ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী

বিদ্যুতকেন্দ্র চালু রাখাই কঠিন হয়ে পড়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি/স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশিত: ২৩:১৮, ৬ জুলাই ২০২২; আপডেট: ০০:১৮, ৭ জুলাই ২০২২

বিদ্যুতকেন্দ্র চালু রাখাই কঠিন হয়ে পড়েছে

প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুতকেন্দ্র চালু রাখা কঠিন হয়ে পড়েছেমন্তব্য করে এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেনতিনি বলেন, এই যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সীমিত পরিসরে বিদ্যুত উপাদন করে লোডশেডিং দিতে হচ্ছেবিদ্যুতের উপাদন সীমিত করতে হবে কারণ আমাদের বিদ্যুতের ভর্তুকির পরিমাণ বহুগুণ বেড়ে গেছে

পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশীয় পণ্যের দাম যেমন বেড়ে গেছে, পাশাপাশি যে সমস্ত পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে, তারও দাম বেড়ে গেছেসব কিছুর দাম এমনভাবে বেড়ে গেছে যে, বিদ্যুত কেন্দ্রগুলো চালিয়ে রাখা, আমাদের নিজস্ব যতটুকু গ্যাস আছে, সব কিছু মিলিয়ে বিদ্যুতকেন্দ্র চালু রাখাটাই কষ্টকর হয়ে গেছেঅত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে গেছেসেই বিষয়টাও আপনাদের (দেশবাসী) আমি জানাতে চাইআমি আশা করি দেশবাসী অন্তত এই ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন

বুধবার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) স্থাপিত শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর নামে দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসভিত্তিক আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর, ‘শেখ জামাল ডরমিটরিএবং রোজি জামাল ডরমিটরির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেনগণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চুয়েটে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে চুয়েট শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’-এর ওপর একটি অডিও-ভিডিও প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক স্বাগত বক্তৃতা করেনঅনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম

অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী বিদ্যুত ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক নির্দিষ্ট সময় ভিত্তিক লোড-শেডিংয়ের জন্য একটি রুটিন তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেনতিনি বলেন, কোন এলাকায় কত সময় লোড-শেডিং দেয়া হবে তার একটি রুটিন তৈরি করুনকারণ, জনগণ যেন সেজন্য প্রস্তুত হতে পারে এবং তাদের দুর্ভোগ কমানো যায়

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধজনিত বিশ্ব পরিস্থিতির কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের পর আমেরিকা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল, ইউরোপ নিষেধাজ্ঞা দিলঅবস্থাটি কিন্তু এই দাঁড়িয়েছে যে, এখন তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছে, ডিজেলের দাম বেড়ে যাচ্ছেপ্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে

ফার্নেস ওয়েল, এলএনজি, কয়লা, ডিজেলসহ বিদ্যুত উপাদনের বিভিন্ন উপকরণের দাম বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এখন একটা ভয়ানক পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে সারাবিশ্বস্যাঙ্কশনটা যদি না হতো, তাহলে কিন্তু রাশিয়া থেকে বা ইউক্রেন থেকে তাদের তেল বা ফার্টিলাইজার, গম, অন্যান্য সাপ্লাইটাও ঠিক থাকত

সঙ্কট মোকাবেলায় জনগণকে খরচের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি সবাইকে আহ্বান করেছি, প্রত্যেকের নিজেদের সঞ্চয় বাড়াতে হবে, খরচের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে হবে এবং যতটুকু পারা যায় বিদ্যুত সাশ্রয় করতে হবেবিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে হবে

দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন হলেও এখনকার পরিস্থিতিতে আবার লোডশেডিং করতে হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যুত আমরা সকলের ঘরে দিয়েছি এটা ঠিক, কিন্তু বর্তমানে আমাদের লোডশেডিং করতেই হবে, পাদনও আমাদের সীমিত রাখতে হবে- যাতে করে আমাদের ভর্তুকিটা না দিতে হয়

আমদানি করা গ্যাস দিয়ে বিদ্যুত কেন্দ্র চালু রাখার জন্য সরকারকে ২৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে, সেটা কতক্ষণ দিতে পারবে? কারণ আমাদের মানুষের খাদ্য দিতে হবে, চিকিসার ব্যবস্থা করতে হবে, গৃহহীনদের ঘর করে দিতে হবেপ্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে

