ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হুমকি স্মিথদের

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ৩০ জুন ২০১৭

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হুমকি স্মিথদের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দীর্ঘস্থায়ী অচলাবস্থার আজই একটা এস্পার না হয় ওস্পার হয়ে যাবে। বেতনভাতার যে কাঠামো সেটাকে ঢেলে সাজানোর দাবি ছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের। এ কারণে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশনের (এসিএ) পতাকাতলে সর্বস্তরের নারী ও পুরুষ ক্রিকেটার একজোটও হয়েছেন। আর তারা বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে একমত হয়েই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলছেন। এসিএ যে প্রস্তাবনা ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে (সিএ) দিয়েছে সেটার ডেডলাইন শেষ হয়ে যাচ্ছে আজই। নিজেদের দেয়া একটি ঘষামাজা করা প্রস্তাবনা সিএ দিয়েছিল এসিএকে। কিন্তু সেটা এসিএ নাকচ করে দেয় এবং ডেডলাইন অনুসারে দাবি না মানলে ব্যাট-বল বয়কটের হুমকি দেয় ক্রিকেটাররা। এবার উল্টো সিএ হুমকি দিয়ে সতর্ক করেছে ক্রিকেটারদের। নতুন প্রস্তাবনা না মানলে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ক্রিকেট থেকেই করা হবে নিষিদ্ধ। সিএ-এসিএ অচলাবস্থার উৎপত্তি গত কয়েক মাস ধরেই। সিএ যে পরিমাণ আয় করে সে তুলনায় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বেতনভাতা যৎসামান্য। বছর খানেক আগে সবকিছু বাড়িয়ে এসিএ’র সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি করেছিল সিএ। সেটার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে আজকের পর। এর আগেই ক্রিকেটাররা তাদের দাবি-দাওয়া সংবলিত একটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছিল সিএ’র কাছে। তারপর থেকেই উভয়পক্ষের মধ্যে একটা শীতল সম্পর্কের উৎপত্তি হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে থেকেই সমস্যাটি। সেটার প্রভাব এবার মাঠের নৈপুণ্যেও পড়েছে। স্টিভেন স্মিথের দল গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গেছে। ইতোমধ্যেই গত ২৩ জুন নতুন একটি পরিমার্জিত এবং পরিবর্তিত কাঠামো প্রস্তাবনা হিসেবে এসিএ’র কাছে পাঠিয়েছিল সিএ। কিন্তু সেটা প্রত্যাখ্যান করে নিজেদের দাবিতে অনড় থাকে সিএ। সেই সময় ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে জানানো হয় দাবি না মানলে ১ জুলাই থেকে ক্রিকেট খেলায় বিরতি দেবেন তারা এবং কোন সফরে যাবেন না। এবার সিএ টিম পারফর্মেন্স ম্যানেজার প্যাট হাওয়ার্ড বুধবার রাতে একটি বার্তা পাঠান এসিএ’র কাছে। সেখানে জানানো হয়েছে কোন ধরনের ক্রিকেটবিরোধী কর্মকা- এবং অনুমোদনহীন ক্রিকেটে জড়িত হলে ক্রিকেটারদের নিষিদ্ধ করা হবে। আর সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ হবে ৬ মাস। নিষিদ্ধ হলে কোন দেশের বোর্ডের অধীনে আয়োজিত কোন ধরনের ক্রিকেটেই অংশ নিতে পারবেন না সেই ক্রিকেটার। এমনকি অন্য দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার জন্যও অনাপত্তি পত্র (এনওসি) দেয়া হবে না। হওয়ার্ডের লিখিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘চুক্তিবদ্ধ এবং চুক্তির বাইরে থাকা যে কোন ক্রিকেটার কোন আইসিসি অনুমোদিত খেলায় এবং ঘরোয়া টি২০ আসরগুলোতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অনুমোদন ছাড়া অংশ নিতে পারবে না। অনুমোদনহীন কোন ক্রিকেট খেলতে গেলেও খেলোয়াড়দের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে অন্তত ৬ মাসের জন্য।’ এমনকি সিএ’র সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে জড়িত কোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত চুক্তিও অবৈধ হবে। এমন অবস্থায় আজ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ দিন। যদি উভয়পক্ষ নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকে সেক্ষেত্রে আগস্টে বাংলাদেশ সফর, সেপ্টেম্বরের শেষে ভারত সফর এবং নবেম্বরে মর্যাদার এ্যাশেজ সিরিজের ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে যাবে। নতুন প্রস্তাবিত চুক্তিতে ক্রিকেটাররা ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে স্বাক্ষর না করলে আর নতুন করে কোন ধরনের সুযোগ দেয়া হবে না। হাওয়ার্ড আরও লিখেছেন, ‘যদি চুক্তির মেয়াদ ৩০ জুন শেষ হয়ে যায়, তারপর থেকে আর কেউ সিএ’র বেতনভুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবেন না। এর অর্থ আর কোন খেলোয়াড়ই খেলা, অনুশীলন করা, মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সুযোগটাও পাবে না।’ জেক বলের ইনজুরি স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হবে রয়্যাল লন্ডন ওয়ানডে কাপ ফাইনাল। সেখানে নটিংহ্যামশায়ার আউটলসের হয়ে খেলার কথা ছিল পেসার জেক বলের। কিন্তু ইনজুরির কারণে দল থেকে ছিটকে গেছেন তিনি। লর্ডসে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে তিনি খেলতে পারবেন না হাঁটুর ব্যথার কারণে এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান কোচ পিটার মুরস। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচে কেন্টের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার বোলিং করার সময় এ ইনজুরিতে পড়েন বল। এরপর স্ক্যান করানো হলে হাঁটুর অবস্থা খেলার অনুপযুক্ত বলে জানা যায়।
×