ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

একে-৪৭ রাইফেলসহ বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৬:০১, ৩০ জুন ২০১৭

একে-৪৭ রাইফেলসহ বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি, ২৯ জুন ॥ রাঙ্গামাটি জেলার দুর্গম লংগদু উপজেলার গোলাছড়ি এলাকায় পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের একটি অস্থায়ী ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করেন খাগড়াছড়ি রিজিওন ও লংগদু সেনা জোনের সদস্যরা। সন্ত্রাসীরা সেখানে কিছু আগ্নেয়াস্ত্রের মজুদ গড়েছিল। তবে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। জনসংহতি সমিতি থেকে বেরিয়ে গিয়ে যারা ইউপিডিএফ (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট) নামে সংগঠন করেছে তাদের আর্মড ক্যাডারদের আস্তানা ছিল এটি। পাহাড়ী এই আস্তানা থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুটি একে-৪৭ রাইফেল, একটি যুগোস্লাভিয়ান অটোমেটিক রাইফেল, একটি চাইনিজ রাইফেল, চারটি ম্যাগজিন, ১৫১ রাউন্ড তাজা গুলি, চারটি পোচ, জলপাই রঙের ৭ জোড়া ইউনিফরম, আটটি ক্লাপ চার্জার এবং পাঁচটি মোবাইল ফোন সেট। এছাড়া ইউপিডিএফের বেশকিছু রাষ্ট্রবিরোধী বই, চাঁদার রশিদ এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও উদ্ধার হয়েছে। এ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ পাহাড়ী সংগঠন ইউপিডিএফের বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র জানায়, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার দুর্গম উপজেলা লংগদুর গোলাছড়ি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের এই অস্থায়ী ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় অস্ত্রগুলো। খাগড়াছড়ি রিজিয়ন ও লংগদু সেনা জোনের সদস্যরা যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করেন। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত চলে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী অভিযান। তবে সন্ত্রাসীরা অভিযান আঁচ করতে পেরে আস্তানা ছেড়ে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা তাদের অস্ত্র পানিতে ফেলে চলে যায়। সেনা সদস্যরা এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে এবং স্থানীয় ডুবুরী দিয়ে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে। অভিযানের সময় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন এই অভিযানের কথা স্বীকার করেছে। সেখানে এখনও সেনা টহল অব্যাহত রয়েছে বলে জানান, লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৫ আগস্ট রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলার রূপকারির বড়াদমে জেএসএস সষ্কার গ্রুফের একটি আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযানকালে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ৫ সন্ত্রাসী নিহত হয়। ওই সময়ে আস্তানায় সেনা তল্লাশি চালিয়ে তিনটি এসএলআর, ২টি চাইনিজ রাইফেল, একটি এসএম জি এবং একটি পিস্তলসহ বিপুল পরিমাণ গোরাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছিল। এরপর বৃহস্পতিবার প্রায় কাছাকাছি এলাকায় অপর একটি অভিযানে উদ্ধার হলো অস্ত্র ও গোলাবারুদ। গত মঙ্গলবার মহালছড়ি থেকে দুটি পিস্তল ও ৮ রাউন্ড গুলিসহ প্রীতি বিকাশ চাকমা নামে এক ইউপিডিএফ কর্মীকে সেনাবাহিনী আটক করে পুলিশে দেয়।
×