স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ঈদের ছুটির সময় দেশের হাসপাতালগুলোর সেবায় কোন বিঘ্ন ঘটেনি। চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারিগণ পালাক্রমে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করায় রোগীরা অব্যাহত সেবা গ্রহণ করতে পেরেছেন। এজন্য চিকিৎসক, নার্সদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, কর্মস্থলে উপস্থিত থেকে মানুষের সেবা করার এমন দৃষ্টান্ত অব্যাহত রাখলে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো সফল হবেই।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি একথা বলেন। এসময় অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যখাতের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সাথে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সময় জনগণের স্বাস্থ্যমানের উন্নয়ন ঘটেছে। স্বাস্থ্যখাতে আমাদের অর্জন আজ বিশ্বব্যাপী দৃষ্টান্ত হিসাবে দেখানো হচ্ছে। এই অর্জনকে আরো ঊর্দ্ধে নিতে হলে আগামী দিনের কর্মসূচির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক খাতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে হলে সকল চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদেরকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে আরো যত্নবান হতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারি ছুটির সময় সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন রোগীদের স্বাভাবিক চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে বিশেষ রোস্টার তৈরি করা হয়। আর ২৪ ঘন্টা জরুরি বিভাগ ও অপারেশন থিয়েটার খোলা থাকে। তবে ঈদের দিন ও পরের দিন বহি:বিভাগের চিকিৎসাসেবা সীমিত পরিসরে চলে। বিশেষ টিম চিকিৎসাসেবা তদারকি করে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশে বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ ইতোমধ্যে এবিষয়ে সিভিল সার্জনদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। এই বিশেষ ব্যবস্থা ঈদের আগের দিন থেকে ঈদের পরদিন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জনকণ্ঠকে জানান, ঈদের ছুটিগুলোতেও প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবা চালু থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটবে না। ঈদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সকল চিকিৎসক-নার্স ও কর্মচারী যাতে ঈদ উদযাপন করতে পারে, সেজন্য ঈদের দিন ও পরের দিন বহি:বিভাগের চিকিৎসাসেবা একটু সীমিত করা হয়। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকল্পে জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রয়োজনীয় ওষুধ, ডাক্তার, নার্স ও সুসজ্জিত এ্যাম্বুলেন্স এবং মেডিক্যাল টিম নিয়োজিতকরণসহ প্রাথমিক চিকিৎসার পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার সিজিন সার্জনকে নির্দেশ দেয়া হয় বলে জানান বলে জানান অধিদফতরের মহাপরিচালক।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: