ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গতি কমছে গতি দানবের

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ৩০ জুন ২০১৭

গতি কমছে গতি দানবের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগস্টে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ। সেই টুর্নামেন্ট শেষেই অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন উসাইন বোল্ট। তার আগে বুধবার চেক প্রজাতন্ত্রের অস্ত্রাভায় গোল্ডেন স্পাইক এ্যাথলেটিকস মিটিংয়ের ১০০ মিটার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন জ্যামাইকান স্প্রিন্টার। নিজের প্রিয় ইভেন্টে জয় পেয়েছেন ঠিকই। কিন্তু নিজের মতো করে নয়। ১০০ মিটার ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করতে জ্যামাইকান স্প্রিন্টার এদিন সময় নেন ১০.০৬ সেকেন্ড। যা অবিশ্বাস্যই মনে হতে পারে বোল্ট সমর্থকদের। কেননা ২০০৯ সালে বার্লিনে যে ১০০ মিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছিলেন মাত্র ৯.৫৮ সেকেন্ড। যা এখন পর্যন্ত বিশ্ব রেকর্ড। তবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের আগে তার এমন পারফর্মেন্স রীতিমতো ভয় ধরিয়ে দিয়েছে সমর্থকদের মনে। কেননা ইংলিশদের গর্বের নগরী লন্ডনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৭ শুরুর বাকি আর মাত্র ৩৪ দিন। সেটাই হবে উসাইন বোল্টের ক্যারিয়ারের শেষ ইভেন্ট। কেননা এরপরই যে অবসর নিবেন পৃথিবীর ইতিহাসের এই দ্রুততম মানব। কিন্তু ক্যারিয়ারের শেষ ইভেন্টের আগেই যেন নিষ্প্রভ হয়ে পড়লেন উসাইন বোল্ট। জুনের শুরুতে কিংস্টনেও বোল্ট ছিলেন নিজের ছায়া। নিজের দেশ জ্যামাইকার সেই টুর্নামেন্টে ১০০ মিটার দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নিয়েছিলেন ১০.০৩ সেকেন্ড। তবে গোল্ডেন স্পাইক মিটে ১০.০৬ সেকেন্ড সময় নিলেও বোল্টকে দ্বিতীয় হতে হয়নি। যাকে হারিয়েছেন বোল্ট তিনি কিউবার ইউনিয়ের পেরেজ। এই কিউবান স্প্রিন্টার সময় নিয়েছেন ১০.০৯ সেকেন্ড। ৯.৫৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে ১০০ মিটার স্প্রিন্ট শেষ করা বোল্টের গতি হঠাৎ এতটা কমে গেল কেন? এ্যাথলেটিক ট্র্যাক এ্যান্ড ফিল্ড থেকে নিজের বিদায়ের বছরে কী তবে দ্বিতীয় হতে হবে বোল্টকে? জ্যামাইকান স্প্রিন্টার অবশ্য জানালেন এই মুহূর্তে কিছুটা ফিটনেস এবং শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন তিনি। অস্ত্রাভায় দৌড় শেষে বোল্ট নিজেই জানালেন, খুব দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। জার্মান ডাক্তার হ্যান্স উইলহেলম মুলার উলফআর্ট সবসময়ই বোল্টকে দেখে আসছেন। তার স্মরণাপন্ন হয়ে বোল্ট খুঁজবেন তার নিজের বিদায়ী বছরে কেন এতটা সেøা হয়ে গেলেন তিনি। অস্ত্রাভায় শুরুটা মোটামুটি ভাল থাকলেও মাঝে এসে কিছুটা গতি হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। এক সময় তো মনে হচ্ছিল পেছনেই পড়ে যাবেন বোল্ট। শেষ পর্যন্ত খুব কম ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দৌড় শেষ করলেন তিনি। দৌড়ের পর বোল্ট বলেন, ‘আমি নিজেই খুশি নই। তবে আমি ধীরে ধীরে রিদম ফিরে পাচ্ছি। নিজের কার্যকারিতা ধীরে ধীরে বাড়াচ্ছি এবং উন্নতি করছি।’ তবে দৌড়ের গতি কম থাকা নিয়ে চিন্তিত নন বোল্ট। তিনি বলেন, ‘আমি কখনই চিন্তিত নই। এটা শুধু আমার পেছনের সমস্যা। ডাক্তার গত এক বছর ধরেই আমাকে বলে আসছিলেন, আমার বয়স যত বাড়বে পেছনের এই সমস্যাটাও বাড়বে। এখন আমাকে সত্যি সত্যি সমস্যাটা চেকআপ করাতে হবে। খুব দ্রুতই ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করা প্রয়োজন।’
×