ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আগুনমুখা পারাপারে ২০ টাকার ভাড়া তিন হাজার

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ২৯ জুন ২০১৭

আগুনমুখা পারাপারে ২০ টাকার ভাড়া তিন হাজার

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালী জেলার আগুনমুখা নদী পারাপারে যাত্রীদের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ যাত্রী প্রতি বিশ টাকা ভাড়া র্নিধারণ করলেও লঞ্চ চালকরা ঈদকে টার্গেট করে দেড়শ’ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করছে। এ নিয়ে যাত্রীরা প্রতিবাদ করতে গিয়ে উল্টো লাঞ্ছিত হচ্ছে। এমনকি গণমাধ্যমকর্মীরাও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে। পটুয়াখালী থেকে রাঙ্গাবালী উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে আগুনমুখা নদী। ওই নদীর উত্তর পারে গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ঘাট এবং ওপারে রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া ঘাট। নদী পারাপারের জন্য পটুয়াখালী নৌবন্দর কর্তৃপক্ষ লঞ্চ মালিকদের যাত্রী প্রতি বিশ টাকা ভাড়া র্নিধারণ করে দিলেও প্রতিনিয়ত তারা ৫০ টাকা ভাড়া আদায় করছে। মাঝে মধ্যে নদী উত্তাল থাকার অজুহাতে আরও বেশি ভাড়া আদায় করা এখানকার নিত্যকার চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঈদকে র্টাগেট করে গত ২০ জুন থেকে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের কাছ থেকে আরও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে সাধারণ যাত্রীরা অভিযোগ করেছে। অভিযোগে জানা গেছে, ঘাটে টারমিনালে প্রবেশের জন্য ৫ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা এবং মালপত্রের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে। লঞ্চ ভাড়া দিনের বেলা ৫০ টাকার পরিবর্তে এক-দেড়শ’ এবং সন্ধ্যার পরে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদ করলে মারধরসহ লাঞ্ছিত হতে হয় লঞ্চ স্টাফদের হাতে। রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন খান অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন থেকে ইজারাদার ও লঞ্চ কর্তৃপক্ষের কাছে সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে রয়েছে। বিষয়টি উর্ধতন মহলে একাধিকবার অবহিত করা হলেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। বরং ঈদকে টার্গেট করে কিছুদিন থেকে ঘাটে এবং লঞ্চে মাত্রাতিরিক্ত তিন হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। যাত্রীরা প্রতিবাদ করে মারধরেরও শিকার হচ্ছে। রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন জানান, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে লঞ্চ মালিকদের গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ডেকে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু সে নিষেধ কেউ মানছে না। ভুক্তভোগী পটুয়াখালীর ঠিকাদার খোকন হাওলাদার জানান, মোটরসাইকেল নিয়ে নদী পার হতে তাকে দিনের বেলা ঘাট ও লঞ্চে তিন শ’ টাকা দিতে হয়েছে। সন্ধ্যার পরে পটুয়াখালী ফিরতে কেবল লঞ্চেই ২৮শ’ টাকা দিতে হয়েছে। এসব বিষয়ে পটুয়াখালী নৌবন্দরের সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক জানান, আগুনমুখা নদী পারাপারে লঞ্চে বিশ টাকা এবং ঘাটে ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বিশ টাকার বদলে ৫০ টাকা নিচ্ছে, এ বিষয়টি জানা আছে। তবে ঈদ উপলক্ষে দেড়শ’ থেকে তিন হাজার টাকা বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
×