আমাদের এখন একটাই উপায়, ইতোমধ্যে আমি নির্দেশ দিয়েছি, প্রত্যেক এলাকাভিত্তিক কখন, কোন সময়, কত ঘণ্টা লোডশেডিং হবে, এটার একটা রুটিন তৈরি করে সেভাবেই লোডশেডিং করতেযাতে মানুষ সেই সময়টায় প্রস্তুত থাকতে পারে।  প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বর্তমানে বিদ্যুত খাতে মোট ২৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছেবিদ্যুত কেন্দ্রগুলো চালু রাখার জন্য গ্যাসের চাহিদা মেটাতে এলএনজি আমদানিতে আমাদের ২৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবেবর্তমান বাজেটে ৮৪ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বরাদ্দ রাখা হয়েছে

কিন্তু ভর্তুকি না কমালে সরকার টাকা কোথা থেকে পাবেতিনি বলেন, ভর্তুকি ছাড়াও তার সরকার দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছে, ভর্তুকি মূল্যে প্রয়োজনীয় জিনিস পেতে এক কোটি রেশন কার্ড দিয়েছে এবং বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিচ্ছে, যা অনেক ধনী দেশও করেনি

অনুষ্ঠান থেকে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা সারাদেশে ২ হাজার ৭১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা  দেনযার মধ্যে ২ হাজার ৫১টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের অধীনে এবং ৬৬৫টি কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এমপিও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে

তিনি বলেন, তার সরকার শিক্ষায় বিনিয়োগকে ব্যয়ের পরিবর্তে সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করেছেকারণ, তারা বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানভিত্তিক প্রজন্ম তৈরি করতে চায়, যাতে নতুন প্রজন্ম সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং রাশিয়ার ওপর আমেরিকা ও ইউরোপের নিষেধাজ্ঞার ফলে বিদ্যুত উপাদনের কাঁচামালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে এবং সরকারকে কী পরিমাণ ভর্তুকি বাড়াতে হয়েছে তারও একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেনতিনি বলেন, যে ফার্নেস অয়েলের মূল্য ছিল মাত্র ৭০৮ টাকা, সেটা ইউক্রেন যুদ্ধের পর হয়ে গেছে ১ হাজার ৮০ টাকা, অর্থা ৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে

এলএনজি যেটা মাত্র ১০ মার্কিন ডলারে ক্রয় করা হতো, যুদ্ধের ফলে সেটা এখন ৩৮ মার্কিন ডলার অর্থা ২৮০ শতাংশ দাম বেড়ে গেছেআমাদের কয়লাও ১৮৭ মার্কিন ডলার ছিল, এখন ২৭৮ মার্কিন ডলার, বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৬১ শতাংশএছাড়া ডিজেলের লিটার ৮০ মার্কিন ডলার ছিল, তা এখন ১৩০ ডলারে চলে আসছেশোনা যাচ্ছে ৩০০ ডলার পর্যন্ত দাম বাড়তে পারেভোজ্য তেলেরও দাম বাড়ছেপ্রত্যেকটা জিনিস যেগুলো কিনে আনতে হয় তাঁর দাম অত্যাধিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে

পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতি কিউবিক মিটার এলএনজি ক্রয়ে সরকারের ব্যয় ৫৯ দশমিক ৬০ টাকাকিন্তু আমরা সেটা গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করছিলাম মাত্র ৯ দশমিক ৬৯ টাকায়যেটা সম্প্রতি ১১ টাকায় উন্নীত করা হয়েছেতারপরও বিশাল অংকের ভর্তুকি রয়ে গেছে সেখানে

নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুত উপাদন করতে প্রতি ইউনিটে উপাদন ব্যয় ১২ দশমিক ৮৪ টাকা কিলোওয়াট ঘণ্টা, কিন্তু একক প্রতি পাইকারি মূল্যে আমরা দিচ্ছি ৫ দশমিক ০৮ টাকায়, ফার্নেস ওয়েলের প্রতি একক ইউনিটের উপাদন ব্যয় হচ্ছে ১৭ দশমিক ৪১ টাকা, সেটাও আমরা ৫ দশমিক ০৮ টাকায় দিচ্ছিডিজেলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুত উপাদন ব্যয় ৩৬ দশমিক ৮৫ টাকা, সেখানেও আমরা ৫ দশমিক ০৮ টাকা দরে বিদ্যুত বিক্রি করছি

