ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সৌদিতে অবৈধদের বৈধ হওয়ার মেয়াদ আরেক দফা বাড়ল

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১ জুলাই ২০১৭

সৌদিতে অবৈধদের বৈধ হওয়ার মেয়াদ আরেক  দফা বাড়ল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবৈধভাবে সৌদি আরবে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের কর্মীদের বৈধ হওয়ার মেয়াদ আরও এক দফা বাড়িয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এতে ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া কয়েক লাখ অবৈধ বাংলাদেশী বৈধ হওয়ার সুযোগ পাবেন। তাদের বিনা শাস্তিতে দেশে ফেরার সুযোগও একমাস বাড়ানো হয়েছে। এ খবর দিয়েছে, সৌদি প্রেস এজেন্সি। সংস্থাটির খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে শাওয়াল মাসের প্রথম দিন (২৫ জুন থেকে ২৪ জুলাই) সময় বৃদ্ধি কার্যকর হবে। সূত্র জানিয়েছে, বসবাসের অনুমতি (ইকামা) ছাড়াই অবস্থান, অনুমতি ছাড়া কাজ করা ও অবৈধ অনুপ্রবেশের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে গত ২৯ মার্চ থেকে তিন মাসের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিল সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ‘এ নেশন উইদাউট ভায়োলেটরস’ কর্মসূচীর আওতায় এই সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ একমাস বাড়ানো হয়েছে বলে দেশটির ডিরেক্টরেট জেনারেল অব পাসপোর্ট মেজর জেনারেল সুলাইমান বিন আবদুল আজিজ আল-ইয়াহইয়া জানিয়েছেন। যারা এখনও এই সুযোগ নেননি কিংবা আউট পাস ও এক্সিট ভিসা নেয়ার পরও সৌদিতে আছেন, তাদের ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে সৌদি আরব ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে পাঁচ লাখের বেশি অবৈধ অভিবাসী সাধারণ ক্ষমার সুযোগে সৌদি আরব ত্যাগ করেছেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো খবর দিয়েছে। এদিকে সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, বৈধ কাগজপত্রহীন ১৯ হাজার ৮৩৩ বাংলাদেশী ইতোমধ্যে সাধারণ ক্ষমার সুযোগে দেশে ফিরেছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আউট পাস ও এক্সিট ভিসা সংগ্রহ করে দেশে ফেরত না গেলে এক লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা ও দুই বছর কারাদ- হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে সৌদি অভিবাসন দফতর। সৌদি আরবের নিয়ম অনুযায়ী, কোন অবৈধ অভিবাসী ধরা পড়লে তাকে জরিমানা বা শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। দেশে ফেরত পাঠানোর আগে তার আঙ্গুলের ছাপ রেখে দেয়া হয়। ভবিষ্যতে আর যেন তারা সৌদি আরবে কাজের জন্য আসতে না পারেন। সাধারণ ক্ষমার সুযোগ যারা নেবেন, তাদের কোন শাস্তি ছাড়াই দেশে ফেরার সুযোগ দেয়া হবে। তাদের আঙ্গুলের ছাপও নেয়া হবে না। ফলে ভবিষ্যতে কাজ নিয়ে বৈধভাবে সৌদি আরবে আসার সুযোগ থাকবে তাদের। উল্লেখ্য, দুই বছর আগে সৌদি সরকার ইকামা পরিবর্তনের যে সুযোগ দিয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় এই ‘এ নেশন উইদাউট ভায়োলেটরস’ কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রায় ২৫ লাখ অবৈধ অভিবাসী ও অবৈধ কর্মী আগের ওই সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়েছিলেন, যাদের মধ্যে বাংলাদেশীও ছিলেন। সৌদি গেজেটের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১৩ লাখ বাংলাদেশী সৌদি আরবে বিভিন্ন পেশায় কাজ করছেন। এর মধ্যে ৬০ হাজার নারী কাজ করছেন গৃহকর্মী হিসেবে।
×