ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গাবতলীর গরুর হাটে অগ্নিকাণ্ড, ৩৯ পশু জীবন্ত দগ্ধ

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ৩০ জুন ২০১৭

গাবতলীর গরুর হাটে অগ্নিকাণ্ড, ৩৯ পশু জীবন্ত দগ্ধ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর গাবতলীর গরুর হাটে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। আগুনের লেলিহান শিখায় পশু রাখার কয়েকটি আস্তানা পুড়ে গেছে। এতে ৩৯টি পশু জীবন্ত দগ্ধ হয়েছে। আগুন লাগার সুযোগে কয়েকটি পশু চুরি হয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে দ্রুত দমকলের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। হাটের ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার ১০টার দিকে প্রথমে হাটের দোতলা একটি ছাউনিতে আগুন লাগে। পরে পাশের দুই ছাউনিতে তা ছড়িয়ে পড়ে। তারা জানান, ওই তিন ছাউনিতে শতাধিক গবাদিপশু রাখা ছিল। আগুন লাগার পর হাটের লোকজন অধিকাংশ গরু-ছাগল সরিয়ে নিতে পারলেও ৩৯টি পশু ভেতরেই পুড়ে মারা গেছে। এর মধ্যে ১৩টি গরু এবং ২৬টি ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। এ ছাড়া আগুনে দগ্ধ আরও ১৪টি গরুকে তাৎক্ষণিকভাবে জবাই করে ফেলা হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা। গাবতলী গরু হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য সারোয়ার হোসেন জানান, যেসব ছাউনিতে পশু বেঁধে রাখা হয়। সেগুলো প্লাস্টিকের তৈরি ছিল। আগুন লাগার পরই তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তিনি জানান, আগুনে প্লাস্টিক গলে গলে পড়ায় ছাউনিতে বেঁধে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে সব পশু রক্ষা করা যায়নি। আর যেসব পশু দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল সেগুলো কোন রকমে বাঁচানো গেছে। শেকল বা চেইন দিয়ে যেসব পশু বাঁধা ছিল সেগুলো মারা পড়েছে। সারোয়ার হোসেন জানান, প্রায় ৫ মাস আগেও এ হাটে একবার আগুন লেগেছিল। সেবার তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পশুর খাবারের জন্য রাখা খড় থেকে আগুন লাগে। তবে এবারের ধারণা তেমন কিছু না। গাবতলী গবাদিপশু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মজিবুর রহমান জানান, আগুন লাগার সময় অধিকাংশ ব্যাপারীরা গরু-ছাগলের কাছে ছিলেন না। এ জন্য চুরির ঘটনা ঘটেছে। আগুন লাগার পর কে কারা গরু নিয়ে যাচ্ছে তা দেখার বা বাধা দেয়ার কেউ ছিল না। তিনি জানান, ছাগল রাখার শেড পুরোটাই পুড়ে গেছে। এখন এই হাটে ছাগল রাখার কোন জায়গা থাকল না। মজিবুর রহমান দাবি করেন, অবিলম্বে ছাউনিগুলো ঠিক করা হোক। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে হাট মালিক (ইজারাদার) এবং সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতাও প্রয়োজন। এ ব্যাপারে দমকলের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েতুল কবির জানান, সকাল ১০টার দিকে আমরা আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পাঁচটি ইউনিট পাঠানো হয়। আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। তবে হাটে গরুর রাখার বেশ কয়েকটি আস্তানা পুড়ে গেছে আর কিছু পশুও মারা গেছে। তিনি জানান, কীভাবে আগুন লেগেছে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে তদন্ত করে জানা যাবে।
×