ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ৩০ জুন ২০১৭

উবাচ

আনন্দ নেই! স্টাফ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশাল আয়োজন। দেশের সব থেকে বড় অনুষ্ঠান আয়োজন স্থল এটিই। নেতাকর্মী ছাড়াও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এসেছেন ঈদের খুশি ভাগাভাগি করতে। চলছে খাওয়া দাওয়া, হাসি আনন্দে উৎসবের মিলনমেলা। বেগম জিয়াও হাসিমুখে উৎসবে শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলেন আগতদের। সত্যিই অনেক দিন উৎসবে এমন আনন্দমুখর দেখা যায়নি বিএনপি নেত্রীকে। কিন্তু এর মধ্যেই যখন বক্তৃতা শুরু করলেন দেশবাসীর উদ্দেশে তখনই বদলে গেল সব কিছু। সর্বস্তরের নাগরিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আপনারা জানেন, মুসলমানদের জন্য ঈদ অত্যন্ত আনন্দের। কিন্তু এই ঈদে আমাদের কারও মধ্যে আনন্দ নেই, সারা বাংলাদেশের মানুষের মনে কোন আনন্দ নেই। উৎসবমুখর পরিবেশ এবার ছিল না। তিনি বলেন, একটা শ্রেণী আছে, যারা অনেক টাকার মালিক, বহু টাকার মালিক, তারা এবার ঈদের জন্য কেউ ব্যাঙ্ককে, সিঙ্গাপুরে, কেউ কলকাতা-দিল্লী বিভিন্ন জায়গায় শপিং করেছেন। আর সাধারণ মানুষ হয়ত ঈদের কাপড়-চোপড়ও কিনতে পারেনি। সত্যিই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে বিএনপির তরফ থেকে ঈদবস্ত্র বিতরণ করা কী উচিত ছিল না। কিন্তু কোথায় তেমন খবরতো বিএনপি তৈরিই করতে পারল না! কেউ তো দায় নিলেন না স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি গত আট বছরে আট মিনিটের জন্যও আন্দোলন করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এত বড় একটি দল আন্দোলন করতে পারেনি। আন্দোলনে ব্যর্থতার জন্য বিএনপির টপ টু বটম সব নেতাদের পদত্যাগ করা উচিত। কিন্তু সত্যি সত্যি সকলে এই দায় নিয়ে পদত্যাগ করলে এত বড় একটি দল চলবে কি করে সে কথা অবশ্য তিনি বলেননি। বিএনপি রাজনৈতিকভাবে আন্দোলন করলে আওয়ামী লীগও রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবে। আন্দোলন সহিংস হলে প্রশাসনিকভাবে মোকাবেলা করা হবে। এবার ঈদে সকলে নির্বিঘেœ বাড়ি ফিরেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যানজট আছে শুধু বিএনপির প্রেস ব্রিফিংয়ে। তামাশা? স্টাফ রিপোর্টার ॥ সমালোচনা বিরোধীপক্ষ ছাড়া কেউ করতেই পারেন না, নিজেরা নিজেদের সমালোচনা করবে এটা ভাবা অনেকের পক্ষেই অসম্ভব। বিশেষত দেশের রাজনৈতিক দলের নেতা, যাদের দলের মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চাই করেন না সময়ে অসময়ে তোশামোদীতেই মশগুল থাকেন তারা আর কী ভাববেন? এবার সংসদে এই চর্চাই দেখেছে দেশের মানুষ। বাজেটে ঘোষিত শুল্ক, কর আর ভ্যাট ছাড়াও সঞ্চয়পত্রের সুদসহ নানান বিষয়ে প্রতিবাদ করেছেন নিজেদের বিরুদ্ধেই। এটা নিঃসন্দেহে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। নিজের লোক যা করবেন সব ভাল অন্যলোক যা করবে সব মন্দ এই রীতির পরিবর্তন হয়েছে। এটা হওয়াটা জরুরী। সাহস করে নিজের লোকের কাজের বিরুদ্ধে সত্য বলতে পারা কঠিন কাজ। এটা যারা কোন দিন করেননি তাদের পক্ষে সমালোচনাও স্বাভাবিক। কিন্তু সমালোচনা আর প্রতিবাদের পর নতুন ভ্যাট আইন কার্যকরের সিদ্ধান্ত থেকে অর্থমন্ত্রী সরে এসেছে। আবগারি শুল্ক নিয়ে এতসব সমালোচনা সত্যিই কাজে দিয়েছে। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর সমালোচনাকে সরকারে গণতন্ত্রের চর্চা বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, এ প্রসঙ্গে আমাদের আর বলার কিছু নেই। তামাশা দেখতে ভালই লাগে। তবে চক্ষুলজ্জাহীন তামাশা মানুষের মধ্যে বিরক্তি তৈরি করে।
×