ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদার দুর্নীতি মামলার শুনানি ৬ জুলাই

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ৩০ জুন ২০১৭

খালেদার দুর্নীতি মামলার শুনানি ৬ জুলাই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে থাকা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানির জন্য ৬ জুলাই নতুন তারিখ রেখেছে আদালত। বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে পুরান ঢাকার বকশিবাজারের কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোঃ আকতারুজ্জামান এ দিন ঠিক করেন। হাজিরাকে কেন্দ্র করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবার ১০টা ৪০ মিনিটে আদালতে হাজির হন। পরে বেলা পৌনে ১১টার দিকে শুনানি শুরু হয় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর রশীদকে এদিন তিনটি প্রশ্নে জেরা করেন খালেদার আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, আসামিপক্ষ আরও তিনটি প্রশ্নে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করার সুযোগ পাবেন। শুনানি শেষে দুপুর দেড়টার দিকে আদালত চত্বর ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগ বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০০৮ ও ২০১০ সালে মামলা দুটি দায়ের করে দুদক। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দুই মামলাতেই বিএনপি নেত্রীর আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি কয়েক দফা পেছানো হয়। আসামিপক্ষের অনাস্থার কারণে কয়েক দফা বিচারকও বদল হয়। খালেদা জিয়ার সর্বশেষ আবেদনে উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ১৬ মে এ দুই মামলা ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালত থেকে বিশেষ জজ আদালত ৫ এর বিচারক মোঃ আখতারুজ্জামানের আদালতে আসে। আসামিপক্ষের আবেদনে তিনি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বাদীকে নতুন করে জেরার অনুমতি দেন। চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত বছরের ১ ডিসেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে শুরু করেন খালেদা। কিন্তু ওইদিন বক্তব্য শেষ না হওয়ায় সময় চান তিনি। এরপর কয়েক দফায় আদালতে না গিয়ে সময় বাড়িয়ে নেন। এরই মধ্যে গত ৮ জুন ৩২তম সাক্ষী ও তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুন-অর রশিদকে রি-কলের (ফের জেরা) আবেদন জানান খালেদা। আদালত আবেদন মঞ্জুর করলে ওইদিন থেকেই চলছে তাকে আসামিপক্ষের পুনঃজেরা। অন্যদিকে উচ্চ আদালতে নানা আবেদন ও অসুস্থতার কথা বলে অরফানেজে আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন বেশ কয়েকবার পিছিয়ে নিয়েছেন খালেদা জিয়া। অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০০৮ ও ২০১০ সালে মামলা দুটি দায়ের করে দুদক। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দুই মামলাতেই বিএনপি নেত্রীর আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি কয়েক দফা পেছানো হয়। আসামিপক্ষের অনাস্থার কারণে কয়েক দফা বিচারকও বদল হয়।
×