ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মসুলের আল নূরী মসজিদ পুনরুদ্ধার

আইএস ‘খেলাফত খতম’ ঘোষণা ইরাকী সেনাবাহিনীর

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১ জুলাই ২০১৭

আইএস ‘খেলাফত খতম’ ঘোষণা ইরাকী সেনাবাহিনীর

জনকণ্ঠ ডেক্স ॥ ইরাকী সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার আইএস হটিয়ে মসুল নগরীর আল নূরী মসজিদ পুনরুদ্ধার করে ‘খেলাফত খতম’ বলে ঘোষণা করেছে। তিন বছর আগে মসুলের আল নূরী মসজিদ থেকে ‘খিলাফত’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইসলামিক স্টেট (আইএস) নেতা আবু বকর আল বাগদাদি। খবর এএফপি ও বিবিসির। ঠিক এক সপ্তাহ আগেই ওই ঐতিহাসিক আল নূরী মসজিদ আর তার ওপরের হেলানো আল হাবদা মিনার ধূলিসাৎ করেছিল আইএস। আমেরিকা ও ইরাক তখন জানিয়েছিল, ওই জঙ্গীগোষ্ঠীর দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আর সে কথা বুঝতে পেরেই ইতিহাসের সাক্ষী ওই মসজিদ ও মিনার গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। যদিও আইএসের দাবি ওই মসজিদ ও মিনার ধ্বংস করেছে মার্কিন জোট। কিন্তু আইএসের দাবি প্রত্যাখ্যান করে মার্কিন বাহিনী। তিন বছর আগে বাগদাদি যখন এই মসজিদে ‘খেলাফত’-এর ডাক দিয়েছিলেন, তখন থেকেই আইএসের কালো পতাকা উড়ত ওই মিনারে। কিন্তু গত কয়েক মাসে বদলে যায় সেই ছবিটা। মসুল পুনরুদ্ধারের জন্য আইএসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত জোট বাহিনী। সেই অভিযানের অংশ হিসেবে আল নূরী মসজিদ পুনরুদ্ধার করাই ছিল প্রধান লক্ষ্য। তার পরেই আল নূরী পুনরুদ্ধারের জন্য এগোতে শুরু করে ইরাকী সেনাবাহিনী। আর নিজেদের শক্ত ঘাঁটি হারানোর ভয়েই গত বৃহস্পতিবার ওই মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয় আইএস জঙ্গীরা। এই ঘটনার পরে বিশেষ বাহিনীর মেজর জেনারেল স্যামি আল-আরিদি সতর্কতা জারি করেছিলেন, মসজিদের ধ্বংসস্তূপে বিস্ফোরক রেখে দিয়ে থাকতে পারে জঙ্গীরা। তাই ইঞ্জিনিয়ার দল নিয়েই ওই ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ করতে হবে। তাই খুব ধীরে ধীরেই সেদিকে এগোচ্ছিল সেনা। বুধবার বিস্ফোরক নিয়ে টাইগ্রিস নদী পেরিয়ে শহরের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল এক আইএস জঙ্গী। সেই সময় তাকে হত্যা করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই ওই মসজিদের পুনর্দখল নিতে এগোতে শুরু করেছিল ইরাকের বিশেষ বাহিনী। দুপুরের দিকে ওই চত্বরে ঢুকে পড়ে আশপাশের রাস্তার দখল নেয় তারা। আর এই মসজিদ পুনর্দখলই ইরাকী সেনার মসুল জয়ের অন্যতম বড় প্রতীক। ইরাকী সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া রসুল সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, ইরাকে আইএস জঙ্গীদের আধিপত্য ধ্বংস হয়েছে। তবে ইরাকে আইএসকে পুরোপুরি ধ্বংস করার কাজ যে এখনও অনেক দূরে তা মানছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট। আজই ইরাকে নিজেদের সামরিক বাহিনী রাখার মেয়াদ দুই বছর বাড়িয়েছে কানাডা। ইরাকে কানাডার প্রায় দুই হাজার কমান্ডো রয়েছেন।
×