ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের প্রয়োজন নেই’

জাতিসংঘের তদন্ত দল ঢুকতে দেয়া হবে না ॥ মিয়ানমার

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১ জুলাই ২০১৭

জাতিসংঘের তদন্ত দল ঢুকতে দেয়া হবে না ॥ মিয়ানমার

রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সেনাবাহিনীর নির্যাতনের অভিযোগ তদন্তে জাতিসংঘ কোন দল পাঠালে তাদের মিয়ানমারে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পার্লামেন্ট সেক্রেটারি কিয়াও জেয়া বলেন, ‘যদি তারা তদন্তের জন্য কোন দল পাঠাতে চায় তবে তাদের মিয়ানমারে প্রবেশ করতে দেয়ার কোন কারণ আমরা দেখছি না।’ খবর ওয়েবসাইট। অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে চলা সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে গত বছর নির্বাচনের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আউং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি। গত বছর অক্টোবরে রোহিঙ্গা ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীরা’ মিয়ানমার সীমান্ত পুলিশের তিনটি পোস্টে হামলা চালিয়ে নয় পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করে। ওই হামলার পর রাখাইন রাজ্যে ব্যাপক সেনা অভিযানে শতাধিক মানুষ নিহত হয়। অসংখ্য নারী ধর্ষণের শিকার হয়, পুড়িয়ে দেয়া হয় এক হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। প্রাণ ভয়ে প্রায় ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের অভিযোগ, সেনা অভিযানের নামে সেখানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা, ধর্ষণ ও নিপীড়ন করা হচ্ছে। যা মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন। যদিও আউং সান সু চি সরকার বরাবরই ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং পরিস্থিতি যাচাইয়ে সরকারী তদন্ত দল গঠন করেছে। জাতিসংঘ একটি তদন্ত দল পাঠিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চাইছে। কিন্তু মিয়ানমার সরকার শুরু থেকেই রাখাইন রাজ্যে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এবং কোন আন্তর্জাতিক দলকে সেখানে এমনকি ত্রাণ নিয়েও প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এ কারণে বিশ্বজুড়ে সু চির কঠোর সমালোচনা হচ্ছে। এ মাসে সুইডেন সফর করেন সু চি। ওই সফরে জাতিসংঘের তদন্ত দল প্রবেশের বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘জাতিসংঘের তদন্ত দলের কারণে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বৈরিতা আরও বেড়ে যেতে পারে।’ ফেব্রুয়ারিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে জাতিসংঘ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর গণহত্যা, গণধর্ষণ এবং এ ধরনের মানবতাবিরোধী অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কথা বলা হয়।
×