ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নতুন ভ্যাট আইন মানবেন না ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ২৫ জুন ২০১৭

নতুন ভ্যাট আইন মানবেন না ব্যবসায়ীরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রস্তাবিত নতুন ভ্যাট আইন মানবেন না ব্যবসায়ীরা। এজন্য সম্মিলিতভাবে এ আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তারা। ব্যবসায়ীদের দাবি, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের সময় এখন নয়। সরকারেরও যথেষ্ট প্রস্তুতি নেই। এই অবস্থায় ২০১৯ সাল পর্যন্ত বর্তমান আইনেই মূল্য সংযোজন কর (মূসক) দিতে চান তারা। আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। কিন্তু আইনটি ব্যবসাবান্ধব নয় উল্লেখ করে এটিকে যুগোপযোগী করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। সম্প্রতি রাজধানীর পলওয়েল মার্কেটের সামনে দাবি আদায়ে ব্যানার উত্তোলন কর্মসূচী পালন করেন ব্যবসায়ীরা। এ প্রসঙ্গে দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, তিনটি দাবিতে সম্মিলিত ব্যানার টাঙানো হয়েছে। নতুন ভ্যাট আইনকে ব্যবসা ও ভোক্তাবান্ধব করাসহ আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে এবং উন্নয়নের বাধা ‘কাউয়াকে’ খাঁচায় আটকাতে হবে। জানা গেছে, ২০১৯-এর আগে ব্যবসায়ীরা কোনভাবেই নতুন আইনে ভ্যাট দিতে চান না। তাদের অভিযোগ, নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছে সরকার। অথচ তাদের কোন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা আইএমএফের প্রকল্প রয়েছে প্রশিক্ষণের জন্য। কিন্তু কাউকে কোন প্রশিক্ষণ না দিয়ে সরকারকে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। তারা বলেন, প্রশিক্ষণ ছাড়া চকবাজারের ব্যবসায়ীরা কীভাবে জানবেন ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার কী? দাবি মেনে না নিলে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন তারা। এ দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও স্মারকলিপি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিদ্যুত সংযোগ পাবে আরও ২৭ লাখ নতুন গ্রাহক ভিশন-২০২১ অনুযায়ী ঘরে ঘরে বিদ্যুত সংযোগ প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গত মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দু’টি নতুন প্রকল্প অনুমোদন লাভ করে। প্রকল্প দু’টি হলো শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ (ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) প্রকল্প এবং শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ (রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ) প্রকল্প। সাত হাজার ১৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রথম প্রকল্পটির আওতায় ৩৯ হাজার ১০০ কিলোমিটার এবং ছয় হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় প্রকল্পটির আওতায় ৩৮ হাজার ১০ কিলোমিটার নতুন বিতরণ লাইন নির্মাণ করা হবে। নতুন বিতরণ লাইন নির্মাণের পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে ২৫৯০ এমভিএ ক্ষমতা সম্পন্ন ২৬২টি সাবস্টেশন, ১০১ সেট রিভার ক্রসিং টাওয়ার, ২৮টি অফিস ভবন এবং ৭৯টি ডি/ই/এফ কোয়ার্টার নির্মাণ করা হবে। সবমিলিয়ে প্রকল্প দু’টি বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে ১৩০৯.২২ কোটি টাকা ব্যয় হবে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্প দু’টি বাস্তবায়ন করবে। এ দু’টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আরও ২৭ লাখ গ্রাহক বিদ্যুত সংযোগের আওতায় আসবে। -বিজ্ঞপ্তি
×