ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ডাক বিভাগ ডিজিটাল হলেও কর্মচারীরা এ্যানালগে

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ২৪ জুন ২০১৭

ডাক বিভাগ ডিজিটাল হলেও কর্মচারীরা এ্যানালগে

সংবাদদাতা, মেহেরপুর, ২৩ জুন ॥ তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষতায় ডাক বিভাগের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় বিলুপ্ত শাখা অফিসগুলোতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও ভাগ্যের পারিবর্তন ঘটেনি ডাক কর্মচারীদের। স্বল্প বেতনে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। মনিরুল ইসলাম, মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর শাখা পোস্ট অফিসের পোস্টম্যান হিসেবে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। ১৯৯১ সাল থেকে পোস্ট অফিসে আসা চিঠি বিলি করে আসছেন ৯টি গ্রামে। এরই মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে অঞ্চলের শাখা অফিসে, চালু করা হয়েছে পোস্ট ই-সেন্টার। কিন্তু ২৫ বছরেও ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেনি তার। স্বল্প বেতনে অভাব অনটনে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। তার মতো জেলার ৩১টি শাখা পোস্টঅফিসের ৮০ কর্মচারী-কর্মকর্তার একই অবস্থা। এ নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ডাক কর্মচারীদের মাঝে। এই কষ্টকর জীবন সইতে না পেরে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর অনুমতি, নয় তাদের বিভাগীয় কর্মচারী হিসেবে গণ্য করে বেতন ভাতা বৃদ্ধিসহ জাতীয়করণ ও পে-স্কেলের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে মেহেরপুরের গ্রাম্য শাখা পোস্ট অফিসের কর্মচারীরা। জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে ৩১ জনের স্বাক্ষরিত দাবি সংবলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহের হাতে তুলে দেন তারা। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ খালেক, মেহেরপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, বুড়িপোতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজামান, মেহেরপুর প্রধান ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার আ.স.ম জহুরুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পোষ্টাল (ইডি) ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মাসুদ বিশ^াস। ওই সভায় সকল গ্রাম্য শাখা ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এলাকার কয়েকটি শাখা ডাকঘরে সরজমিনে দেখা গেছে, পোস্ট মাস্টাররা তাদের নিজের বাড়ির একটি কক্ষে বসে ডাক গ্রহণ ও বিলির কাজ করছেন। দিনের গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করতে হচ্ছে ঐ ডাক বিলির কাজে। যার কারণে তারা সংসারের অন্যান্য কাজ করতে সময় পাচ্ছেন না। একই অবস্থা রানার ও পিয়নদেরও। তারাও দিনের গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যয় করছেন ডাক বিলির কাজে। যার কারণে তাদের বাড়তি আয়ের পথও রুদ্ধ। মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর শাখা পোস্ট অফিসের পোস্টম্যান মনিরুল ইসলাম জানান, ৯ থেকে ১০টি গ্রাম সাইকেল ও পায়ে হেঁটে ঘুরে স্বল্প বেতন দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। বেতন ভাতা বাড়ানের দাবি করেন তিনি। মেহেরপুর সদর উপজেলোর আজিজাবাদ শাখা পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার জানান, পোস্ট ই-সেন্টারের মাধ্যমে ডাক বিভাগ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, দেয়া হয়েছে ল্যাপটপ, স্ক্যানার, ফটোকপি মেশিন, প্রিন্টার। কিন্তু পরিবর্তন আসেনি জীবন জীবিকার। ভালুকায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কাটার দায়ে স্ত্রী আটক নিজস্ব সংবাদদাতা, ভালুকা, ময়মনসিংহ, ২৩ জুন ॥ বৃহস্পতিবার রাতে মেদুয়ারী ইউনিয়নের বগাজান গ্রামের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার স্বামী আনোয়ার হোসেনের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত সোনিয়া আক্তারকে আটক করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে উথুরা ইউনিয়নের তালুটিয়া গ্রামের সোনিয়া আক্তারের সঙ্গে বিদেশ ফেরত বগাজান গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেনের বিয়ে হয়। ঘটনার রাতে স্বামী-স্ত্রী রাতের খাবার খেয়ে ঘরে ঘুমাতে যায়। ঘুমন্ত অবস্থায় মধ্য রাতে সোনিয়া তার স্বামী আনোয়ার হোসেনের পুরুষাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে ফেলার চেষ্টা করে। আনোয়ার জেগে উঠলে পুরুষাঙ্গ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি। আনোয়ার হোসেনের চিৎকারে বাড়ির অন্যান্য লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর কর্তব্যরত ডাক্তার আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ওই রাতেই সোনিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে। একই সঙ্গে রক্তমাখা বিছানার চাদর জব্দ করে।
×