ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যশোরে গ্রামীণ জনপদে উন্নয়নের ছোঁয়া

প্রকাশিত: ০৯:২৬, ১ জুলাই ২০১৭

যশোরে গ্রামীণ জনপদে  উন্নয়নের ছোঁয়া

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গ্রামীণ জনপদ বাঁকড়া। জেলা শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে এ এলাকা। এক সময় এলাকায় কোন যানবাহন চলাচল করত না। এ এলাকা এখন উপশহরে পরিণত হতে চলেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আওতায় নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের (সিআরডিপি) অধীনে ২৪ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ সমাপ্তির পথে। এ প্রকল্পের কাজ সমাপ্তি হলে অজপাড়াগাঁ বাঁকড়া আধুনিক নগরে যুক্ত হয়ে প্রকাশ ঘটবে উপশহরের। প্রকল্পের উন্নয়ন কাজের মধ্যে রয়েছে, বাঁকড়া গ্রোথসেন্টার কেন্দ্রের অভ্যন্তরীণ চার দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, প্রায় তিন কিলোমিটার পানি নিষ্কাশন ড্রেন নির্মাণ এবং বাঁকড়া এলাকার হাজিরবাগ, শংকরপুর ও বাঁকড়া ইউনিয়নের ৬৩টি কালভার্ট নির্মাণসহ ২৯ দশমিক ৮২১ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন। স্থানীয়রা জানান, সিআরডিপির ২৪ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে হাজিরবাগ, শংকরপুর ও বাঁকড়া ইউনিয়নের প্রামীণ জনপদের যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য ও ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন সকল ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা রাখবে। কৃষিজাত পণ্য পরিবহন ও বাজারজাতকরণে যুগ যুগ ধরে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান হবে। ফলে ঝিকরগাছা উপজেলার পার্শ্ববর্তী শার্শা, মণিরামপুর ও কলারোয়া উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ সহজ হবে। এতে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন সাধিত হবে এবং সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে। বাঁকড়া বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডাঃ মোস্তফা আসাদুজ্জামান বলেন, এত দিন আমরা যে স্বপ্ন দেখেছি তা বর্তমান সরকার সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিয়েছে। এ জন্য তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনিরকে ধন্যবাদ জানান। বাঁকড়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আকবর হোসেন জাপানী জানান, চলমান উন্নয়ন কাজ সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের সুফল সরাসরি প্রতিফলিত হবে। ফলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা সহজতর হবে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে, শিল্পজাত পণ্য সহজলভ্য হবে এবং এলাকায় উৎপাদিত মৎস্য ও কৃষিজাত পণ্য পরিবহন ও বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়া স্বল্প ব্যয়ে ও দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হবে। সিলেটে বন্যার পানি বৃদ্ধি স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে সিলেটের চারটি উপজেলায় বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ, জকিগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় বিস্তীর্ণ এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বিয়ানীবাজার উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিয়ানীবাজার পৌরসভার অধিকাংশ এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। ঘর বাড়িতে বানের পানি প্রবেশ করায় অনেকেই অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। সিলেটের সঙ্গে বিয়ানীবাজারের সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের বেশ কিছু অংশ ও বিকল্প সড়ক বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়কের আশি ভাগ পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যাকবলিত এলাকার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে সাড়ে ১৪ টন ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুক্রবার বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রশাসনের কাছে এ ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়। উপজেলার দুবাগ, শেওলা, কুড়ারবাজার, মাথিউরা, তিলপাড়া, লাউতা, মুড়িয়া ও বিয়ানীবাজার পৌরসভার ৮০ ভাগ এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। বাসাবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করার কারণে মানুষজন আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকায় হাঁস মোরগ গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে লোকজন। ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সদরে পানি প্রবেশ করেছে।
×