ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

তুরস্কে কারাগারে আটক ৪৭ বাংলাদেশীকে ফেরত আনার চেষ্টা করা হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৭:৪৯, ২৩ জুন ২০১৭

তুরস্কে কারাগারে আটক ৪৭ বাংলাদেশীকে ফেরত আনার চেষ্টা করা হচ্ছে

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ ইউরোপে পাড়ি জমানোর পথে তুরস্কে গিয়ে আটকে পড়েছে ৪৭ বাংলাদেশী। এরা তুরস্কের বিভিন্ন কারাগারে আটক রয়েছেন। এসব বাংলাদেশীকে দেশে ফেরত আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এসব তথ্য জানায়। সূত্র জানায়, তুরস্কের বিভিন্ন কারাগারে ৪৭ বাংলাদেশী এখন আটকে পড়েছেন। এসব নাগরিকের বাংলাদেশী পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রথমে তুরস্ক সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, তুরস্কের বিভিন্ন কারাগারে প্রায় ২০০ নাগরিক রয়েছেন। এই তথ্য পাওয়ার পরে তুরস্কে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কারাগারে আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে ৪৭ জনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে। এসব নাগরিক তুরস্কের বিভিন্ন কারাগারে রয়েছেন। এদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে দূতাবাস। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তুরস্ককে রুট হিসেবে ব্যবহার করছে শক্তিশালী দালাল চক্র। তুরস্ক-ইরান সীমান্ত দিয়ে বিভিন্নভাবে তুরস্কে প্রবেশ করেছেন এসব বাংলাদেশী। তুরস্ক থেকে জাহাজে করে গ্রীসের বিভিন্ন দ্বীপে পাড়ি জমানোর উদ্দেশেই এসব বাংলাদেশী সে দেশে প্রবেশ করেছেন। তবে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশীরা অবৈধ প্রবেশের দায়ে দেশটির পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন। এদিকে ইউরোপে অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও তুরস্কের মধ্যে গত বছর মার্চ মাসে যে চুক্তি হয়েছিল, সে অনুযায়ী গ্রীসের বিভিন্ন দ্বীপ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের মধ্যে কিছু বাংলাদেশী নাগরিকও রয়েছে। গ্রীস থেকে তুরস্কে পাঠানো নাগরিকদের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মরক্কো ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন। এসব নাগরিকও তুরস্কের বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে রয়েছে। তাদেরও নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে তুরস্ক সরকার। বর্তমানে তুরস্ক হয়ে ইউরোপে পাড়ি জমানো অভিবাসীর সংখ্যা কমে এসেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও তুরস্কের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী গত এক বছরে ১০৭৪ অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়। এদের মধ্যে বাংলাদেশী নাগরিকও রয়েছে। সর্বশেষ চলতি বছর এপ্রিলে গ্রীস থেকে তুরস্কে ৬০ অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়। এর মধ্যে ছিলেন তিনজন বাংলাদেশী নাগরিক।
×