ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

ঈদে বাড়ি যাবার সেকাল-একাল

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২৪ জুন ২০১৭

ঈদে বাড়ি যাবার সেকাল-একাল

বাঙালী মুসলমানের ঈদ আর হিন্দুদের দুর্গাপূজায় গ্রামের বাড়ি যাওয়া এবং আপনজন পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করার আনন্দ এখন নস্টালজিয়ায় পরিণত হয়েছে। মানুষ এখনও গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে। ব্যাপকহারেই যাচ্ছে। তার পেছনের কারণ মানুষের আয়-রোজগার বেড়ে ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়া এবং সেইসঙ্গে দু’দিনের সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে ঈদের ছুটির যোগ হয়ে লম্বা অবকাশের সুযোগ। যাতায়াত ব্যবস্থাও আগের যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক উন্নত। ট্রেন, বাস, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা এবং লঞ্চ ব্যাপকভাবে যাত্রী বহন করায় বাড়ি যাওয়া সহজ হয়েছে ঠিকই, তবে ঝুঁকির অন্ত নেই। সড়কপথে দুর্ঘটনা, ট্রেনে-লঞ্চে অস্বাভাবিক অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার কারণে দুর্ঘটনা যে কোন সময় হাতছানি দিচ্ছে। পথে পথে নারী শিশু বুড়ো-বুড়িসহ ঘরমুখো মানুষ প্রাণ দিচ্ছে। লাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে। তবে হ্যাঁ, লঞ্চ দুর্ঘটনার খবর আগের তুলনায় কমলেও নিরাপত্তা ঝুঁকি এখনও আগের মতোই আছে। কারণ ওভারলোডিং। মুনাফালোভী মালিকদের অমানবিকতা। এমনও দেখা যায় ট্রেনে-লঞ্চে গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ছাদে, রেলিং-এ, ইঞ্জিনের পাশে বসে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাচ্ছে। তারপরও যাদের মা-বাবা গ্রামে থাকেন তাদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন আর যাদের মা-বাবা বেঁচে নেই তাদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া ও মুনাজাত করতে পারলে মনে শান্তি ও স্বস্তি আসে। আমরা যারা গ্রাম ছেড়ে শহরবাসী হয়েছি তাদের কাছে নস্টালজিয়া এবং পঞ্চাশের ওপরে বয়সীদের জন্য রূপকথা। আবহমান বাংলার সমাজ চালচিত্র একেবারেই অপরিচিত। সেকালে ঈদ, দুর্গাপূজার আনন্দ ভাগাভাগি হতো ঘরে-ঘরে, বাড়ি-বাড়ি, সম্প্রদায়ে-সম্প্রদায়ে। ঈদে হিন্দু বন্ধুরা মুসলমান বন্ধুদের বাড়ি আসত, পোলাও-মাংস, সেমাই-জর্দা দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করা হতো। আবার পূজা-পার্বণে হিন্দুরা মুসলমান বন্ধুদের দাওয়াত দিত এবং লুচি লাবড়া সন্দেশ নাড়– দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করত। সেই যে নির্মল আনন্দ তা এখন গল্প। এখন বরং শহর থেকে গ্রামে গিয়ে কে কার ভূমি দখল করবে, কে কাকে প্যাঁচে ফেলে স্বার্থ হাসিল করবে এই আশঙ্কাই দুর্বলের বেশি। কখনও সরকারী আমলা, কখনও রাজনৈতিক কর্মী এই পরিচয়ে গ্রামে ঢুকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দুর্বলের উপরই জুলুম ও আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালায়। গত ৩/৪ দশক ধরে আরেক আপদ গ্রামীণ গরিব মানুষের ওপর চেপেছে- তা হলো গ্রামীণ ব্যাংকের মতো এনজিওগুলোর ঋণ। এক-দুটি কিস্তি বাকি পড়লে ঘরের চালের টিন, গোয়ালের গরু পর্যন্ত হারাতে হচ্ছে এসব অসহায় হতভাগ্য