ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কৌশলগত বিনিয়োগকারী খুঁজতে ছয় মাস সময় বৃদ্ধি

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ২৯ জুন ২০১৭

কৌশলগত বিনিয়োগকারী খুঁজতে ছয় মাস সময় বৃদ্ধি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টর বা কৌশলগত বিনিয়োগকারী খুঁজে পেতে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে আরও ছয় মাস সময় দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে সঙ্গে শর্ত হিসেবে বিএসইসি জানিয়েছে, যেসব প্রতিষ্ঠান স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা, ব্যবসা ও কারিগরি দিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবে, শুধু এমন প্রতিষ্ঠানের কাছেই এক্সচেঞ্জগুলো এ শেয়ার বিক্রি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিদেশী স্বনামখ্যাত প্রতিষ্ঠানকেই প্রাধান্য দিতে হবে। দেশী কোন কোম্পানির এমন যোগ্যতা না থাকলে সেগুলো যত দরই প্রস্তাব করুক তাদের কাছে শেয়ার বিক্রি করা যাবে না। সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদের একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে গেলে এ সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন, কমিশনার অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী, আমজাদ হোসেনসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ডিএসইর প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হাশেম। সঙ্গে ছিলেন পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান মিঞা, রকিবুর রহমান, শাকিল রিজভী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজেদুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বৈঠকে ডিএসইর পর্ষদ জানায়, স্ট্র্যাটেজিক শেয়ারহোল্ডার হতে আগ্রহপত্র আহ্বান করার পর কিছু দেশীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান একাধিক গ্রুপে দরপ্রস্তাব করে। এর মধ্যে লংকাবাংলা ও ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স গ্রুপটি ডিএসইর ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের জন্য সর্বোচ্চ সাড়ে ৩৩ টাকা দরে দরপ্রস্তাব করেছে। নরডিক দেশগুলোর ব্যবসায়ীদের সমন্বিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ব্রামার্স এ্যান্ড পার্টনার্সের নেতৃত্বাধীন একটি বিদেশি গ্রুপ ডিএসইর স্ট্র্যাটেজিক শেয়ার কিনতে আগ্রহ দেখালেও দরপ্রস্তাব করেছে মাত্র ১২ টাকা হারে। তাই এখনই শেয়ার বিক্রিতে রাজি হয়নি ডিএসইর পর্ষদ। ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, কৌশলগত বিনিয়োগকারীর কাছে শেয়ার বিক্রির চেষ্টা চলবে। কমিশনকে এটা অবহিত করা হয়েছে। সব শুনে বিএসইসি ভাল স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টর খুঁজে পেতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়ার কথা বলেছেন। এর আগে ক্লিয়ারিং কর্পোরেশন, স্মলক্যাপ মার্কেট প্রতিষ্ঠান ও ইটিএফ চালুর তাগিদ দেয়া হয়েছে। ডিএসইর বিদ্যমান পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৮০৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর মোট শেয়ারের ৪০ শতাংশ বিদ্যমান ব্রোকারেজ হাউসগুলোর মালিকরা প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডার হিসেবে সমহারে পেয়েছেন। ২৫ শতাংশ শেয়ার স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টরদের জন্য এবং বাকি ৩৫ শতাংশ আইপিও প্রক্রিয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রির জন্য সংরক্ষণ করা আছে। গত ৩০ জুন ২০১৬ সমাপ্ত বছরে স্টক এক্সচেঞ্জটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৬৬ পয়সা।
×