ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উৎসাহ উদ্দীপনার কমতি ছিল না

স্বস্তি ও আনন্দের সঙ্গে সারাদেশে ঈদ-উল ফিতর উদযাপিত

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ২৯ জুন ২০১৭

স্বস্তি ও আনন্দের সঙ্গে সারাদেশে ঈদ-উল ফিতর উদযাপিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় পালিত হলো মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল ফিতর। ঈদের দিন সারাদেশবাসী মেতে উঠেছিল ঈদ আনন্দে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই ঈদ উৎসব পালন করতে এ কাতারে শামিল ছিল। কারও মনেই যেন আনন্দের কমতি ছিল না। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ পালন, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে মধুর সময় কাটানো, ইচ্ছামতো প্রিয় স্থানে ঘোরাঘুরি কোনটাই কমতি ছিল না এবারের ঈদে। এবারের ঈদ যাত্রাও যেমন আনন্দ মুখর ছিল। ঈদের আবহাওয়াটা ছিল একবারেই অনুকূল। এর বাইরে সারাদেশে ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে নেয়া হয় কড়া নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। ফলে কোন আশঙ্কা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে ঈদ-উল ফিতর। ঈদের সকালে ঘুম থেকে উঠেই আগে শুরু হয় ঈদের নামাজের অংশ নেয়ার প্রস্তুতি। অজু গোসল সেরে আতর সুরমা মেখে সবাই ছুটে গেছে ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করতে। পরিবার পরিজন নিয়ে সবাই ঈদের নামাজ আদায় করে। নামাজ শেষে একে অন্যের সঙ্গে হৃদয়ের অন্তরঙ্গতা বাড়াতে অংশ নিয়েছে কোলকুলিতে। ঈদের নামাজ শেষে বড়দের কাছ থেকে ছোটদের ঈদ সেলামি আদায় ঈদ উদযাপনে নতুন মাত্রা যোগ করে। ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে বাড়িতে বাড়িতে ভাল ভাল খাবার রান্না করা হয়। মিষ্টি সেমাই খেয়েই ঈদের নামাজের শরিক হন। হৃদয়ে সব দুঃখ-কষ্ট, রাগ অভিমান ভুলে সবাই এক কাতারে চলে আসে। ঈদের দিন একে অন্যের বাড়িতে মেহমানদারিও করতে দেখা যায়। যে যার সাধ্যমতো অতিথি আপ্যায়নের ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার বিনোদন কেন্দ্রগুলিতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। যার রেশ এখনও রয়েছে। গত ২৬ জুন সোমবার সারাদেশে একযোগে পালিত হয় পবিত্র ঈদ-উল ফিতর। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আবার আসে ঈদ-উল ফিতর। বছরের সবচেয়ে বড় উৎসবের একটি। ঈদ উপলক্ষে আগ থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়। বিশেষ করে ঈদের খুশিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে যে যার সাধ্য মতো কেনাকাট করে। নতুন জামাকাপড় পরেই ঈদের আনন্দের শরিক হয় দেশবাসী। প্রতিবারের মতো প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দে শরিক হতে রাজধানী ছেড়ে যায় লাখ লাখ বাসিন্দা। ফলে রাজধানীও ফাঁকা নগরীতে পরিণত হয়। তবে রাজধানীতেও ঈদের আনন্দের কমতি ছিল না। বিভিন্ন কারণে যারা রাজধানী ছেড়ে যেতে পারেনি তারা ঢাকাতে ঈদ উদযাপনে শরিক হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে রাজধানীতে ৪শ’র অধিক ঈদের জামাতের আয়োজন করে। প্রতি ওয়ার্ডে চার করে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয় সিটি কর্পোরেশন থেকে। তবে এর বাইরের প্রতিটি মসজিদেই ছিল ঈদের নামাজের আয়োজন। লাখ লাখ মুসল্লি রাজধানীতে ঈদ জামাতে শরিক হয়। রাজধানীর প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। প্রায় এক লাখ লোক জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায় করেন। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হাইকোর্টের বিচারপতি, কূটনীতিক কোরের সদস্য, সংসদ সদস্য ছাড়া সাধারণ জনগণ জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এদিকে ঈদের প্রধান জামাত উপলক্ষে নেয়া হয় কড়া নিররাপত্তামূলক ব্যবস্থা। দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় কিশোরগঞ্জে শোলাকিয়ায়। গতবার এই ঈদগাহে জঙ্গী হামলা হলেও সববচেয়ে বড় ঈদের জামাতে ছিল ভিন্ন রকম পরিবেশ। কড়া নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়ায় শান্তিপুর্ণ পরিবেশেই নামাজ সম্পন্ন হয়। এদিকে শোলাকিয়ার পাশাপাশি প্রথমবারের মতো উত্তরবঙ্গে দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হয় সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত। দিনাজপুরের গোর এ শহীদ ঈদগাহ ময়দানে প্রথমবারের মতো প্রায় ৭০ হাজার মুসিল্লি ঈদের নামাজে অংশ নেন। দূর দূর থেকে মুসল্লিরা এই ঈদগাহ ময়দানে নামাজে শরিক হন। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের পাশাপাশি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমেও ৫টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাত থেকে শুরু হরে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত পাঁচটি জামাতে মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। এর বাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও জাতীয় সংসদ ভবনেও ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের জামাতে সারাবিশ্বের মুসলমানদের সুখ সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। এদিকে ঈদের দিন সকালে জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করেই বঙ্গবভনের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। শুভেচ্ছ বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি দেশবাসীকে ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান। ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় স্ত্রী রাশিদা খানম ও পরিবারের সদস্যরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন। ঈদ উপলক্ষে আয়োজিত এই সংবর্ধনায় স্পীকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এছাড়া অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সংসদের প্রধান হুইপ আসম ফিরোজ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ও মসিউর রহমান, অর্থ প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ডিপ্লোম্যাটিক কোরের ডিন বাংলাদেশে ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত আর্চ বিশপ জর্জ কোচেরি, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ইয়াসুজা গুনাসেকারাসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উচ্চপদস্থ বেসামরিক-সামরিক কর্মকর্তারাও বঙ্গভবনে এসেছিলেন। এছাড়া সংসদ সদস্য, উচ্চ আদালতের বিচারপতি, শিক্ষাবিদ, কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতারাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়। এদিকে ঈদের দিন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার পর গণভবনে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। এরপর আমন্ত্রিত অতিথি এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। শুভেচ্ছা বিনিময়ে ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ প্রমুখ। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য রাজনীতিবিদ ছাড়াও কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা এবং সর্বস্তরের জনসাধারণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। বেলা সাড়ে ১১টায় কূটনীতিক ও বিচারপতিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এছাড়াও ঈদের দিন সামজের দুস্থ শ্রেণীর মানুষও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সুযোগ পেয়েছেন। এদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দলীয় নেতাকর্মী সাধারণ জনগণ ও বিদেশী কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ঈদের দিন দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয় খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়। খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ে অংশ নেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার এ্যালিসন ব্লেক, ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদনসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, দলের বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক সদরুল আমিন প্রমুখ। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে খালেদা জিয়া শেরেবাংলানগরে জিয়াউর রহমানের মাজার এবং বনানীতে ছোট ছেলে কোকোর কবর জিয়ারত করেন। এদিকে শান্তিপূর্ণ আবহাওয়া এবার সারাদেশের জনগণ ঈদ উদযাপন করতে পেরেছেন। ঈদের দিন সকাল থেকেই আকাশ মেঘমুক্ত ছিল। বৃষ্টির দেখা মেলেনি। ঈদ আনন্দের সঙ্গে শান্তিপুর্ণ আবহাওয়া ঈদের আনন্দের নতুন মাত্রা যোগ করে। এদিকে ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন সরকারী হাসপাতাল, কারাগার, শিশু পরিবার, ছোটমণি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, সরকারী আশ্রয় কেন্দ্র, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, সেফ হোমস, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এবারের ঈদ উদযাপনের অন্যতম স্বস্তির বিষয় ছিল নির্বিঘেœ ঘরে ফেরা। এছাড়া মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার কারণে পরিবার পরিজনদের জন্য ঈদ কেনাকাটও হয়েছে ইচ্ছেমতো। সরকারী-বেসরকারী সব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তাচারীও সময়মতো বেতন বোনাস পেয়েও খুশি ছিল। ফলে তারা আগেই সাধ্যমতো কেনাকটা করতে সক্ষম হয়েছে। ঈদেও অর্থনীতি দিন দিন বৃদ্ধির কারণে সবাই খুশি মনে ঈদ উদযাপন করতে পারছে। দীর্ঘদিন পরে রাজধানীবাসী এবার স্বাচ্ছন্দে ঈদ উদযাপন করতে পেরেছে। রাজধানীসহ বড় বড় শহরগুলোতে ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে বিদ্যুত সরবরাহ ছিল নিরবচ্ছিন্ন। সময় নিত্যপণ্যের দাম ছিল সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে। ঈদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ছিল নিয়ন্ত্রণে। ঈদে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেশিরভাগ পুলিশ সদস্যদের ছুটি বাতিল করা হয়। সব মিলিয়ে বিভিন্ন নাগরিক সমস্যা এবারের রমজানে নিয়ন্ত্রণে ছিল। রাজধানীর পাশাপাশিও সারাদেশে উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে ঈদ আনন্দে অংশ নিতে দেখা গেছে সবাইকে। শুক্রবার রমজান মাস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের প্রতিটির ঘরে ঘরে নেমে আসে খুশির বন্যা।
×