মানুষকে। অবশ্য এটা ঠিক, আগের মতো মানুষ এখন এনজিওর ঋণ কমই নিচ্ছে। এর প্রধান কারণ গ্রামীণ অর্থনীতির প্রাণচাঞ্চল্য। গ্রামে কাজের অভাব নেই। একদিন কাজের মজুরি ৬০০-৮০০ টাকা, একজন রিকশা বা রিকশাভ্যান চালক দিনে হাজার টাকা রোজগার করে। গ্রামীণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় নগর জীবনের ইফতার-সামগ্রী কিংবা ঈদের কেনাকাটা গ্রামেও ঢুকে পড়েছে। ২০১৫ সাল বা তার আগের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমলেও এবার ঈদের আগেই পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে দেড় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ও আরও অসংখ্য নিখোঁজ ঈদ আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। অবশ্য তা শুধু সংবেদনশীল মানুষের জন্য। ক’দিন অবিরাম বর্ষণজনিত আকস্মিক বন্যায় সিলেটের হাওড় অঞ্চলের ধান-মাছের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি দেশের অর্থনীতি ও খাদ্যশস্যের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে। এই সুযোগে এক শ্রেণীর তথাকথিত রাজনীতিক, বাকনীতিক বা বাক-বুদ্ধিজীবী যেন মোক্ষম সাবজেক্ট পেয়ে গেছে। টিভি পর্দায় টু-পাইস রোজগারও হচ্ছে। এর বাইরে যে নি¤œবিত্ত বা নি¤œ মধ্যবিত্ত শ্রেণী রয়েছে তাদের কাছে সবকিছুর উর্ধে ঈদ এবং ঈদের আনন্দ। এখানে তারা এতটুকু ছাড় দিতে রাজি নয়। এখন ট্রান্সপোর্টেশনেরও অনেক পরিবর্তন এসেছে। সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং রেলমন্ত্রী এ্যাডভোকেট মজিবুল হক মানুষের যাতায়াত নিরাপদ করতে রাতদিন কাজ করে চলেছেন। ওবায়দুল কাদের তো সপ্তাহে ৫/৬ দিন রাস্তায়ই থাকেন। এবারের ঈদের দিনও রাস্তায় থাকবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। মাথার ওপর রয়েছেন মানবতাবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রী যখন রাস্তায় থাকেন তখন রাস্তার-রাজা ট্রাকেরও হিসেব করে চলতে হয়। সেইসঙ্গে যেমন দেশের সব লাইনে স্পেশাল ট্রেন, সব নৌরুটে বিশাল বিশাল লঞ্চ চলাচল করছে। তারপরও বলতে হয়, লঞ্চ মালিকরা অতিরিক্ত ব্যবসার জন্য ধারণ ক্ষমতার বাইরে যাত্রী বহন করছে। কখনও কখনও মনে হয় ঘাটেই ডবুবে- এমন অবস্থায়ও লঞ্চ ছাড়ছে। আর যাত্রীরাও এমন বেপরোয়া যে, মৃত্যুভয়ও তাদের নিবৃত্ত করতে পারে না। তারপরও বলব সাম্প্রতিককালে দেশের যাতায়াত ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে। একটা সময় ছিল যখন অনেক কষ্ট করে একাধিক ট্রান্সপোর্ট পাল্টে গ্রামের বাড়ি যেতে হতো। ১৯৬৭ সালে সেই যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গ্রামের বাড়ি ছেড়েছি, প্রথমে লেখাপড়া তারপর চাকরি, আন্দোলন সংগঠনে ডুবে গিয়ে এখনও ঢাকায় আছি। তারপরও গ্রামের বাড়ি যাতায়াত চলছে ৫০ বছর ধরে। এ এক মাটির টান, মায়ার বাঁধন। তখন নদীপথে ছোট ছোট লঞ্চে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হতো। ট্রেনে টঙ্গী ভৈরব কুমিল্লা হয়ে লাকসাম, সেখান থেকে আবার চাঁদপুরগামী ট্রেন ধরে মুধরোড স্টেশন- সেখান থেকে বর্ষায় নৌকায় করে আড়াই মাইল হেঁটে বাড়ি যেতে হতো। মাঝে ডাকাতিয়া পার হতে হতো ফেরি (নৌকা) দিয়ে। এতে করে দিন কাবার হয়ে যেত। সড়কপথে আরেকটু কম সময় লাগত-বাসে ঢাকা থেকে কুমিল্লা, কুমিল্লা থেকে চাঁদপুর, তারপর আবার