ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে কিছু এলাকায় আজ ঈদ

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২৫ জুন ২০১৭

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে কিছু এলাকায় আজ ঈদ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ প্রতিবছরের মতো এবারও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ রবিবার পবিত্র ঈদ-উল-ফিরত উদযাপন করছে। এর মধ্যে রয়েছে মাদারীপুরের ৩০ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ এবং পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চার হাজার পরিবার। নিজস্ব সংবাদদাতা মাদারীপুর জানান, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে মাদারীপুরের ৪ উপজেলার ৩০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ সুরেশ্বরী মুরিদান আজ রবিবার ঈদ উদযাপন করছে। জানা গেছে, সুরেশ্বর দরবার শরীফের মুরিদানারা একদিন আগে রোজা রাখে এবং একদিন আগে ঈদ উদযাপন করে। সে হিসেবে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের চরকালিকাপুর, মহিষেরচর, পূর্ব পাঁচখোলা, জাজিরা, কাতলা, তাল্লুক, খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর, পখিরা, খোয়াজপুর, কুনিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর, কালিকাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর, হোসনাবাদ, ছিলারচর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর, আংগুলকাটা, হাজামবাড়ি, কালকিনি উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের আন্ডারচর, কয়ারিয়া ও শিবচর উপজেলার বাহেরচর, কেরানীরবাটসহ ৩০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আজ ঈদ উদযাপন করছে। সুরেশ্বর পীরের ভক্ত পাঁচখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও তাল্লুক গ্রামের আলী আহম্মদ ফকির জানান, ইসলাম ধর্মের সবকিছুই মক্কা শরীফ হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা শাহ্ সুরেশ্বরী (রাঃ) এর অনুসারীরা ১৪৬ বৎসর পূর্ব থেকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ উল আযহা পালন করে আসছেন। সে হিসেবে আজ আমরা ঈদ উদযাপন করছি। নিজস্ব সংবাদদাতা কলাপাড়া থেকে জানান, উপকূলীয় কলাপাড়ার প্রায় চার হাজার পরিবার আজ রবিবার ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করছেন। প্রতিবছরের মতো সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এরা ঈদ উদযাপন করবেন। ধানখালী ইউনিয়নের উত্তর নিশানবাড়িয়া জাহাগিরিয়া, শাহ্ সূফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ প্রাঙ্গণে এই অনুসারীদের ঈদের নামাজের প্রধান জামাত সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে বলে অনুসারী লোন্দা গ্রামের খালেক হাওলাদার জানিয়েছেন। চালিতাবুনিয়া, গিলাতলী, ফুলতলী, পাঁচজুনিয়া ও ধানখালী দরবার শরীফের হাজারো অনুসারী প্রধান জামাতে অংশগ্রহণ করে। এছাড়া কলাপাড়া পৌর শহরের নাইয়াপট্টি, উত্তর লালুয়া মাঝিবাড়িতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এদের ঈদ উদযাপনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে। শেষ করেছেন কেনাকাটা। নিশানবাড়িয়া দরবার শরীফের পরিচালক নিজাম উদ্দিন বিশ্বাস জানান, তারা চিটাগং এর চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চন নগর ইউনিয়নের পশ্চিম এলাহাবাদ গ্রামের সিলসিলায়ে আলীয়া কাদরিয়া চিশতিয়া জাহাগিরিয়া তরিকতের অনুসারী। স্থানীয় ভাষায় এদের চাঁদ টুপির অনুসারী বলা হয়। নিশানবাড়িয়া, গন্ডামারি, মরিচবুনিয়া, চালিতাবুনিয়া, ছইলাবুনিয়া, সেনের হাওলা, পৌর শহরের নাইয়াপট্টি, বাদুরতলী, তেগাছিয়া, সাফাখালী, চরপাড়া, আজিমদ্দিন গ্রামে প্রায় চার হাজার পরিবারে ১৫ হাজার লোক বসবাস করছেন।
×