অনলাইন ডেস্ক ॥ চীনে ভূমিধসে নিখোঁজদের মধ্যে ২৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। শনিবার রাত পর্যন্ত ১৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল; রবিবার সকালে আরও নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। এখনও শতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে। খবর সিনহুয়ার।
শনিবার সন্ধ্যায় এক দম্পতি ও তাদের দুইমাস বয়সী শিশুকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও তাদের শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা ফুরিয়ে আসছে।
ভূমিধসের পর একশ ৪১ জন নিখোঁজ ব্যক্তি কাদা ও পাথরের ধ্বংস স্তুপের মধ্যে আটকা পড়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল। শনিবার দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমের প্রদেশ সিচুয়ানে সিনমো গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে চাপা পড়া ব্যক্তিদের হয়তো আর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হবে না।
তারপরেও কাদা আর পাথর সরিয়ে নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। এলাকাবাসীও নিখোঁজ ব্যক্তিদের জীবিত দেখতে পাবার আশা ছেড়ে দিয়েছে।
প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে শনিবার সকাল ৬ টার সময় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, এ ঘটনায় সিনমো গ্রামের অন্তত ৪০টি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। পাহাড়ধসে বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় প্রায় দুই কিলোমিটার পর্যন্ত নদী।
শনিবার সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। চীনের সিচুয়ান ডেইলি`র ওয়েবসাইটে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে এক ব্যক্তি বলেন, পুরো গ্রামটি এখন কবর।
চীনা গ্লোবাল টেলিভিশনের সংবাদে দেখা যায় বুলডোজার দিয়ে মাটি অপসারণ করা হচ্ছে। পুলিশ ও সেনা সদস্যদের উদ্ধার তৎপরতা চালাতে দেখা গেছে আরেকটি ভিডিওতে।
ভূমিধসের ঘটনা সেখানে নতুন নয়। পাহাড়ি এলাকাগুলোতে ভূমিধস একটা আতঙ্কের নাম। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় সেখানে ভূমিধসের ঘটনা বেশি ঘটে। তবে এবারের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত।
২০০৮ সালে ভূমিকম্পে চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ৮৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। ওই ঘটনার সময় ভূমিধসে মারা গেছেন ৩৭ জন পর্যটক।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: