁধেছে সেই রহস্য এবং কুজ্ঝটিকা সরানোর দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের। এ নিয়ে মানুষের মন থেকে সব আশঙ্কা দূরীভূত করার দায়িত্ব ক্ষমতাসীনদের, তারা এই কাজটি করবে বলে আমরা মনে করি। বেলা ১১টার দিকে রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্ব বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কে হলি আর্টিজান রেস্তরাঁ প্রাঙ্গণে গিয়ে গত বছর এই দিনে জঙ্গী হামলায় নিহতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এর পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বিএনপির প্রতিনিধি দলে অন্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, দলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
×