কয়লা থেকে বিদ্যুত  উপাদন ব্যয় ১২ দশমিক ৩৭ টাকা, কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ৫ দশমিক ০৮ টাকায়অর্থা সারা বিশ্ব এখন একটা ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে

তার সরকারকে জনগণের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিসার মতো মৌলিক চাহিদাগুলোর জোগান দেয়ার পর আবার কৃষিতেও ভর্তুকি দিতে এত বিশাল অঙ্কের ভর্তুকি আর কতদিন দেয়া সম্ভব সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম যাতে পিছিয়ে না পড়ে, এজন্য প্রযুক্তিবিষয়ক শিক্ষা ব্যবস্থা এবং প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছেসমগ্র বাংলাদেশে বিভিন্ন ডিজিটাল স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছেভবিষ্যতে এদেশ থেকে ডিজিটাল ডিভাইস রফতানি হবে

তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে আমাদের ছোট শিশু থেকে যে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, তার ফলটা এদেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম পাবেসেভাবেই আমরা কাজ করে যাচ্ছিএক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা কামনা করিআগামী দিনে পণ্য রফতানিতে গার্মেন্টেসের পণ্যের সঙ্গে সঙ্গে সমানতালে ডিজিটাল ডিভাইস বাংলাদেশে উপাদন হবেআমরা রফতানি করব

রফতানিক্ষেত্রে এটাই হবে সব  থেকে বড় একটি পণ্যযা থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবসে লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছেএজন্য সমগ্র বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছেআমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম কোন ক্ষেত্রেই যেন আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে পিছিয়ে না থাকে, সেভাবেই তাদের প্রযুক্তি শিক্ষার ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যেসব অবকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে তা আগামী তরুণ প্রজন্মের মেধা, বুদ্ধি ও জ্ঞানের বিকাশ কেন্দ্র এবং তাদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দেশপ্রেমের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে জাতির স্বপ্নে সোনার বাংলাদেশজাতির পিতা স্বপ্নের সোনার বাংলা দেখে যেতে পারেননিতবে উনার যে স্বপ্ন, সেটা পূরণ করা আমাদের দায়িত্ব

পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে তাঁর সরকারের ওপর দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করবআমরা সেটা বাস্তবায়ন করেছিএটাই আমাদের অর্জনআমরা বিশ^কে দেখিয়েছি, বাংলাদেশ পারে

তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও আমরা সফল, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছিআমরা এখন আগামী প্রজন্মকে শিক্ষা দিয়ে যাব, যেন তারা ভবিষ্যতে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে, সেই আশাই পোষণ করি

প্রসঙ্গত, চুয়েটে প্রায় ১১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ের প্রথম এই আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর, যা মূলত একটি ইন্টিগ্রেটেড প্রতিষ্ঠানচতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ স্নাতক (গ্র্যাজুয়েট) তৈরির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশবিনির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে এই ইনকিউবেটরবাংলাদেশের ভবিষ্যত উদ্যোক্তা ও বড় প্রযুক্তি এসব উদ্যোগের মধ্য দিয়ে আসবে

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১১৭ দশমিক ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়৪ দশমিক ৭ একর জমির ওপর ৫০ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১০ তলা ইনকিউবেশন ভবনটির পাশে ৩৬ হাজার বর্গফুটের ৬তলা একটি মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ ভবন নির্মাণও রয়েছে

ইনকিউবেশন ভবনের পাশের ভবনে রয়েছে মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ ভবনপাশাপাশি প্রতিটি ২০ হাজার বর্গফুট আয়তনের ৪ তলা ভবনের নারী ও পুরুষের পৃথক দুটি আবাসিক ডরমিটরি ভবন নির্মিত হয়েছেএ ছাড়া দুুটি মিনি সুপার কম্পিউটার সংবলিত অত্যাধুনিক গবেষণা ল্যাব শীঘ্রই স্থাপিত হতে যাচ্ছে

×