ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কোহালিদের কোচের দৌড় এখন এই ত্রয়ীর মধ্যে

প্রকাশিত: ১৯:৫৭, ২৪ জুন ২০১৭

কোহালিদের কোচের দৌড় এখন এই ত্রয়ীর মধ্যে

অনলাইন ডেস্ক ॥ বিরাট কোহালিদের কোচের পদে আবেদন করার সময়সীমা বাড়িয়ে দিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। নতুন এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৯ জুলাই পর্যন্ত সময় পাওয়া যাবে ভারতীয় দলের কোচের পদে আবেদন করার জন্য। একই সঙ্গে বোর্ড জানিয়েছে, আগে যাঁরা আবেদন করে দিয়েছিলেন, তাঁদের আর নতুন করে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে না। নতুন করে কোচের জানলা খুলে দেওয়ায় নানা বিকল্পই হাতে উঠে আসছে। কোহালি এবং ক্রিকেটারদের কাছে সব চেয়ে পছন্দের নাম রবি শাস্ত্রী। প্রাক্তন ডিরেক্টর হিসেবে ধোনি, কোহালিদের সঙ্গে উনিশ মাস কাজ করেছেন শাস্ত্রী। ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় পর-পর আটটি টেস্টে হেরে বিপর্যস্ত দলে বিশ্বাস ফিরিয়েছিলেন তিনি। তাঁর অধীনে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে একদিনের সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করেছে ভারত। পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলেছে দল। যদিও শাস্ত্রীকে সরিয়ে কুম্বলেকে আনা হয়েছিল আগের বছর। এখন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, শাস্ত্রীকে সরানো হোক, কোহালিরা চাননি। শাস্ত্রীকে যদি ফেরানো হয়, কী ভাবে ফেরানো হবে তা নিয়েই বিভ্রান্তি চলছে। প্রাক্তন ডিরেক্টর নিজে আবেদন করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁকে আনার দরকার হলে বোর্ডের দিক থেকে ফোন যেতে হবে। কোহালিদের দলের কোচ বা ডিরেক্টর হিসেবে ফেরার প্রস্তাব পেলে তিনি যে গ্রহণ করবেন, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু নিজে থেকে আবেদনকারীদের লাইনে দাঁড়াবেন না। তবে শোনা যাচ্ছে, বোর্ডের এক শীর্ষ কর্তাকে কোহালি যেমন জানিয়ে দিয়েছিলেন কুম্বলেকে নিয়ে আপত্তির কথা, তেমনই তিনি বলে রেখেছেন শাস্ত্রীকে নিয়ে স্বতস্ফূর্ত সম্মতির কথা। কিন্তু কোচ নির্বাচনে যাঁদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, সেই ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটির মধ্যে শাস্ত্রীর গ্রহণযোগ্যতা কতটা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। অ্যাডভাইসরি কমিটিতে তিন কিংবদন্তি রয়েছেন। সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং ভি ভি এস লক্ষ্মণ। এঁদের মধ্যে সৌরভের সঙ্গে শাস্ত্রীর সম্পর্কের তিক্ততা গত বার কোচ নির্বাচনের সময়েই প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। দু’জনে কখনওই দারুণ বন্ধু ছিলেন না। সৌরভের সমর্থন এ বারও শাস্ত্রী পাবেন কি না, সন্দেহ। কোহালির প্রতি খুবই স্নেহপ্রবণ সচিন। আবার শাস্ত্রীর সঙ্গেও তাঁর পুরনো সম্পর্ক। তিনি কোহালির ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিতে পারেন। লক্ষ্মণ এবং সৌরভ কোচ নিয়ে চলমান সোপ অপেরায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সহমত হয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে বীরেন্দ্র সহবাগের ভাগ্য তা হলে কী হবে? এমনিতে কোচ হিসেবে শুরুর দিকে কেউ খুব একটা সহবাগকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন না। কিংগস ইলেভেন পঞ্জাবের মেন্টর হিসেবে তিনি দারুণ কিছু সাফল্য এ বারের আইপিএলে পাননি। তাঁকে শীর্ষস্থানীয় এক বোর্ড কর্তাই বলেন আবেদন করতে। তার পর একেবারে শেষ সময়ে সহবাগ তাঁর আবেদনপত্র পাঠান। তখন শোনা গিয়েছিল, প্রভাবশালী মহল থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়ে তবেই আবেদন করেছেন বীরু। যদি কুম্বলে সরেন, তা হলে তিনিই হবেন প্রথম পছন্দ। কিন্তু নতুন করে আবেদন চাওয়া হল মানেই সহবাগ আর অটোমেটিক চয়েস নন। কেউ কেউ তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন, তুমি আবেদনপত্র প্রত্যাহার করে নাও। তোমাকে কোচ করার হলে তো সোজাসুজি করেই দিত। যদি সৌরভদের কথাই শেষ কথা হয়, তা হলে সহবাগ এখনও দৌড় থেকে ছিটকে যাননি। আবার কুম্বলে-বিতর্কে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসকেরা প্রচ্ছন্ন ভাবে হলেও ড্রেসিংরুমের শান্তি রক্ষার পক্ষে মতামত দিয়েছিলেন বলে খবর। অর্থাৎ কোহালির ইচ্ছা গুরুত্ব পেতে পারে। আর যদি ভারতীয় কোচ নিয়ে বিবাদ বাড়ে, বিদেশি টম মুডি হয়ে উঠতে পারেন ডার্ক হর্স। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×