ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নাশকতার মামলায় এক বছরেও চার্জশীট হয়নি

প্রকাশিত: ০৭:০২, ২৪ জুন ২০১৭

নাশকতার মামলায় এক বছরেও চার্জশীট হয়নি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৩ জুন ॥ নাশকতার ষড়যন্ত্রসহ সাংগঠনিক শক্তিবৃদ্ধি এবং নিষিদ্ধ কর্মকা- পরিচালনার পাশাপাশি এসব কাজে অর্থায়নের অভিযোগের মামলায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও কুয়াকাটা অঞ্চলের পাঁচ নারীসহ জামায়াতের ১৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ চার্জশীট দেয়নি। মহিপুর থানা পুলিশ এদের সকলের গোপন কর্মকা- সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উদঘাটনে সক্ষম হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাফিজ জনকণ্ঠকে জানান, তদন্ত শেষ হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এজাহারভুক্ত ছাড়াও এ মামলায় খেপুপাড়া নেছারুদ্দিন সিনিয়র মাদ্রাসার এক শিক্ষকসহ রজপাড়ার আরও একজন ফেঁসে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে সকল আসামি জামিনে রয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ২০০৯ সংশোধিত ২০১৩ এর বিভিন্ন ধারা, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের প্রচেষ্টাসহ অর্থায়ন করত নিষিদ্ধ সংগঠন সমর্থন এবং নাশকতার ষড়যন্ত্রের কাজে প্ররোচনা দেয়ার অপরাধের অভিযোগে দায়ের পুলিশের এ মামলায় দীর্ঘ তদন্তে এসব তথ্য বেরিয়ে এসছে। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে, কুয়াকাটা পায়রা বন্দরসহ পর্যটন সমৃদ্ধ কলাপাড়া উপজেলা হচ্ছে দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। গুরুত্বপূর্ণ এ এলাকায় জামায়াত তাদের সংগঠন শক্তিশালী করতে গড়ে তুলেছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। চালাচ্ছে অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যদেরকে সংগটিতের কাজ। গোপনে এরা নিয়মিত সভা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে ২০১৬ সালের ১৪ মে কুয়াকাটার আজিমপুর গ্রামে জামায়াত শীর্ষনেতা মাওলানা নুরুল ইসলামের বাড়িতে গোপন সভা চলাকালে পুলিশ হানা দেয়। তখন পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে। এছাড়া সেখান থেকে জামায়াতের কুয়াকাটার সাংগঠনকি কর্মকা-ের পরিকল্পনার খাতা-পত্র, চাঁদা আদায়ের রসিদ, চাঁদা দাতাদের রসিদ বই, নগদ টাকা, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করে। ওই তারিখে মহিপুর থানার তৎকালীন এসআই মনিরুজ্জামান ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় জামায়াতের পাঁচ নারী কর্মী হলেন, মেহের আলীর স্ত্রী জয়নব রানী, মাওলানা হাবিবুর রহমানের স্ত্রী নাজমা হাবিব, মাওলানা আব্দুল মান্নানের মেয়ে জোবায়দা, মাওলানা আব্দুল মান্নানের স্ত্রী হালিমা ও তাসলিমা। এখানে সবার স্বামীর নাম উল্লেখ থাকলেও স্বামীর নাম গোপন করেছিলেন জোবায়দা। তিনি মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কলেজের শিক্ষক। এরা ছাড়াও বেশ কয়েক মাদ্রাসা, কলেজ ও স্কুল শিক্ষক রয়েছেন যাদের এসব কর্মকা-ের সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। যার মধ্য থেকে দুইজনকে চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ অঞ্চলে জামায়াত তাদের নারী সংগঠনকে চাঙ্গা করতে নতুন কৌশলে এগুচ্ছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। তারা চাঁদা আদায়ের রসিদ পর্যালোচনা করে দাতাদের নাম সংগ্রহ করেছেন। যাদেরকে মূলত নিষিদ্ধ সংগঠনের অর্থায়নকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
×