সেই হেঁটে অথবা নৌকায়। লঞ্চপথে সময় সবচেয়ে কম লাগত- ঢাকা থেকে চাঁদপুর ৪ ঘণ্টা। স্বাধীনতার আগে স্টিমার সার্ভিস ছিল। পাঁচটি স্টিম ইঞ্জিনের স্টিমার এ রুটে চলাচল করত, যা ছিল সবচেয়ে নিরাপদ। ঝড়-টুর্নেডোতেও লঞ্চে ভয় ছিল না। গ্রামে থাকতে ভোর ৪টার দিকে চাঁদপুর ঘাটে স্টিমারের হুইসেলে আমাদের ঘুম ভাঙত। সেই স্টিমার সার্ভিস আজ আর নেই। ভূমিদস্যুদের মতো জলপথ দস্যুরা স্টিমার সার্ভিসটিকে রুট থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে, যেমন করে সড়কদস্যুরা দুর্নীতিবাজ আমলাদের যোগসাজশে বিআরটিসি বাস এবং ট্রেনকে তাড়াতে চেষ্টা করেছিল, সফল হয়নি। স্টিমারের ক্ষেত্রে যেমন শতভাগ সফল হয়েছে, এক্ষেত্রে তা নয়, ট্রেন তাড়াতে পারেনি, বরং সাম্প্রতিককালে ট্রেন সার্ভিসের অনেক উন্নতি হয়েছে। সড়কপথে বিআরটিসি বাস ক্রমান্বয়ে চলার পথ পুনরুদ্ধার করে চলেছে। তবে এবার নতুন এক উপসর্গ সামনে এসেছে। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিভিন্ন ইফতার মাহফিলে তার স্বভাবজাত আওয়ামী লীগ বিরোধী বক্তব্যের সঙ্গে কিছু বাড়তি সতর্কবাণী উচ্চারণ করছেন তথাকথিত ‘সহায়ক সরকার’ ছাড়া নির্বাচন হবে না, হতে দেবেন না। দিনে দিনে এতই উগ্র হয়ে উঠছেন যে, প্রধানমন্ত্রীকে ‘হাছিনা’ বলে কথা বলছেন। অথচ ধ্বনির দিক থেকে ‘হাসিনা’ শুদ্ধ উচ্চারণ এবং হাসিনার আগে যে বাংলার সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ‘শেখ’ অভিধাটি রয়েছে তা তিনি মুখে নেন না। এই শব্দটিতে তার ভয়জনিত এলার্জি রয়েছে। তিনি বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে আছেন। কে না জানে পাকিস্তানের প্রতি তার পিরিতি মধ্যযুগের চর্যাগীতির পিরিতের চেয়েও গভীর। ‘শেখ’ অবিধাটি তার জন্য আতঙ্কেরও। এই ‘শেখ’ অভিধার ব্যক্তিত্বটিই একাত্তরে তার সাধের পাকিস্তান ভেঙ্গে দিল এটা কি কম কষ্টের! আর সে জন্য ‘শেখ’ শব্দটি মুখে ওঠে না। খালেদা জিয়ার আরেক কেন্দ্রীয় নেতা শামসুজ্জামান দুদু। গতকালের কাগজে দেখলাম ঈদের পর তারা আন্দোলনে নামছেন এবং বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে বেগম জিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়ে তবে ফিরবেন। ভাল কথা, আন্দোলন করবেন। কিন্তু তাদের আন্দোলনের যে চেহারা বাঙালী জাতি দেখেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় এবং ২০১৪-এর নির্বাচনের আগে-পরে। কিভাবে একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং সেই নির্বাচন ঠেকানোর জন্য বাসে-ট্রেনে-লঞ্চে-রিকশায়-অটোরিকশায় বা টেম্পো-ট্রাকে পেট্রোলবোমা মেরে অসংখ্য মানুষকে হতাহত করা হয়েছিল সে দৃশ্য কল্পনা করলে আজও গা শিউরে ওঠে। বিএনপি নেত্রী জামায়াত-শিবিরের তথাকথিত কর্মী বা জঙ্গীদের রাজপথে নামিয়ে ঐসব হত্যাকা- ঘটিয়েছিলেন। ওদের পেট্রোলবোমায় নিরীহ গরুবাহী ট্রাক পর্যন্ত পুড়ে ছাই হয়েছিল। দেশব্যাপী গাছ কেটে, রাস্তা কেটে গোটা যোগাযোগ ব্যবস্থা অচল করে দিতে চেয়েছিলেন, হেফাজতকে ঢাকার শাপলা চত্বরে এনে দিনভর গোটা মতিঝিল, পল্টন, পুরানা পল্টন, বায়তুল মোকাররম, গুলিস্তান, দিলকুশা জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছিল। লক্ষ্য ছিল বঙ্গভবন দখল করা। সরকার উৎখাত করা। কিন্তু ‘শেখ’ অবিধার সাহসী রাষ্ট্রনেতা