ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হাফিজ সাঈদের নতুন সংগঠনও নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ২ জুলাই ২০১৭

হাফিজ সাঈদের নতুন সংগঠনও নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান

হাফিজ সাঈদের নতুন সংগঠনকেও শুক্রবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করল পাকিস্তান। বিশেষজ্ঞদের ধারণা এ সিদ্ধান্তের ফলে বিপাকে পড়বেন তিনি। লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান হাফিজ সাঈদ পাঁচ মাস ধরে গৃহবন্দী। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের। ২০০১ সালে লস্কর-ই-তৈয়বা নিষিদ্ধ হওয়ার পর তিনি জামাত-উদ-দাওয়া নামে নতুন সংগঠন গড়ে তুলে ছিলেন। যা পরে নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা হয়। বিপদ বুঝতে পেরে তেহরিক-ই-আজাদি-জম্মু এ্যান্ড কাশ্মীর নামে আরও একটি সংগঠন তৈরি করেন। ইসলামাবাদ সেই সংগঠনকেও এবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সন্ত্রাস প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে যেভাবে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তারই প্রেক্ষিতে হাফিজের সংগঠনের বিরুদ্ধে ফের কঠোর অবস্থানে গিয়ে ব্যবস্থা নিল নওয়াজ শরিফের সরকার। হাফিজ সাঈদের জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা শুধু ভারত-পাকিস্তান নয় বরং সারা পৃথিবীতে নিষিদ্ধ। এই সংগঠনটি নিষিদ্ধ হওয়ায় জামাত-উদ-দাওয়াকে সামনে আনেন হাফিজ। নতুন নামের আড়ালে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চলতে থাকে। কিন্তু চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি হাফিজকে গৃহবন্দী করার পাশাপাশি জামাত-উদ-দাওয়াকে ‘ওয়াচ লিস্ট’ তালিকার আওতায় নিয়ে আসে পাকিস্তান। ওই সংগঠনের কার্যকলাপের ওপর সর্বক্ষণ নজরদারি শুরু হয়। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে হাফিজ সাঈদ ও তার সংগঠনের বিরুদ্ধে পাক সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে এমন আশঙ্কায় জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়েই তেহরিক-ই-আজাদি-জম্মু এ্যান্ড কাশ্মীর নামের একটি সংগঠনকে সক্রিয় করে তোলা হয়। জামাত-উদ-দাওয়া যেসব কার্যক্রম পরিচালিত করত সেগুলোর দায়িত্ব দেয়া হয় তেহরিক-ই-আজাদি-জম্মু এ্যান্ড কাশ্মীরের ওপর। গত পাঁচ মাস ধরে গৃহবন্দী রয়েছেন হাফিজ সাঈদ। তবে জামাত-উদ-দাওয়ার ওপর প্রতিনিয়ত নজরদারি চালাচ্ছেন তিনি। গত সপ্তাহের শুরুতে হোয়াইট হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ বিবৃতিতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ট্রাম্প। পাকিস্তান সম্পর্কে যে অবস্থান তিনি নিয়েছেন এতটা কঠোর এর আগে কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নেননি বলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থানের প্রেক্ষিতেই ইসলামাবাদ হাফিজ সাঈদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে বাধ্য হলো। কাশ্মীরে জঙ্গী আস্তানায় সেনা অভিযান সেনা-জঙ্গী গুলির লড়াইয়ে ফের রক্তাক্ত হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ। দু’পক্ষের গোলাগুলির মাঝে পড়ে মারা গেছে স্থানীয় এক নারী। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। অনন্তনাগের বাটপোরা গ্রামে একটি বাড়িতে দুই লস্কর জঙ্গী লুকিয়ে রয়েছে বলে শনিবার সকালে খবর পায় সেনাবাহিনী। এরপরই গোটা এলাকা ঘিরে তল্লাশি শুরু করে তারা। সে সময় প্রথমে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গীরা। পাল্টা জবাব দেয় জওয়ানরাও। সেনা সূত্রের খবরে বলা হয়, দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে তাহিরা নামের এক মহিলা আহত হন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। কয়েক দিন আগে পাকিস্তানের মদদপুষ্ট জঙ্গী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার হামলায় বারামুলায় পুলিশের উপপরিদর্শক ফিরোজ আহমেদ ডরসহ ছয় পুলিশ কর্মী প্রাণ হারিয়েছিলেন। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, সে দিনের হামলাকারীদের মধ্যে ছিল এ দুই জঙ্গী। এদিন অভিযানের সময় এলাকার সব স্কুল, কলেজ, দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়। এমনকি মোবাইল পরিষেবাও সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
×