ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শিমুলিয়ায় যাত্রীর ঢল, যানবাহনের সারি কয়েক কিমি

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২৪ জুন ২০১৭

শিমুলিয়ায় যাত্রীর ঢল, যানবাহনের সারি কয়েক কিমি

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে শুক্রবার ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। জনসমুদ্রে রূপ নেয় শিমুলিয়া ঘাট এলাকা। শুধু যাত্রীবাহী বাসই নয়, লোকজন ছুটেছে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসেও। এ কারণে ঘাটের পাকিং ইয়ার্ড, বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ ও পুলিশ ফাঁড়ির প্রাঙ্গণও ছিল যানবাহনে ঠাসা। যানবাহনের চাপ এতই ছিল যে, মহাসড়কের একপাশ ধরে যানজটের দীর্ঘ সারি চলে যায় কয়েক কিলোমিটার দূরে ঢাকা-মাওয়া মহসড়কের মাওয়া চৌরাস্তা পর্যন্ত। এতে যাত্রী দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। সরজমিনে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার অন্যতম প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া ঘাটে। পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে আটকা পড়ে ৭ শতাধিক যান। তবে বিকেলের দিকে তা কিছুটা হালকা হয়ে যায়। ১৮টি ফেরি দিয়ে এসব যানবাহন পারাপারে হিমশিম খেতে হয়েছে ফেরি সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে। শিমুলিয়া ঘাটের বিশাল পার্কিং ইয়ার্ডটি সকালেই যানবাহনে পরিপূর্ণ হয়ে পড়ে। আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনী যানবাহনের জন্য পাশের বিআইডব্লিটিসি, বিআইডব্লিউটিএ ও পুলিশ ফাঁড়ির আঙ্গিনায় ব্যবস্থা করলেও তাতে কাজ হয়নি। অতিরিক্ত গাড়ির চাপ যেন বেড়েই চলছিল। এ অবস্থায় যানবাহনগুলো মহাসড়কের একপাশ ধরে ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে পড়ে। এতে মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকা দূরে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের মাওয়া চৌরাস্তা পর্যন্ত অতিরিক্ত গাড়ি লাইন চলে যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীদের বাস ও প্রাইভেটকারে বসে থাকতে দেখা গেছে। যাত্রীরা যানবাহন ফেলে কয়েক কিলোমিটার পথ হেঁটে ঘাটে এসে নির্দিষ্ট যানবাহনে নদী পার হয়। এতে যাত্রী ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করে। বিশেষ করে শিশু, মহিলা ও বৃদ্ধ যাত্রীদের দুর্ভোগ ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে মহাসড়কের অন্য কোথাও কোন যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু ঘাটের গোল চক্করে অব্যবস্থাপনার কারণে যানজটে পড়ে কিছুটা দুর্ভোগের শিকার হতে হয় যাত্রী সাধারণকে।
×