প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা কঠোর হস্তে দমন করলেন এবং সেইসঙ্গে এসব একদিকে যেমন দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলেন, ঠিক তেমনি চলমান গণতান্ত্রিক মূলধারার বাংলাদেশকে নিরন্তর এগিয়ে নিয়ে চলছেন। তারপর থেকে জঙ্গী সন্ত্রাসীরা গর্তে ঢুকেছে, যেখানে আস্তানা গাড়ার চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস করে দিচ্ছে, বিএনপি নেতারা এখন কাগুজে বাঘ এবং কখনও-সখনও জানালা দিয়ে মুখ বের করে দু’একটা হাঁক দিচ্ছে। সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো নাগরিক সমাজ বুঝতেই পারছে না কে কাকে হুমকি দিচ্ছে। হাস্যকর ব্যাপার হলো জাতীয় নির্বাচনের এখনও দেড় বছর বাকি। সরকারী দল আওয়ামী লীগ তার স্বভাবজাত সাংগঠনিক অবস্থান থেকে দশম সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে চলেছে। নমিনেশন নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশও ঘটছে মাথা ফাটাফাটির মধ্যে। বিএনপিসহ অন্যান্য দল গা-ঝাড়া দিয়ে উঠেছে মনে হয়। সবচেয়ে বেশি উৎসাহ দেখাচ্ছেন এক শ্রেণীর টক-শো-বুদ্ধিজীবী। তারা এরই মধ্যে নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা আবিষ্কার করছেন। তবে হ্যাঁ, বিষয়টাকে এভাবে সরলীকরণ করে উড়িয়ে দেয়া ঠিক হবে না। অর্থাৎ কোনভাবেই অগ্রাহ্য করা ঠিক হবে না। বিএনপি জানে আগামী নির্বাচন বয়কট করা চলবে না। দশম সংসদ নির্বাচন বয়কট করে প্রতিবন্ধী দলে পরিণত হয়েছে। সামনের নির্বাচনে সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করলে একেবারে অস্তিত্ব বিপণœ হবে। তাই তারা মরণ কামড় দেয়ার চেষ্টা করবে। একে মোকাবেলা করতে হলে সংগঠন দিয়েই করতে হবে। অনেক স্থানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও দলের সংগঠন দুর্বল। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে যেখানে যেখানে সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে তা দূর করার জন্য এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এটি অত্যন্ত জরুরী। সাহসী রাষ্ট্রনেতা শেখ হাসিনাকে আরও অন্তত দুই টার্ম ক্ষমতায় থাকতে হবে, তাঁর নেতৃত্বেই জাতি ২০২০ সালে জাতির পিতার শততম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন এবং মূলধারাভিত্তিক মধ্যম আয়ের দেশে দাঁড়িয়ে ২০২১ সালে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি তথা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করবে। যে দলের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হলো এবং যিনি নেতৃত্ব দিলেন তাঁরই কন্যার নেতৃত্বে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন হবে এই সুযোগ কয়জনের ভাগ্যে জোটে? এ অর্জনটি আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীর নিশ্চয়ই মনে আছে। সে যাই হোক, এমনি এক প্রেক্ষাপটে এই ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ভিড় এখনই বিভিন্ন ঘাটে-টার্মিনালে-স্টেশনে দেখা যাচ্ছে। এখন মানুষের হাতে পয়সা আছে। প্রয়োজন শুধু নিরাপত্তা। এর দায়িত্বও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। সবার ঈদ যাতায়াত শুভ হোক নিরাপদ হোক, এই কামনা। ঢাকা ॥ ২২ জুন ২০১৭ লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব [email protected]
×