ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে চতুর্থদিনেও দর্শনার্থী

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ৩০ জুন ২০১৭

ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে চতুর্থদিনেও দর্শনার্থী

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ ঈদের চতুর্থ দিনেও চকরিয়া ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক দর্শনে পর্যটক-দর্শনার্থীদের ঢল পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ স্বাভাবিক থাকায় ঈদের দিন থেকে পার্কে দর্শানার্থী আগমন বাড়ছে। পর্যটক-দর্শনার্থীদের যানবাহন জটলা কমাতে পার্কের বাইরে রাখা হয়েছে বিশাল গাড়ি পার্কিং স্পট। নানা ধরনের জীববৈচিত্র্যের পাশাপাশি পার্কের সৌর্ন্দয বিমোহিত করছে দর্শনার্থীদের। পার্কের ভেতরে ও বাইরে দর্শনার্থীদের অবাধ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে ঈদের দিন থেকে থানা পুলিশ বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে। তবে পার্কের আশপাশ এলাকায় উন্নতমানের খাবার হোটেল না থাকায় পর্যটকদের ভোজন নিয়ে বিপাকে পড়তে দেখা গেছে। সাফারি পার্কের বিট কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ঈদের দিন থেকে এ পর্যন্ত গড়ে ১৫ হাজার দর্শনার্থী পার্কে এসেছেন। জানা গেছে, সাফারি পার্কের ভেতরে গহীন অরণ্যে চলে যাওয়া আঁকাবাঁকা সড়কের দুই পাশের অসংখ্য গাছ-গাছালি, বন-জঙ্গলে ভরপুর বিশাল লেকের বিস্তীর্ণ জলরাশির সৌন্দর্য উপভোগ করছেন দর্শনার্থীরা। অনেকে সেলফি তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। পার্কের অলিগলিতে অবস্থিত পশু ও পাখিশালায় হরেক প্রজাতির জীবজন্তু দেখতে ভিড় করেছে। সাফারি পার্কে দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে বাঘ, সিংহ, হরিণ, হাতি, উটপাখি, সাম্বার, ময়ূর, সারস পাখি, উটপাখি, কুমির, জলহস্তী, মায়া হরিণ, চিতা হরিণ, ভল্লুক, খরগোশ, অজগর, বন্যশুয়র, বানর, কালো শিয়াল, উল্টোলেজী বানর, লাম চিতা, হনুমান, তারকা কচ্ছপসহ ৭০ প্রজাতির পশুপাখি। সীতাকু- ইকোপার্ক নিজস্ব সংবাদদাতা সীতাকু- থেকে জানান, সীতাকু-ের ফকিরহাটে অবস্থিত উপজেলার একমাত্র সরকারী বিনোদন কেন্দ্র বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক। আগত দর্শনার্থীদের পার্কে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ থাকলেও পার্ক ঘুরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ফেনী থেকে আসা কয়েক তরুণ। ঈদ-উল-ফিতরের তৃতীয় দিন অতিবাহিত হতে চললেও সীতাকু- ইকোপার্কে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায়। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হাজার হাজার দর্শনার্থী ঈদ বিনোদনে পরিবার-পরিজন ও কপোত-কপোতিকে পার্কে আসতে দেখা যায়। জানা যায়, পাখ-পাখলির কলরব, প্রবাহমান প্রাকৃতিক ঝরণা, মনোমুগ্ধকর চিরসবুজ বৃক্ষরাজি সমাহারে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে উঠেছে এ বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কটি। কোয়াটারনারী প্লিওসিন ভূতাত্ত্বিক যুগে ভূপিটিলা সিরিজের ও অপার মিডল টিপাম সেন্ডস্টোনে তৈরি বোটানিক্যাল গার্ডেনে গর্জন, ধারমারা, ডেউরা, হলুদ, বাঁশপাতা, বহেরা, জারুল, পলাশ, সোনালু, শিমুল, হরীতকী, আমলকী ও বিরল প্রজাতির সাইকাসসহ রয়েছে ১৪৫ প্রজাতির উদ্ভিদ। এছাড়া হরিণ, ভালুক, খরগোশ, মায়া হরিণের মতো বিরল বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর আনাগোনায় দর্শনার্থী ও পর্যটকের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক। পার্কের প্রবেশদ্বারে শাপলা ফুলে সজ্জিত পুকুর, নজরুলের মোরাল ও দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ধরনের বাহারি ফুলের বাগান অনায়াসেই পর্যটকের মন কেড়ে নেয়। একইভাবে পার্কের প্রবেশমুখের দু-পাশে শিশুদের জন্য রয়েছে বিনোদনের পাশাপাশি খেলাধুলার মনমুগ্ধকর পরিবেশ। পার্কের সহস্রধারা ও সুপ্তধারার মতো প্রবাহমান ঝর্ণা ও গোধূলীর রক্তিম সভায় তৈরি করা বোটানিক্যাল গার্ডেনের নৈসর্গিক পরিবেশ দেখতে প্রতিবছর ঈদ ও ঈদ পরবর্তী দূর-দূরান্তের দর্শনার্থী ও পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে পার্কটি। বেড়া নৌবন্দর সংবাদদাতা বেড়া পাবনা থেকে জানান, এক পাশে বড়াল অন্য পাশে ইছামতি নদী। মাঝখানে বেড়া নৌবন্দর। বর্ষার সময় দুই নদীতেই জল থাকে। বর্ষার জলে চারদিকে থৈ থৈ করে। বড়ালের একূল ও কূল দেখা যায় না। মাঝে মাঝে আবছা মতন দু’একটা গ্রাম তারপর আবার জলরাশি। সন্ধ্যা হলেই সেসব গ্রামে অল্প অল্প আলো দেখা যায়। নৌবন্দরের রাস্তার দু’ধারে সারি সারি গাছ প্রকৃতিকে নিজ হাতে সাজিয়েছে। এ অপূর্ব দৃশ্য দেখে যে কারও মন ভরে যাবে। তাই দূর দূরান্ত থেকে এখানে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিতে প্রতিদিন মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। দুই ঈদ আর পূজায় মানুষের ঢল নামে। তখন পায়ে হাঁটার জায়গাও থাকে না। দল বেঁধে বেড়ানো, গল্প করা, সেলফি তোলা থেকে রয়েছে বড়ালের বুকে নৌকা ভ্রমণের সুযোগ। অন্য সময়ের চেয়ে ঘণ্টা প্রতি ভাড়ার টাকা একটু বেশি গুনতে হয় উৎসবের সময়গুলোতে। বেড়া নৌবন্দর যেন এক মিনি পর্যটন কেন্দ্র। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ঈদে মানুষের ঢল নেমেছিল বেড়া নৌবন্দরে। ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে ঘুরতে সবাই জড়ো হয়েছিল এখানে। নিজ জেলার বাইরে থেকেও নৌকা ভ্রমণের স্বাদ নিতে এসেছিল ভ্রমণপিয়াসী মানুষ।
×