ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে যাত্রী সেবায় দেশান্তর

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ২৩ জুন ২০১৭

ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে যাত্রী সেবায় দেশান্তর

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের উৎসবে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে দিবা-রাত্রি যাত্রী সেবার অঙ্গীকার করে আজ শুক্রবার থেকে যাত্রা শুরু করবে দ্রুতগতির ‘দেশান্তর’ নামের আরও একটি বিলাসবহুল নতুন লঞ্চ। মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে যাত্রীদের বরিশালে পৌঁছে দেয়ার প্রত্যয়ে ঈদ স্পেশাল সার্ভিসে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ লঞ্চের যাত্রা শুরু হবে। তাহসিন শিপিং লাইন্সের নৌযান ‘দেশান্তর’-এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য কেএম শরিফুল কামাল বলেন, ১৮০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ ৩১ ফুটের এ লঞ্চটি ৮৫০ অশ্বশক্তির উইচাই মেরিন ডিজেল ইঞ্জিনে চলবে। দ্রুতগামীর তিনতলা বিশিষ্ট এ লঞ্চটিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিতসহ নিচতলায় রয়েছে ১০২টি চেয়ার, দ্বিতীয় তলায় ১৯৪টি এবং তৃতীয় তলায় রয়েছে ৬২টি চেয়ার। শুধু বিলাসবহুল চেয়ারই নয়, রয়েছে কেবিনও। এরমধ্যে নিচতলায় চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে চার শ’ টাকা, দ্বিতীয় তলায় ছয় শ’ টাকা এবং তৃতীয় তলার চেয়ারে সাত শ’ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, এ লঞ্চে মোট ১৪টি এসি কেবিন রয়েছে। এরমধ্যে সবগুলোই শৌচাগার সংযুক্ত। ভিআইপি ডিলাক্স রয়েছে দুইটি, ফ্যামিলি দুইটি, ডাবল কেবিন দুইটি এবং আটটি সিঙ্গেল কেবিন। এরমধ্যে ভিআইপি কেবিনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে চার হাজার টাকা, ফ্যামিলি কেবিনের দুই হাজার চার শ’, ডাবল কেবিন দুই হাজার আট শ’ এবং সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকা পর্যন্ত। কেবিন বা চেয়ারবিহীন যাত্রীদের জন্যও রয়েছে সু-ব্যবস্থা। বিলাসবহুল এ লঞ্চের তিনটি তলায়ই রয়েছে ডেকের ব্যবস্থা। পাশাপাশি সব যাত্রীর জন্য লঞ্চে ক্যান্টিনের ব্যবস্থা রয়েছে। নতুন লঞ্চ তাসরিফ ॥ ঈদ স্পেশাল সার্ভিসে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে সাময়িকভাবে চলাচলের অনুমতি পেয়েছে নতুন লঞ্চ তাসরিফ-৩ ও ৪। ফারুক শিপিংয়ের অধীনে পরিচালিত এ লঞ্চ বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে। ট্রেনের টিকেট বিড়ম্বনায় যাত্রী স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী থেকে জানান, ছাপানো টিকেট নেই ছয় মাস ধরে। তার ওপর চালু হয়নি ক¤িপউটারাইজড ডিজিটাল টিকেট সিস্টেম। তাই ঢাকাগামী আন্তঃনগর নীলসাগর ও খুলনাগামী আন্তঃনগর রূপসা ও সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী সাধারণকে টিকেট দেয়া হচ্ছে হাতে লিখা মালামাল বুকিং রসিদে! এ অবস্থা চলছে নীলফামারী, ডোমার ও চিলাহাটি রেলস্টেশনে। এতে ঈদ যাত্রায় বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে ট্রেনযাত্রী। স্থানীয় সূত্র মতে, নীলফামারীর চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী চলাচল করে একটি বেসরকারীসহ ছয়টি আন্তঃনগর ট্রেন। এসব ট্রেনে নীলফামারী ডোমার ও চিলাহাটি স্টেশন থেকে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার যাত্রী টিকেট দেয় সংশ্লিষ্টরা। ওই ছয় ট্রেনের মধ্যে রাজশাহীগামী তিতুমীর ও বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের সব শ্রেণীর ছাপানো টিকেট রয়েছে। খুলনাগামী সীমান্ত ও রূপসা একপ্রেস ট্রেনের সাধারণ শ্রেণীর ছাপানো টিকেট থাকলেও এসি চেয়ার এবং এসি সিøপিং বার্থের টিকেট নেই। অন্যদিকে ঢাকাগামী নীলসাগর একপ্রেস ট্রেনের কোন শ্রেণীর ছাপানো টিকেট নেই। মালামাল বুকিংয়ের রসিদে টিকেট হাতে লেখার কারণে টিকেট নিতে যাত্রীদের যে সময় লাগছে, ছাপানো টিকেট বা ডিজিটাল টিকেট ব্যবস্থা থাকলে এত সময় লাগত না।
×